মাঝরাতে জয়া... ১ম অংশ
কতদিন গেছে এই পাঁচতারা হোটেলের পাশ দিয়ে কিন্তু কোনদিন ভেতরটা দেখা হয়নি! দেখা বলতে ওই বিশালাকার মিলনায়তন, যেখানে প্রায়ই বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়। আজ সন্ধ্যায় কাজী অফিস থেকে বেরিয়ে যখন জয়া, মির্জা আর দুজন বন্ধু এখানে খেতে এলো...জয়ার মনটাই জুড়িয়ে গেল! ডোর ম্যানের অভ্যর্থনা, সুন্দর, শান্ত, ঝকঝকে লবি...ঠিক যেন ছবিতে দেখা বিদেশের মতো! রেস্টুরেন্টের হোস্টেস দেখতে আমাদের অনেক দেশী মডেলদের চাইতে ভালো। কিন্তু খাবারের কি দাম বাবা! একেকজনের বুফ্যে ডিনার দু’হাজার টাকা! নাহ আজ আর জয়া মির্জাকে বাধা দেয়নি। করুক না একটু খরচা...টাকা নেই তো কি!...আজ যে ওদের বিয়ের দিন! না হয় ঘটা করে কিছু হয়নি, কিন্তু দিনটা তো আর স্মৃতি থেকে মুছে যাবে না! চিরকাল মনে থাকবে...
হাসি, ঠাট্টা, গল্পে সময় যে কখন ১০টার কাটা ছুই ছুই করছে বোঝা যায়নি। উঠে গেল ওদের বন্ধু দুজন। মা’র বাসায় বাচ্চা রেখে এসছিল, তাই রাত করেনি ওরা। ওরা যেতেই ফোন বেজে উঠলো মির্জার। উঠে গিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে কি বলছে মির্জা? কার সাথে কথা বলছে! বুঝতে চেষ্টা করলো জয়া...নাহ...বোঝা যাচ্ছে না! জয়া ডেজার্টে মন দিল। কি দারুণ এদের আইসক্রিম! ঠিক যেন প্রথম প্রেমের অনুভূতি! আচ্ছা বাইরে এমন পাওয়া যায় না কেন? নাকি যায় কোথাও...জয়ারই যাওয়া হয়নি...
তাড়াহুড়ো করে বিল মিটিয়ে মির্জা খানিকটা ছুটে এলো। “জয়া আমার এক্ষুণি যেতে হবে...খুব সমস্যা হয়ে গেছে...”
শেষ করতে দেয় না জয়া... “কি, হয়েছে কি! আহা...বল না এমন হাপাঁচ্ছো কেন?”
মির্জাঃ “অত কথা বলার সময় নেই, আমি এক্ষুনি ফিরে আসছি...তুমি প্লীজ লবিতে বা কোথাও বসো। প্লীজ রাগ করোনা...আমি যাবো আর আসবো”
মির্জা ছুটতে লাগলো...জয়া ডাকছে পেছন থেকে... “মির্জা...মির্জা...” রেস্তোরার বাকীরা ঘুরে তাকাচ্ছে জয়ার দিকে! জয়া সামলে নেয়। ওই রকম অবস্থাতেও জয়ার অবচেতন মন বুঝতে পারে এখানে যারা আসে তারা জোরে কথা বলায় বা শোনায় অভ্যস্ত নয়।
লবিতে বসে অনেক কথা ভাবে জয়া। শঙ্কা-আশঙ্কায় ভরে উঠে মন। রাত বারোটা বাজতে চলল...সেই যে গেল...কিন্তু ফিরছে না কেন? ফোন বেজে চলেছে ওপাশে, ফোনও ধরছে না! দৌড়ে ছুটতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেনিতো মোবাইলটা! জানানো হয়েছে ওই দুজন বন্ধুকেও, ওরাও চেষ্টা করছে। কিন্তু কই মির্জা...মির্জাতো নেই কোথাও!
(চলবে)
আলোচিত ব্লগ
ব্যাড গাই গুড গাই
নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
টান
কোথাও স্বস্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকাতে ছুটির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছবি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বাড়ে গতিবেগ
ভাবনাদের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্বস্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজলে ঢেউ এসে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্পতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী
স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ
১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি
অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?
যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন