somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা শিক্ষা'র সংকটই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত ছাত্রশিবিরীকরণের প্রধান কারণ

২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কদিন আগে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি ছেলেকে প্রশ্ন করেছিলাম, “তুমি কি বলতে পার রাজাকার কারা?” সে একশ্বাসে বলে ফেলল রাজাকার, আলবদর, শামসুল হক :D । আল শামসের পরিবর্তে শামসুল হক কি ইয়ার্কি করে বলল নাকি দ্রুত বলতে গিয়ে উল্টে ফেলল জানিনা। বলেই দিল এক ভো দৌঁড়। আমার আর জানা হলনা আসলেই সে রাজাকারদের আসল পরিচয় জানে কিনা। তারপর আরেকদিন আরেকটি ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম সাত বীরশ্রেষ্ঠের নাম। সে হাতের কড় গুনে গুনে বলে ফেলল। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি সম্পর্কেও বেশ ভাল জানা আছে ছেলেটির। কিন্তু রাজাকার সম্পর্কে সেও কেবল দু’একজন প্রতিষ্ঠিত রাজাকারের নামই বলতে পারল। তাদেরকে কেন রাজাকার বলা হয়, তারা যে বাংলাদেশের জন্মকেই চায়নি বা তারা যে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের মানুষদের খুন, ধর্ষন করেছে সে সম্পর্কে কোন কথা তার জানা নেই। এ ছাড়া আরো দু’একজনকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দু’একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে দেখেছি। কেউ কেউ তাদের পাঠ্যসূচীতে কোন্ বীরশ্রেষ্ঠর গল্প রয়েছে তাই-ই বলতে পারে না।

এই ছেলেদেরকে রাজাকার সম্পর্কে প্রশ্ন করে এবং তাদের উত্তর শুনে আমার নিজের মধ্যেই একটু আগ্রহ জাগল শিশুদের পাঠ্যসূচীতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক লেখাগুলো পড়ে দেখার। যেহেতু বর্তমানের সরকারটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে বিবেচিত ও প্রচারিত (মুক্তিযুদ্ধের সোল ইজারাদারও বলা চলে সম্ভবত) তাই শিশু পাঠ্যসূচীতে মুক্তিযু্দ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক লেখাগুলো পড়ার আগ্রহটা একটু বেশিই জাগল।

বই সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে পারলাম না। একজন টি.ই.ও এবং একজন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজরকে অনুরোধ করেও সংগ্রহ করতে পারলাম না। সর্বশেষ ভরসা অনলাইন। খুঁজতে খুঁজতে বইমেলা ডট কমে গিয়ে দেখলাম সব বই-ই এখানে রয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা বইগুলোর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল লেখাগুলো পড়লাম। প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত ছয়জন বীরশ্রেষ্ঠর জীবনী বা মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানের বীরত্বগাথা রয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সম্পর্কে কোন লেখা পেলাম না। সপ্তম শ্রেণীতে রয়েছে জাতীয় চার নেতাকে নিয়ে একটি লেখা। অষ্টম শ্রেণীতে জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি থেকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ শীরোণামে একটি লেখা।

মজার ব্যাপার হল স্বাধীনতা নিয়ে এতগুলো লেখার মধ্যে একটিবারের জন্যও ‘রাজাকার’, ‘আলবদর’, ‘আল শামস্’ শব্দগুলো একবারের জন্যও আসেনি। এটা কি পরিকল্পিত নাকি অনিচ্ছাকৃত জানি না। তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষা দিতে হলে অতি অবশ্যই রাজাকারদের পরিচয়টা তুলে ধরা প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের যত লোকের প্রাণহানি ঘটেছে, যত মা-বোনেরা ধর্ষিত হয়েছেন তার জন্য পাকিস্তানী বাহিনী যতটা দায়ী তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি দায়ী এই রাজাকার আলবদরেরা। অথচ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার শিক্ষার মধ্যে তারা একেবারেই অনুপস্থিত। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের জীবনীটার অনুপস্থিতিও আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধারণ করতে পারেনি। রুহুল আমিনকে রাজাকার, আল বদররাই নৃশংসভাবে খুন করেছিল। আহত রুহুল আমিন সাতরে নদী পার হয়ে তীরে উঠতে চেয়েও পারেননি; আলবদর বাহিনী তাকে চিরতরে সলিল সমাধিস্থ করেছে নদীতেই। অথচ তার জীবনী বা বীরত্বগাথা পাঠ্যসূচীতে কেন অনুপস্থিত? রাজাকার-আলবদর শব্দগুলোর ব্যবহারকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য কি?

