somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বগুড়ার নদীসমূহ...

২৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

করতোয়া নদী
ঃহিমালয় পর্বতের পাদদেশে নেপালের পর্বতমালা হতে করতোয়ার উৎপত্তি। অতঃপর গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ অতিক্রম করে এ নদীকে অবশ্য ব্রহ্মপুত্রের উপনদী বলা হয়। বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার ময়দানহাটা ইউনিয়নস্থ পলাশী মৌজার পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে কালাই-শিবগঞ্জ থানা সীমানা বরাবর প্রায় ২ মাইল প্রবাহিত হয়ে কচুয়া মৌজার পশ্চিম দিকে একটি বাঁক নিয়ে গোটিলা, উত্তর কৃষ্ণপুর, ছান্দার, কিচক ইউনিয়নস্থ পাতাইর মৌজায় পৌঁছে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। ১টি শাখা পাতাইর এ বাঁক নিয়ে উত্তর দিকে কিছুদূর অগ্রসর হয়ে মাদারগাছি পার হয়ে সোজা মাতিয়ানে পড়ে। ২য় শাখাটি সোজা দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে মাতিয়ান, গোপীনাথপুর, আটমুল ইউনিয়নের চককানু; শিবগঞ্জ ইউনিয়নের চক গোপাল, বিহার ইউনিয়নের নাতমরিচায় এসে এটি ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১টি শাখা বগুড়া-গাইবান্ধা সড়ক অতিক্রম পূর্বক অাঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়ে যথাক্রমে রায়নগর ইউনিয়নের তেখড়িয়া, আচলাইতে এসে আবার দ্বিধাবিভক্ত হয় যার প্রথমটি মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা, আচলাই, সারাজী পার আচলাই, মুরদাপুর দিয়ে গাইবান্ধা বগুড়া সড়ক অতিক্রম পূর্বক সোনাতলা থানায় প্রবেশ করে, আর দ্বিতীয়টি আচলাই, পার-আচলাই আলোকদিয়ার, রায়নগর ইউনিয়নের করতিকোলা, চান্দিজান, অনন্তবালা, আবার বগুড়া-গাইবান্ধা সড়ক অতিক্রম পূর্বক নগর কান্দিতে ৩/৪টি বাঁক নিয়ে বগুড়া সদরে প্রবেশ করে। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, প্রথম বিভক্তির ২য় শাখাটি সোজা দক্ষিণে বিহার ইউনিয়নস্থ ডাহিলা, ভাসুবিহার হয়ে নাগর নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।

করতোয়া নদীটি বগুড়া সদর থানার গোকুল ইউনিয়নস্থ পার দক্ষিণ ভাগ, ধাওয়া কোলা, বাঘাপাড়া, ঠেংগামারা, নিশিন্দারা ইউনিয়নের বারবাকপুর, ফুলবাড়ী, বগুড়া পৌরসভাস্থ চেলুপাড়া, সাবগ্রাম ইউনিয়নের নাটাইপাড়া, ভাতকান্দি, সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নের মালতীনগর, চক লোকমান, লতিফপুর, বেতগাড়ী, সুজাবাদ, খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের ডুরালিয়া, খালিশাকান্দি, চুপিনগর ইউনিয়নের ছবিনগর, ত্রিকুসতা, আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়া, জামালপুর হয়ে শেরপুর থানার গাড়িদহ ইউনিয়নস্থ কানুপুর মৌজায় প্রবেশ করে এবং আঁকাবাঁকা পথে রামনগর, বাংগারা, জোয়ানপুর, হাজিপুর, শেরপুর পৌরসভার রনবীরবালা, মির্জাপুর ইউনিয়নের গেরুসা, কৃষ্ণপুর, মদনপুর, কাশিয়াবালা হয়ে বিনোদপুরে হলহলিয়ার সঙ্গে মিশে যায় এবং মূল শাখাটি বাঁক নিয়ে ছাতরা, ছাতরা হারাজীতে এসে একটি পরিত্যক্ত পথ তৈরি করে। অর্থাৎ অশ্বখুরাকৃতি ধরনের একটি ভূমিরূপ সৃষ্টি করে নিম্নদিকে অগ্রসর হতে থাকে যা গারো, হলদিবাড়ি, দড়িহাসড়া, সদর হাসড়া, ঘোগা, সিরাজগঞ্জ-বগুড়া সড়ক ছেদ পূর্বক গড়াই মৌজার পশ্চিম হয়ে মরা করতোয় নামে বড়াইদহ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানায় প্রবেশ করেছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০/৫৫ মাইল এবং এর তীরে দাড়িদহ, বগুড়া, শেরপুর, মির্জারপুর, ঘোগা ইত্যাদি সুপরিচিত জনপদ অবস্থিত।
বাঙ্গালী নদীঃ
বগুড়া জেলা দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর মধ্যে বাঙ্গালী সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘ এবং করতোয়া ও আত্রাই নদীর পূর্ব পার্শ্বে এর অবস্থান। এটি নীলফামারী জেলার কতিপয় ক্ষুদ্র প্রকৃতির খাল/জলাশয় থেকে বের হয়ে সৈয়দপুর থানার নিম্নভূমি অতিক্রম করে সাধারণ নদীখাতরূপে রংপুর জেলার পূর্ব দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দপুর থানার কাটাখালী স্রোতধারাটি বাঙ্গালী নামে দক্ষিণ পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানা থেকে দুটি জল স্রোতধারা বগুড়া জেলার সোনাতলা থানাস্থ বিসুর পাড়া ও বিশ্বনাথপুর মৌজাদ্বয় দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে যথাক্রমে কামারপাড়া, রংবার পাড়া, নামাজখালি, শিকারপাড়া পর্যন্ত এসে ২ ভাগে বিভক্ত হয় এবং একটি শাখা পশ্চিম দিকের শিকারপাড়া, হলদিয়াবাগ মৌজা ঘুরে পুনরায় মূল ধারার সংগে মিশে যায় এবং মূল শাখাটি নামাজখালি অতিক্রমপূর্বক সারিয়াকান্দি থানাস্থ সাতবেকী ঘুরে আবার সোনাতলা থানার হলদিয়াবাগে মিলিত হয়ে মিলিত ধারা পুনরায় সারিয়াকান্দি থানার শ্যামপুর হয়ে আবার সোনাতলা থানার সারজানপাড়া ও বয়রা হয়ে পুনরায় সারিয়াকান্দি থানার খামারবালালি, বারুরবাড়ি ও নারচি পর্যন্ত অগ্রসর হয়। এখানে ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে ১টি শাখা পশ্চিমে ফুলবাড়ি হয়ে গাবতলী থানার দুর্গাহাটা ইউনিয়নস্থ দুর্গাহাটা সিলন্দাবাড়ি এবং ২য়টি ফুলবাড়ি মৌজার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে গাবতলী থানার বালিয়াদিঘি ইউনিয়নের বালিয়াদিঘি, কালাইহাটা এবং ৩য় বা মূল শাখাটি দক্ষিণে ধুনট থানার গোসাইবাড়ি, পাইকপাড়া, ছাগলধারা, দেবডাঙা, বড়াইডান্ডি, ডোমকান্দি, দক্ষিণ বাশহাটা, ভেলাবাড়ি হয়ে আবার সারিয়াকান্দি থানার দক্ষিণে জোড়গাছা হয়ে ধুনট থানার দুই দিক দিয়ে প্রবেশ করে। ১টি শাখা নিমগাছি ইউনিয়স্থ ধামাচামা মৌজা হয়ে এক বাঁক নিয়ে মাঝমাড়ি, শিয়ালি, চিকাশি ইউনিয়নস্থ চিকাশী, পারলক্ষীপুর, কালেরপাড়া ইউনিয়নের কদাই, লক্ষীপুর, আনারপুর, ধুনট ইউনিয়নের ধুনট, হয়ে কাজীপুর থানায় প্রবেশ করে। অপরদিকে ২য় শাখাটি ধুনট থানার নিমগাছি ইউনিয়নস্থ ধামগাছার পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুটি বড় ধরনের বাঁক নেয় এবং কিছুদূর অগ্রসর হয়ে একটি অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টি করে এবং নিমগাছি অতিক্রম করে বগুড়া থানায় প্রবেশ করে এবং এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপরি হয়ে শেরপুর থানার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোরদৌড়ে ঢুকে বেশ অাঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়ে খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর তেবাড়িয়া, ধুনট, শেরপুর সড়ক ছেদ পূর্বক বথুয়াবাড়িতে হলহলিয়ার সঙ্গে মিশে যায়। এটি একটি আঁকাবাঁকা প্রকৃতির নদী, বর্ষাকালে পানিতে পরিপূর্ণ থাকে এবং তখন নৌকা অনায়াসে চলাফেরা করে থাকে। এ নদী পথ পরিক্রমা প্রায় ৫০/৬০ মাইল এবং এর তীরে অনেক প্রাচীন জনপদ গড়ে উঠেছে।

