somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বায়ু-পরিবর্তন আবশ্যক, নহিলে হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো হইতে পারে।(পব-১)

২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিমালয়ের তুষার শুভ্রতার অন্তরালে জন্মে ছিলো নাম না জানা এক পাহাড়ি ফুল। আকাশের সাথে চলতো তার অবাধ মিতালি। স্বচ্চ ঝরনা ধারে তার পাপরির পেলবতায় রেখে যেত সুখের পরশ। একদিন সেই ফুলটিকে আসতে হলো কোলকাতার বদ্ধ পরিবেশের পরিমিন্ডলে।বন্ধ হলো হেমন্তের উদাস দুপুরে আকাশের সাথে চুপি চুপি কথা বলা। ইট কাঠ পাথরের শহরে আস্তে আস্তে নিসঃশেষ হতে থাকে নিষ্পাপ একটি প্রান। অবশেষে একদিন সেই ফুলটি ঝরে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ ঝরে পড়া সেই ফুলটির নাম দিলেন হৈমন্তী। হৈমন্তীর মৃত্যুর পূবে রবীন্দ্রনাথ তাকে বাচাতে একটা প্রেসক্রিপশান দিয়েছিলান। তাতে লেখা ছিলো "বায়ু পরিবতন আবশ্যক"। হৈমন্তীর শশুর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ সেই প্রেসক্রিপশান মুল্যহীন হলেও আজকের এই শহরে বায়ু পরিবতনের প্রয়োজনীয়তা অনেকের কাছে সীমাহীন। তাইতো ব্যস্ত শহুরের ঝঞ্ঝাট আর কোলাহল ছেড়ে অনেকে অবসর খোজে গ্রাম বাংলার অপুরুপ সুন্দরের মাঝে।
‌‍
একঘেয়ে জীবনের হাত থেকে খনিকের মুক্তি যখন আদম্য প্রাথনা, তখন জীবনে যদি টেনে নিতে চায় শান্ত প্রকৃ্তির মাঝে, কার সাধ্য তা অবঙ্ঘা করে। কম-ক্লান্ত দিনশেষে যখন ১৮জন নাবিক নিরুদ্দেশার উদ্দেশে রওনা হয়, তখনও পৃথিবীতে আলোর আধিপাত্য পুরোপুরি প্রতিওমান। ব্যাস্ততার বলয় থেকে ঝখন মুক্তির উল্লাসে হৃদয় প্রকম্পিত হতে রাজি,অনাকাংখিত ঝঞ্ঝাট তখনও কপালের ভাজগুলোকে আরো স্পষ্ট করে। তবুকি থামিবার উপায় কেও খোজে? রিনিঝিনি বৃষ্টিতে মন যখন ভিজতে উদ্গ্রিব, ভয়ানক এসিডের ভয়ে ভীতু রয়ে গ্রহকোনে, ১৮জন ছুটে চলে আপন গতিতে। ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী যখন গদ্য পদ্য মদ্য কে জগা-খিচুরি বানতে চায়, হায়!! তখনো কেও থামিতে না চায়...ওরা ১৮জন ছুটে যায়। কিশোর ছেলেকে কোলে তুলে কে যেন পরশ্রীর নজর কারে। তার প্রমান এখনো তুমি পাবে আশে পাশে...ওরা ১৮জন ছুটে চলে।

চার তারা হোটেলার বিলাসীতা, পৃথিবীটাকে একটু অলস করে দেয়। গা ছেড়ে সবাইযে ঘুমাতে চায়। ক্ষুদায় যে তখনো উদর কথা কয়। তাই রেস্টুরেন্ট এ সবাই জায়গা করে নেয়। অপেক্ষার প্রহর গুনে যায়। সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা চলে যায়। ও ভাই, বলোনা তোমার খাবার কথায়? খাবার এলে, সবাই হুমরি খেয়ে পড়ে। শুধু একজন ব্যতিক্রম করতে চায়; কারন তার উদর যে অন্য কথা কয়, ক্ষনে ক্ষনে ভয়ানক ডাক দিয়ে যায়।

আস্তে আস্তে রাতের গভীরতা বেড়ে যায়, কোলাহল থেমে যায়, চাঁদটা যেন আধারের মাঝে আলপনা একে দেয়। শহরের ব্যস্ততার মাঝে এসব দেখার সময় কোথায়। তাই এ সুযোগ হাতছারা করা না যায়। সবাই একসাথে বেরিয়ে যায়।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------
একদিন বিরতি দিয়ে আবার লিখতে বসলাম। একেবারে different একটা mood নিয়ে। তাই পড়তে গিয়ে যদি কারো অন্যরকম মনে হয়, তার জন্যে আমি দায়ী নই। দায়টা সময় আর ক্লান্তির উপর চাপিয়ে দিলাম। যাই হোক, চারতারা হোটেলার আশপাশটা যান পিকনিক স্পটে রুপ নিল। cameraর ফ্ল্যাশ আর গল্প বলার হিড়িক পরে গেল। DSLR cameraটা বোধহয় এই প্রথম তার জন্মের সারথকতা খুজে পায়। আর camerar পিছনের এই মানুষগূলো cameraর সামনে রিতিমত মহড়া দিয়ে যায়। রাতের গভীরতা বেড়ে যায়। উপলব্ধির পাতায় সকালের করমটা স্থান পায়। তাই সবাই হোটেলে ঘুমাতে চলে যায়। ওরা চার পাচজন তখনো জেগে রয়। কারন সকালের প্রস্তুতির কিছু কাজ যে তখনো বাকি। বাকি কাজটুকু সেরে সবার হাতে কিছু পেপার ধরিয়ে ওরাও ঘুমাতে চলে যায়। ঘুমকি এত সকালে আসে? Channel 29 এ কি জেনো বাজে।

সকালের সুয্যটা ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকে। তাই কেও তাকে খোজে swimming pool এ, আর কেওবা খোজে শশুর বাড়ির ছাদে। বাকিদের কাছে সুয্যটা আসে সপ্ন বা দুঃস্বপ্নের মাঝে। এত কিছুর মাঝেও সকালের নাস্তাটা সবাই মোটামুটি একসাথে সারে। এর পর বলার অপেক্ষা না রাখে...সবাই বেরিয়ে পরে group assignment এ। দুজনকে তখনো দুঃসপ্ন তারা করে। তাদেরকে সারাদিন পড়ে থাকতে হয় ইট কাঠ পাথরের বদ্ধ পরিবেশের পরিমন্ডলে।


আজ এইটুকু, বাকিটা পরে কখনো হবে...কিছু কথা না বললে আপুরন্যতা রয়ে যাবে। ব্যস্ততার মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম এমনভাবে, যে আমার এক বন্ধুকে মনে করিয়ে দিতে হল- আমারও কিছুটা সময় আছে লেখার, পড়ার, নিজেকে দেবার। তাই বহু বছর পর লিখতে বসলাম। লেখায় নিশিচত অনেক ভুল ত্রুটি আছে। তার অনেকটাই আমার, বাকিটা unicode system এর। এখানে লেখা সল্প কিছু শব্দ, কিছু বাক্য মনের ঝুড়িতে পড়ে থাকা অনেকদিন আগে ধার করা। তাদের প্রয়োগ এখানে যদি কারো কাছে অবাঞ্ছিত মনে হয়, তাতে আমার কিইবা করার আছে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×