জাতি আজ মুক্তির চল্লিশতম উৎসব পালন করছে। কিন্তু সত্যিকারে মুক্তি কি সত্যিই এসেছে? যে দেশে সত্য বলার জন্য দেশপ্রেমিকদের জেলে পুরে দেওয়া হয়, যেমনটি দিয়েছিল মিয়ামারে সুচিকে সে দেশে অবার কেমন স্বাধীনতা ? যে দেশের সরকার গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্তব্ধ করতে চায় তার পেটোয়া বাহিনী দ্বারা, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির নামে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসকে বৈধতা দেওয়া হয় তা কেবল ফ্যাসিবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। তবে সে দেশের দেশপ্রেমিদের বলছি আমরা কি ক্ষমার অযোগ্য? দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলার কারণে আপনাদের জেলে পুরে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তা চায়নি। আমাদের ক্ষমা করুন, আমরা আরও লড়ব, সত্যের ও গণতন্ত্রের জয় হবেই।
সত্যের নির্ভিক সৈনিক, গণতন্ত্রের পূজারী মানবতাবাদী মাহমুদুর রহমানকে আটকে রাখতে পারেনি ফ্যাসিষ্ট সরকার । এটি বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবী ছিল। দেশের মানুষ আজ ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি চায় । আমরা বিশ্বাস করি আমরা তা এনে দেবই । হে মানবপ্রেমী ,আপনাদের মত কিছু ব্যাক্তি যুগে যুগে আত্মত্যাগ করেছে , সত্যের পথে লড়াই করেছে বলেই পৃথিবী আজও এত সুন্দর। গণতন্ত্র নামক শব্দটি পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি। আপনি বিশ্বাস করুন আপনার বন্দী জীবন দেশের মানুষকে সাহস আর অনুপ্রেয়ণা দিয়েছে অসত্যের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। আপনার বন্দীত্ব বৃথা যায়নি। আমরা তা হতে দেব না। খুব তাড়াতাড়িই আমরা দেশে গণতন্ত্র, সত্য বলার স্বাধীনতা, মিডিয়ার স্বাধীনতা ও আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ করে দেব আমাদের দেশে ফ্যাসিবাদী পুলিশি ব্যবস্থা টিকে থাকে না। মানুষ লড়তে জানে । যেমনটি লড়েছিল বৃট্রিশ শাসনের বিরুদ্ধে, বায়ন্ন, একাত্তর, নব্বইতে। এখন লড়ছে মিডিয়ার স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ,আইনের শাসনের দাবীতে, আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।
হে মহাত্মা আমরা আছি আপনার পাশে, সত্যকে সত্য বলে তুলে ধরার জন্য, আমাদেরকে আর একটু সময় দিন। দেশের সহজ সরল মানুককে দশ টাকা কেজি চালের কথা বলে চাক্ষুষ প্রতারণা আর স্বৈরাচারের প্রতিষ্ঠার জবাব দেশের মানুষই দেবেই, সে দিন আর বেশী দূরে নয়। তত দিন আমরা দেশকে পাহারা দেবার জন্য জেগে আছি যেন ষড়যন্ত্রকারীরা যেন আমাদের দেশকে রামরাজ্যে রূপান্তর করতে না পারে।
#................