যমুনা নদীঃ
তিববতের মানস সরোবর থেকে উৎপত্তি লাভ করে গাড়ো পাহাড় ঘুরে ধুবড়ীর কাছে ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদী দক্ষিণ দিক কিছুদূর এগিয়ে তিস্তার সাথে মিলিত হয়েছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোতধারা যমুনা নামে প্রবাহিত হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা সাঘাটা উপজেলা থেকে বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার টেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের জানতিয়ার পাড়ায় অনুপ্রবেশ করে খাবুলিয়া, চুকাইনগর, মোহনপুর, সোরালিয়া দিয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নস্থ ফাজিলপুর ও হাতবাড়ি মৌজাদ্বয়ের বিভিন্ন দিক দিয়ে প্রবেশ করে মোটামুটি ত্রিধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১টি মাখা কাকালিয়াহাটা, ২য়টি বাহুলডাঙা এবং চরচালুয়াবাড়ি দিয়ে হাট শেরপুর, কাজলা, সারিয়াকান্দি, কর্ণিবাড়ি, চন্দনবাইশা, বোহাইল অতিক্রমপূর্বক ধুনট থানার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ছড়িবর, বড়ইতলি ও সারিয়াকান্দি দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অজস্র চরও অনেক শাখায় বিভক্ত এ নদীটি মোটামুটি বগুড়া ও জামালপুর জেলার সীমান বরাবর প্রবাহিত হয়েছে যার দৈর্ঘ্য ২০/২৫ মাইল। সারিয়াকান্দি উপজেলায় এর বিস্তৃতি ব্যাপক। এর তীরবর্তী প্রসিদ্ধ স্থান হচ্ছে চালুয়াবাড়ি, হাট শেরপুর, সারিয়াকান্দি, কর্ণিবাড়ি, কাজলা, চন্দনবাইশা, বোহাইল, আওলাকান্দি, ভান্ডারবাড়ি ইত্যাদি। এটি বগুড়া জেলার বৃহত্তম নদী এবং আন্তর্জাতিক নদী। এ নদীর পূর্বতম নাম দাওকোপা বা জেনাই থেকে সম্ভবত যমুনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। এ নদী বিনুনী ধরনের এবং স্রোতের সঙ্গে অজস্র পলি বাহিত হয়ে থাকে। প্রায় বছরেই এ নদীতে ২ বার বন্যা সংঘটিত হয়।

নাগর নদীঃ

করতোয়ার শাখা নদী নাগর বগুড়া জেলার অন্যতম নদী। এটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার আটমূল ইউনিয়নস্থ জগদীশপুরের নিকট করতোয়া থেকে বের হয়ে প্রায় ১০ মাইল বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় প্রবেশ করে। তারপর দুপচাঁচিয়া থানার চামরুল ইউনিয়নস্থ আমলপুরের ১.৫ মাইল পূর্ব দিয়ে মাসিমপুর, চামরুল, মোস্তফাপুর, পোড়াপাড়া, আটগতি, দুপচাঁচিয়া ইউনিয়নস্থ খালাস ধাপ, সঞ্চয়পুর, আলোহালী, তালোড়া ইউনিয়নের তালপাড়া, তালোড়া রেল স্টেশনের পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে কিছুদুর অতিক্রমপূর্বক ধাপঘোগা খালী অর্থাৎ পরানপুর, চাপাপুর, গালিয়া, দমদমার নিকট সিংড়া থানায় প্রবেশ করে সিংড়া ব্রীজের কাছে আত্রাই নদীতে পড়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫ মাইল। নদীটি খুবই সর্পিল প্রকৃতির এবং বর্ষাকলে বেশ পানি থাকে। নদীটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা, জয়পুরহাট জেলার কালাই ও ক্ষেতলাল থানা এবং বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া, শেরপুর, আদমদীঘি, কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা সীমানা বরাবর প্রবাহিত। তাই এ নদীটিকে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান এবং জেলা থানা সীমান নির্ণয়কারী নদী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

হলহলিয়া নদীঃ
এ নদীটি শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোড়াদৌড় মৌজার পূর্বাংশ দিয়ে সোজা দক্ষিণ দিকে প্রায় ১ মাইল অগ্রসর হয়ে ২/৩ টি বাঁক নিয়ে ধুনট শেরপুর সড়ক অতিক্রম পূর্বক খানপুর ইউনিয়নস্থ চৌবাড়িয়া, ধুনট থানার বথুয়াবাড়ি, শাকদহ মৌজায় প্রবেশ করে এবং প্রায় ২ মাইল পথ অগ্রসর হয়ে খানপুর মৌজার পূর্বাংশের শেষ প্রাপ্ত দিয়ে পশ্চিমে সুঘাট ইউনিয়নের কল্যানী বেলগাছি, আওলাকান্দি, বিনোদপুর, চকগাছী, সুঘাট, ফুলজোড়া, মধ্যভাগ দিয়ে সীমাবাড়ি ইউনিয়নস্থ ঘাশুরিয়া, কালিয়াকৈর, বালকদাসা, কালিয়াকৈর সিংহের পাড়া, টাকাধুকুরিয়া, বেটখৈর, বেতগাড়ী, সীমাবাড়ি হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার চান্দাইকোনায় প্রবেশ করে। নদীটি হলহলিয়া নামে পরিচিত হলেও আবার অনেকে এ নদীকে ফুলজোড়া নামেও অভিহিত করে থাকেন। ২/১ টি স্থান ব্যতীত সারা বছরই এ নদীতে পানি থাকে। বর্ষায় নৌকা, লঞ্চ অনায়াসে চলাচল করে থাকে। বর্ষা ও বিভিন্ন উৎসবে এ নদীতে নৌকা বাইচ উপভোগ করার মতো। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এ নদীটির সঙ্গে খামারকান্দি বিল থেকে ১টি শাখা বেরিয়ে গোপালপুর হয়ে হলহলিয়ায় পতিত হয়েছে। ২য় শাখাটি ঘোড়দৌড় মৌজার পূর্ব প্রান্তে হলহলিয়ার সঙ্গে মিশেছে এবং ৩য় শাখাটি সেরুয়ার নিকট করতোয়ার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫-২০ মাইল এবং এর তীরে চান্দাইকোনা, ফুলজোড়, সুঘাট, কল্যানী, মধ্যভাগ, খানপুর ইত্যাদি জনপত অবস্থিত।

ইছামতি নদীঃ
গাবতলী থানার রাজেশ্বর ইউনিয়নস্থ কামারচাট্টা থেকে একটি নালা ইছামতি নদী নামে বেরিয়ে সোনারায়, গজীরাবিল, রামেশ্বরপুর বিল অতিক্রম করে অাঁকাবাঁকা পথে জাগুলি, হোসাইনপুর, নারুয়ামালা ইউনিয়নস্থ প্রথাসারসি ও নারুয়ামালা, বগুড়া, বোনারপাড়া ও বেললহন অতিক্রম পূর্বক বাহাদুরপুর, জয়ভোগা, দুর্গাহাটা ইউনিয়নের বেগানিতে বগুড়া-গাবতলী-সারিয়াকান্দি সড়ক ছেদ করে হাতিবান্ধা হয়ে দুর্গাহাটা পর্যন্ত আসে। এখানে আবার বিভিন্ন ধারা বিভিন্ন দিক থেকে এসে এর সঙ্গে মিলিত হয়ে সম্মিলিত ধারা সুখদহ তথা বাঙালী নদীর সঙ্গে মিশে যায়। তারপর নিমগাছী ও চিকাশীর মধ্যবর্তী পথ অনুসরণ করে ধুনট পর্যন্ত আসে এবং এখান থেকে আবার ইছামতি নামে রায়গঞ্জ-ধুনট থানার সীমানা এবং পরবর্তীতে রায়গঞ্জ-শেরপুর থানার সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে গোপালনগর হয়ে ধানগড়ার নিকট আবার ফুলজোড় তথা হলহলিয়া তথা বাঙালী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। ২০/২৫ মাইল দীর্ঘ এই নদীটি প্রায়ই পানিতে পূর্ণ থাকে। ইছামতি একটি স্থানীয় নদী এবং এর তীরে দুর্গাহাটা, রামেশ্বরপুর, ভানুডাঙা ইত্যাদি জনপদ অবস্থিত।

