পাশের বাড়ির মেয়ের সাথে প্রেম চলছিল দীর্ঘদিন যাবত। এবার ছোট একটা চাকরী মিলেছে। তাই মনে জেগেছে ঘড় বাধার স্বপ্ন।
“আর কতদিন পালিয়ে পালিয়ে কথা বলব, ভয়ে ভয়ে দেখা করব তোমার সাথে। এবার না হয় তোমাকে নিজের কাছেই নিয়ে আসি।“
একথা শুনতেই দেখি চোখে মুখে রক্তিম আভা। সে আভা পাগল করে দিয়েছিল আমাকে। এই রক্তিম আভা আমি চিরদিন দেখতে পাব। এটা ভেবেই যেন মন একটা অজানা দোলা দিল। কথা বলার মাঝেই কিছুক্ষণ হারিয়ে গেলাম কল্পনার জগতে, সেখানে দেখতে পেলাম তাকে রানী হিসাবে। ওর হাতের চিমটিতে বাস্তবে ফিরে এলাম।
সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলাম,”আচ্ছা তোমাকে বিয়ে করে আমার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর লোকজন তোমাকে দেখতে আসবে না? তখন তুমি কি করবে”।
-“আমি কারো সাথে দেখা করবোই না”
-“তাহলেতো লোকজন খারাপ বলবে, বলবে বউটা অনেক অহংকারী”
-“ঠিক আছে দেখা করবো, কিন্তু ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখবো”
-“তখন আমি তোমায় দেখবো কিভাবে”
-“তুমি যখন দেখতে চাইবে তখনই ঘোমটা খুলে দেব”
-“ঠিক আছে তোমার যা ভাল লাগে তুমি তাই করবে”
আমি ইহাকে চিরজীবনের জন্য পাবো। ভাবতেই মনটা প্রফুল্ল হয়ে উঠলো। জীবনের সমস্ত চাওয়াই যেন পাওয়ায় পরিণত হবে। আমি তোমাকে পুতুলের মত সাজিয়ে রাখবো আমার মনের আলমারীতে। আর যখন দেখতে ইচ্ছা করবে তখনই প্রাণভরে দেখে নেব।চারদিকে হু হু করে বাতাস বইছে মনে হয় তা হয়তো আমার মনকে অতিরিক্ত প্রাশান্তি দেয়ার জন্যই।
-“আমি তোমাকে বাসর রাতে একটা গিফট দিতে চাই। বল তুমি আমার সাধ্যের মধ্যে কি চাও?”
-“তুমি খুশি হয়ে যাই দিবে তাই আমার কাছে সবকিছু”
-“না তারপরও বল না”
-“তোমার যা ইচ্ছা”
আচ্ছা ব্লগার ভাইয়ারা আপ্নারা আমাকে সাজেশন দেন কি দিলে আমার স্বপ্নকণ্যা সবচেয়ে বেশী খুশি হবে?
---------------
{লেখাটা বাস্তবজীবনের অংশ, তবে আমার ঘটনা না, এটি আমার এক পরিচিতজনের, সে আমার কাছে কী গিফট দেয়া যায় সেই ব্যপারে পরামর্শ চাইলো}