somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ব্লগ যুদ্ধে যোগ দিন এবং ব্লগিতিহাসে অমর হয়ে যান" সাথে "ব্লগ শ্রেষ্ঠ হবার নতুন উপায়"

২৬ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে নতুন প্রজন্ম নিজেদের মাঝ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার নির্বাচন করে আসছে।এবং ভার্চুয়াল যুদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন বিখ্যাত ও কুখ্যাত পদক একে অপরকে দিয়ে আসছে।
যদিও কিছু আতেল বলে এগুলো আসলে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়ার নামান্তর তবে আমরা ধরে নিতে পারি যারা বর্তমানে চলমান ভার্চুয়াল যুদ্ধকে অস্বীকার করে তারাও শত্রু পক্ষ।

এটা কোন যুদ্ধ?

এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেরই প্রবম্বিত অংশ।যেহেতু ৭১ এ ব্লগ ছিল না তাই ভার্চুয়াল "সাহসী" দেশপ্রেমিকরা এবং ভার্চুয়াল রাজাকাররা যুদ্ধে অংশগ্রহনের সুযোগ বন্চিত হয়েছে।এখন সেই অভাব ঘুচানোর জন্যই ৭১এর মুলভাবের উপর এই যুদ্ধের আয়োজন।

কারা যুদ্ধ করে?

মুক্তিবাহিনী পক্ষে যুদ্ধ করে মুলত অল্পবয়সী বেকার ও ছাত্র সমাজ তবে নেতৃত্বে আছে সদ্য চাকরীতে নিয়োগ পাওয়া তরুনেরা যাদের অধিকাংশই দেখা যাচ্ছে উচ্চশিক্ষার্থে বা পড়াশোনা শেষ করে বিদেশেই অবস্থান করেন

রাজাকার পক্ষ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে কারন এই পক্ষে'র কেউই নিজ অবস্থান নিশ্চিত করে না! তবে যতটুকু বুঝি রাজাকার পক্ষে মুলত যুদ্ধরত হল: প্রাক্তন মাদ্রাসা ছাত্র,ধার্মিক তরুন ও শিবিরের রাজনীতিতে আকৃষ্ট লোকজন।

কেন এই যুদ্ধ ?

এই যুদ্ধের কারন খুজতে গেলে অনেক কিছু নিয়া টানাটানি করতে হবে তবে এটুকু নিশ্চিত করা জেনে রাখুন এই স্বাধীন বাংলাদেশে এই যুদ্ধের মুল উদ্দেশ্য যদিও জাতিয়তাবাদ চাঙ্গা করা তবে আমার বিশ্বাস এই যুদ্ধ চলছে স্বার্থ আদায়ের লক্ষ্যে।কারন বর্তমানে এই যুদ্ধে অংশ নেয়ার চেয়ে সহজ পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার অন্য কোন উপায় নেই!

যুদ্ধে আপনার প্রাপ্তি কি?

আবার জিগায়! এই যুদ্ধে আপনি যদি একবার নাম করতে পারেন তাহলে আপনার কপালের গোপন সৌভাগ্যের তালা খুলে যাবে চিরদিনের জন্য। একটিও বুলেট খরচ না করে, কোন বাস্তব ঝুকি না নিয়ে শুধু ব্লগর ব্লগর করে ও সৃষ্ঠিশীল খিস্তি-খেউর করে আপনিও হতে পারেন কোন প্রকারের ব্লগশ্রেষ্ঠ, বীর ব্লগার, ব্লগ সৈনিক! যদি কিছুটা তরিৎকর্মা হন তাহলে এই মন্দার বাজারে শুধু ইন্টার পাশ করেই বিভিন্ন ব্লগে চাকরিও জুটে যেতে পারে যা আপনার পরিবারে অন্নসংস্থান নিশ্চিত করবে!তা না হলেও আপনার যেকোন লেখাই হবে "ফাটক" ধন্য!

কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলে যোগ দিবেন?

একটি অন্তহীন ইন্টারনেট কানেকশান নিয়ে শুরুতে কিছুদিন "ইয়াহু" ভয়েস চ্যাটরুমে যেয়ে গালাগালীর উপর ছোট্ট একটা কোর্স করুন এরপর নিরলস ভাবে ব্লগে এসে জীবনে পরিবার ও সমাজে যেসব গালাগালী শুনে এসেছেন তার সঠিক ব্যাবহারিক স্থান নির্বাচন করে উগরে দিন। ছাগু কন্সেপ্ট ক্লিয়ার রাখুন এবং বিখ্যাত সব কসাইয়ের ব্লগ পোস্টে যেয়ে এই মর্মে জবানবন্দি দিন যে "আমি খাউজাইত চাই,বিপদে-আপদে-সুদিনে-কুদিনে আমি কসাইদের নির্দেশ পালন করবো" এর পর খেয়াল করবেন কোন ব্লগশ্রেষ্ঠ কোথায় পোস্ট এবং কমেন্ট করে ,এর পর আপনি তার করা পোস্ট বা কমেন্টের সুত্র বজায় রেখে শুধু মন্তব্য দিয়ে যাবেন! ২/৩ সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ট্রেনিং সম্পুর্ন হবার পর আপনি হবেন ব্লগযোদ্ধা পরিবারের গর্বিত অংশ!



একটি উপহার : আপনি যা করে সর্বকালের অন্যতম সেরা যোদ্ধা হতে পারেন

একটি ছাগল কিনুন। এবার তার ছবি তুলুন। পরদিন সকালে ছাগলটিকে জবাই করুন এবং জবাই করার সময় ২ টি ক্যামেরা চালু রাখুন।একটি দিয়ে বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলে স্টিল পিকচার তুলুন অন্যটি দিয়ে ভিডিও করুন।খেয়াল রাখবেন আপনার এবং ছাগলের দুটির চেহারাই যেন পুর্ণ ফোকাসে থাকে। ছাগলটির গায়ে মার্কার দিয়ে নিজামি বা গোলাম আজম লিখে দিলে ছোট এ্যান্টেনার ব্লগারদের বুঝতে সুবিধা হবে।



যেহেতু গালাগালী আর ছাগল জবাইয়ের মাঝেই এই যুদ্ধ সীমাবদ্ধ তাই আপনার আর কোন যোগ্যতার দরকার নেই।নিশ্চিন্ত মনে যুদ্ধ করে যান, নাম এবং ভাগ্য ভাল হলে কাম সবই আপনার হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
২৪টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×