মহিষাবান নদীঃ
এটি একটি স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষুদ্র নদী। বগুড়া সদর থানার সাবগ্রাম ইউনিয়নের ধানাই, খিদ্রধামা ও চকঝাপু মৌজাত্রয়ের মধ্যবর্তীতে অবিস্থত জলাশয় থেকে বেরিয়ে প্রায় সোজা পথে চকমিথন, শেখপাড়া, দড়িনন্দগাও (মাদলা ইউনিয়নস্থ) নন্দগ্রাম, মাদলা, কাজীপাড়া মৌজা পর্যন্ত এসে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি শাখা পশ্চিম দিকে চানচৈতারী হয়ে সুলতানগঞ্জের নিকট করতোয়া নদীতে পতিত হয়। ২য় শাখাটি পূর্বদিকে কিছুদূর অগ্রসর হয়ে বিলীন হয়েছে। ৩য় শাখাটি বলদিবপালন, খোট্টাপাড়া ইউনিয়নস্থ খোট্টাপাড়া, ঝুমবেলা, চোপিনগর ইউনিয়নের বারকুল্যা এসে মূল নদীর সঙ্গে মিলিত হয় এবং মিলিত শাখাটি মহিষাবান নদী নামে পূর্ব দিকে গাবতলী থানার নসিপুর ইউনিয়নস্থ ইতালী, নসিপুর, মহিষাবান ইউনিয়নস্থ সোনাকানিয়া-মহিষাবান পাকা সড়ক অতিক্রম পূর্বক দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি শাখা পূর্বগামী হয়ে অাঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হতে থাকে এবং বিভিন্ন দিক থেকে অনেকগুলো নালা এর সঙ্গে মিলিত হয়। ২য় শাখাটি রানীরপাড়া, দুর্গাহাটা ইউনিয়নস্থ পানিরপাড়া হয়ে বিভিন্ন নালার সঙ্গে সংযুক্ত হয়। নদীটি আনুমানিক ১২/১৪ মাইল দীর্ঘ, এতে সব সময়ে পানি থাকে না তবে বর্ষাকালে পরিপূর্ণ থাকে। এ নদীর তীরে নসিপুর, মহিষাবান প্রমুখ অবস্থিত।

সুখদহ নদীঃ
এ নদীটি স্থানীয় পর্যায়ের এবং ঋতুভিত্তিক সচল থাকে। গাবতলী থানার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নস্থ বালিয়াদিঘী মৌজা থেকে বের হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে কিছুদূর অগ্রসর হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় প্রবেশপূর্বক উত্তর পূর্ব দিকে কিছুদূর অগ্রসর হয় এবং গাবতলী থানার দুর্গাহাটা ইউনিয়নস্থ দুর্গাহাটায় পুনরায় প্রবেশ করে উত্তর পশ্চিমে কোনাকুনি দুই মাইল প্রবাহিত হয়ে আবার সারিয়াকান্দি থানার ফুলবাড়ি মৌজা হয়ে নারচী ইউনিয়নস্থ নারচী, পরবর্তীতে বাঙালী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটি আনুমানিক ৮/১০ মাইল দীর্ঘ এবং এর তীরে নারচী একটি পুরাতন জনপদ অবস্থিত। বর্তমানে নদীটি ফুলবাড়ির নিকট একটি খালে পরিণত হয়েছে।

ডাকুরিয়া নদীঃ
সারিয়াকান্দি উপজেলার হাট শেরপুরের নিকট যমুনা থেকে বেরিয়ে পুরান নিজতিতপরল ধাপ, পারতিত পটলের নিকট দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হিন্দুকান্দির নিকট বাঙালী নদীতে পতিত হয়েছে। আবার পারতিত পটল মৌজার পূর্বে এবং ধাপ মৌজার পশ্চিমে প্রবাহিত নদীটিও ডাকুরিয়া নামে পরিচিত। এ নদীটি ছোট এবং অতীতে অনেক খরস্রোত নদী বলে পরিচিত। ছিল। নদীটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২/৩ মাইল।

বেলাই নদী
ঃ সারিয়াকান্দি উপজেলাস্থ ময়ুরের চর নিকটবর্তী যমুনা/দাওকোপা নদী হতে বেরিয়ে যথাক্রমে চরবাটি, চর পাকুড়িয়া, দেলুয়াবাড়ি, ফটকেমারী, মথুরাপাড়া, দেবডাঙ্গার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ছাগল ধরার নিকট বাঙালী নদীতে পড়েছে। তবে বর্তমানে নদীটি বালি দ্বারা পরিপূর্ণ বিধায় তার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এর আনুমানিক দৈর্ঘ্য প্রায় ৫/৭ মাইল।

ভাদাই/ভদ্রাবতী নদীঃ
বগুড়া শহর থেকে ৪/৫ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে সদর থানার আক্কেলপুর ইউনিয়নস্থ সাবরুল নামক বিল থেকে নির্গত হয়ে অাঁকা বাঁকা পথে খরনা ইউনিয়নের কুন্দাদেগমা, শিবদেগুমা সাতকাউনিয়া, দেগমা, ভাদাইকান্দি, লাতাগাড়ি, গোহাইল ইউনিয়েনের গোহাইল, মাঝহাটা এবং গোহাইল খরনা ইউনিয়নের সীমানা, শেরপুর, নন্দীগ্রাম ও সিংড়া শেরপুর থানা সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে সিরাগঞ্জ জেলা তথা চলনবিল অঞ্চলে পতিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬/১৭ মাইল এবং এর তীরে গোহাইল, মাদলবাড়িয়া, পালগাছা, মাঝহাটা ইত্যাদি প্রখ্যাত জনপদ অবস্থিত।

চন্দ্রবতী নদ
.ীঃদুপচাঁচিয়া থানার ৪/৫ কিলোমিটার পশ্চিমে গুনাহর ইউনিয়নের পুকুরগাছা, মেরাই ও রঘুবংশীপুর থেকে তিনটি স্রোতধারা সোজা দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের থিহালী মৌজায় মিলিত হয়ে আমসাড়া হতে অন্য একটি স্রোতধারার সঙ্গে এবং মিলিত হয়ে সে ধারা মথুরাপুর হয়ে আদমদীঘি থানার নসরৎ ইউনিয়নের কন্টু মৌজা ও বগুড়া-নাটোর রেললাইন অতিক্রম পূর্বক কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের নিমকুড়ি, বাসিকোরা হয়ে নওগাঁ জেলার রাণীনগর থানায আত্রাই নদীতে পড়েছে। নদীটি ১০/১২ মাইল দীর্ঘ এবং প্রায়ই শুষ্ক থাকে।

গাংনই নদীঃ
শিবগঞ্জ থানার উত্তর পশ্চিমস্থ মৌজা ময়দানহাটা ইউনিয়নের পলাশী থেকে বেরিয়ে জয়পুরহাটের কালাই থানা-শিবগঞ্জ থানা সীমানা বরাবর মাইল তিনেক অগ্রসর হয়ে গোতিলা নামক স্থানে পূর্ব দিকে ২/৩ টি বাঁক নিয়ে উত্তর কৃষ্ণপুর, চান্দার হয়ে কিচক ইউনিয়নের পাতৈর, জয়পুরহাট কিচক রাস্তার মোড় নিয়ে সোজা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চককানু, শিবগঞ্জ ইউনিয়নের চক গোপাল, বিহার ইউনিয়নের নাতমরিচা, বানাইলের নিকট করতোয়ার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ইহার দৈর্ঘ্য ১০/১২ মাইল। এর তীরে কিচক, বিহার ইত্যাদি জনপদ অবস্থিত। এ নদীতে সব ঋতুতে পানি থাকে না।

গজারিয়া নদীঃ
সোনাতলা ইউনিয়নের উত্তরের মৌজা বারইপাড়া দিয়ে প্রবেশ করে অাকাবাঁকা পথে কৃষ্ণ চিন্দ্রপুর কানিতলা বাজার ও জামেরবাড়িয়ার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সোনারায় ঘুরে গাজীরাতে পশ্চিম উত্তর দিকে থেকে ইহা ইছামতির সঙ্গে মিলিত হয় এবং মিলিত ধারা গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা, নেপালতলি, দুর্গহাটা হয়ে হলহলিয়া বা বাঙালীর সঙ্গে মিশেছে। এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫/৭ মাইল।

মানস/মোনাস নদীঃ

সারিয়াকান্দি উপজেলাস্থ পাকুড়িয়া মৌজায় যমুনা নদী থেকে একটি স্রোতধারা মানস/মোনাস নামে বেরিয়ে বাঁকা পথে চরকুমার পার হয়ে ছাগলধারার নিকট উত্তর থেকে আগত বাঙালী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মিলিত ধারাটি দক্ষিণ পশ্চিমে একটু বাঁক নেয় এবং ছাইহাটা-কালাইহাটা হয়ে চরকাদহ নদীর সঙ্গে মিশে যায় এবং দক্ষিণ দিকে বেড়েরবাড়ি, বিলচাপড়ী, এলাঙ্গী, খামারকান্দি হয়ে কল্যাণী খানপুর পর্যন্ত অগ্রসর হয় এবং হলহলিয়া বা ফুলজোড় নদী নামে দক্ষিণ দিকে অাঁকাবাঁকা পথে যথাক্রমে চমরপাতালিয়া, আওলাকান্দিত, সুঘাট, ফুলজোড়, ঘাশুরিয়া, মধ্যভাগ, সীমাবাড়ি, হয়ে চান্দাইকোনায় সিরাজগঞ্জ জেলায় পতিত হয়। অপরদিকে সারিয়াকান্দি থানার সারিয়াকান্দি বাজারের ৪ মাইল দক্ষিণে-পশ্চিম থেকে একটি জলধারা মানস নামে সোজা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ দিয়ে অগ্রসর হয়ে কুতুবপুর দেবী ঘাটের কাছে একটি পরিত্যক্ত নদীখাত দিয়ে চন্দনবাইশা, রক্তদহ, কামালপুর, বেহালা, পাকুড়তলি, নাতাবাড়ি হয়ে ধুনট পৌরসভার চতুর্দিকে একটি ঘূর্ণি খেয়ে শাখাটি পশ্চিমস্থ ফেরীঘাট পার হয়ে কল্যাণীর কাছে পৌঁছে এবং কৃষগোবিন্দপুর হয়ে ইছামতির সঙ্গে মিশে যায়।

বানিয়াইয়ান নদীঃ
ধুনট থানার উত্তরস্থ নিমগাছী ইউনিয়নের ধামাসামা মৌজার উত্তর দিকে দিয়ে প্রবেশ করে পূর্বদিকে একটু বাঁক নিয়ে আরো কিছুদূর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে বানিয়াইয়ান নদীটি বাঁক পথে মাঝবাড়ি, ছিয়ালি, চিকাশি ইউনিয়নের চিকাশী, মোহনপুর, কালেরপাড়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর ও আনারপুর পর্যন্ত অতিক্রম করে বাঙালী নদীর সঙ্গে মিশে ধুনট পৌরসভা পার হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানায় প্রবেশ করে। নদীটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৭/৮ মাইল এবং এর তীরবর্তী প্রসিদ্ধ স্থানসমূহ যেমন নিমগাছি, ধুনট ইত্যাতি অবস্থিত। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এ নদীটি বাঙালী নদীরই ধারাবাহিক প্রবাহ পথ, শুধু স্থানীয় কারণে এরকম নামের সৃষ্টি ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হয়।

ইরামতি নদীঃ
দুপচাঁচিয়া বাজারের প্রায় ৪ মাইল পশ্চিমস্থ রায়কালি, পানোগাছা ও ইসলামপুরের মধ্যস্থ বিল/জলাশয় থেকে তিনদিক থেকে আগত তিনটি ধারা বেরিয়ে এসে কিছুদূর দক্ষিণ দিকে অগ্ররস হয়ে পশ্চিম ও মধ্যবর্তী ধারা দুটি একত্রে মিলিত হয়। মিলিত ধারাটিসহ পূর্বধারাটি আরো দক্ষিণে কিছুদূরে অগ্ররস হয়ে একত্রে মিলিত হয় এবং মিলিত ধারাটি ইরামতি নামে দক্ষিণ-পশ্চিম কৌনিক পথে খালিলি, নশরৎপুর ও সান্তাহার বগুড়া রেললাইন অতিক্রম পূর্বক প্রবাহিত ধারাটি আদমদীঘি থানার পারাইল বিলে এসে মিলিত হয়। এ নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ মাইল এবং নশরৎপুর, সাজাপুর প্রভৃতি জনপদ এর তীরে অবস্থিত।

ভেলকা নদীঃ গাবতলী উপজেলা রামেশ্বরপুর ও গাজীরার মধ্যবর্তী বিল হতে ভেলকা নামে একটি স্রোতধারা বেরিয়ে নারুয়ামালা হাটের সন্নিকটে ইছামতির সঙ্গে মিলিত হয়।

এছাড়া এ জেলায় নিরঞ্জন নদী, চন্দ্রাবতী নদী, বেহুলার খাড়ি নদী ইত্যাদি বয়ে চলেছে এবং ইতিমধ্যে অনেকগুলো মজেও গেছে।

উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বগুড়া জেলার উপর দিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদী প্রবাহিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নদীর উৎপত্তিস্থল যা জেলার পরিসরে এসব নদ-নদীর অসাধারণ গুরুত্ব বিদ্যমান। সার্বিকভাবে এসব নদ-নদী যোগান দেয় সেচকার্যের জন্য পানি এবং ভূগর্ভস্থ পানির পুনঃ সঞ্চারণসহ নিত্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনের প্রতিটি স্তর। তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে বার্ষিক বন্যা সংঘটনে (উপকার ও ধ্বংসাত্বক উভয়ই) এবং কিছুটা মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধির কারণে। তারা উন্নতমানের স্বাদু মৎস্যক্ষেত্রের আধার। তারা নৌপথে অনেক মালামাল সরবরাহে সুব্যবস্থা করে থাকে। তারা অনেক পবিত্রস্থানের আধারও বটে এবং তাদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। অর্থাৎ নদ-নদীর অস্তিত্বের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্কে রয়েছে জীবন ও সভ্যতার। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে উজান এলাকার কর্মকান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত নদীখাত গ্রাসসহ উৎস মুখ ও নদীখাতে অযাচিত ও অবিবেচিত হস্তক্ষেপ যেমন-বাড়িঘর, বাঁধ, রাস্তাঘাট ইত্যাদি স্থাপনা নির্মাণ কার্যাদি ইতিমধ্যে রুদ্ধ করেছে অনেকের স্বাভাবিক গতিপথ, মজে গেছে সারা কলেবর এবং সম্মুখীন হচ্ছে ঝুঁকিবহুল চলাফেরা। অথচ নদীমাতৃক এদেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে এসব নদ-নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বহালসহ অন্যান্য হস্তক্ষেপজনিত কার্যকলাপ বন্ধ করা অর্থাৎ গতিপথ স্বাভাবিক রাখা এবং তাদের সম্পর্কে আরো সজাগ ও সচেতনা বৃদ্ধি করা। আসুন এখন থেকেই তা শুরু করি।

তথ্য সূত্র ঃ http://travel.bdbrands.com
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×