সেটা হওয়াটা মোটেই আশ্চর্যজনক নয়। বছর কয়েক আগের একটা সত্য ঘটনা শুনে এর সত্যতা বুঝে নিতে পারবেন হয়তো। বরিশালে একটা পাঠচক্রে তখন আরজ আলী মাতুব্বরের ‘সত্যের সন্ধানে’ বইটা পাঠ্য ছিল। ঐ পাঠচক্রের সবাই-ই মুক্তমনা এবং বরিশালের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। বরিশালে তখন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কোন এক প্রজেক্টে স্কুলে বই সরবরাহ করত। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র তাদের বই রাখার জন্য পাঠচক্রের ঐ কক্ষটি ব্যবহার করত। একদিন পাঠচক্র চলাকালীন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একটি ছেলে বই নিতে এসে দেখল যে পাঠচক্রে আরজ আলী মাতুব্বরের বই পাঠ চলছে। সে কিছুক্ষণ দেখল, তারপর যাবার আগে ছোট একটি চিরকুট লিখে একজনকে ধরিয়ে দিল। তাতে লেখা-“দয়া করে আপনারা পাঠচক্রে ঐ বইটি পাঠ থেকে বিরত থাকুন”। ছেলেটির আস্পর্ধা দেখে এরা বিস্মিত হল এবং পরবর্তীতে ওদের বই রাখার সুবিধা তুলে দিল। কিন্তু এরপর ঐ পাঠচক্রের সদস্যরা একে একে মোবাইলে হুমকি পেতে শুরু করল। দুজনকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়ার আদেশ সম্বলিত চিঠি পাঠানো হলো। সময় ভাল ছিল না তখন। শেষ পর্যন্ত পাঠচক্রটিই ভেঙে দিতে হয়েছিল। জামাত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসে সবখানে, এমনকি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মধ্যেও! জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তো একটা সরকারী প্রতিষ্ঠান, যেখানে বছর পাঁচেক আগেও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ছিল ক্ষমতায়।

জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালে দালাল আইন বাতিল করে দিলে ঐ সময়ে প্রায় ১০-১১ হাজার রাজাকার জেলমুক্ত হয়। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে রাজাকার-আলবদর-আলশামসরা মিলিত হয়ে গঠন করে ইসলামী ছাত্রসংঘের বতর্মান সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির। ছাত্র সংঘের মনোগ্রাম, পতাকা সবই একই রেখে তখনকার শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামী ছাত্রশিবির গঠিত হয়। এরপর একে একে তারা দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দখল করতে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিষয়ক অজ্ঞতা সর্বোপরি ধর্মের উপর বেশিরভাগ ছাত্রদের সংবেদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে শিবির তাদের কাজ হাসিল করে যাচ্ছে এখনো। এবার আসুন দেখি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সম্পর্কে শিবির কী প্রচার করে। এ অংশটা একজন প্রাক্তন শিবির কর্মীর কাছ থেকে জেনে নেয়া।

ছাত্র: মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার আলবদর আলশামস বহু মানুষকে হত্যা করেছে।
শিবিরকর্মী: সেটা তো শিবিররা করেনি। শিবির আল্লাহর আইন কায়েম করার জন্য গঠিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে। তাই তখনকার হত্যার জন্য শিবিরকে কোনক্রমেই দায়ী করা যায় না।
যা বলা হয় না: ছাত্র শিবির গঠিত হওয়ার পূর্বে ছাত্র সংঘ ছিল। তারাই রাজাকার-আলবদর-আলশামসের সদস্য ছিল। (ছাত্র সংঘ সম্পর্কে আমাদের ছাত্ররা কিছু জানেনা বললেই চলে।)

ছাত্র: রাজাকাররাই তো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে গঠন করেছে।
শিবিরকর্মী: ছাত্র শিবির জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কোন সংগঠন না। এর উদ্দেশ্য মোটেই রাজনৈতিক না। ছাত্রশিবিরের গঠনতন্ত্র এবং জামাতের গঠনতন্ত্রে অনেক অমিল রয়েছে।
যা বলা হয় না: ছাত্রশিবির পুরোপুরোই একটি রাজনৈতিক সংগঠন। এবং জামাতের ছাত্র সংগঠন।

ছাত্র: শিবির জামায়াতে ইসলামকে সমর্থন করে কেন?
শিবিরকর্মী: ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামের আদর্শগত মিল রয়েছে তাই শিবির জামায়াতে ইসলামকে সমর্থন করে। ইসলামী শাসন কায়েম করার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলাম কাজ করে, ছাত্রশিবিরও তাই।
যা বলা হয় না: ইসলামের নামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমই শিবির ও জামাতের অভিন্ন লক্ষ্য।

ছাত্র: গোলাম আজমসহ অন্যান্য জামায়াতে ইসলামী রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধে এদেশের অনেক মানুষকে হত্যা করেছিল। অনেক মা-বোনকে ধর্ষণ করেছিল।
শিবিরকর্মী: এর কোন প্রমাণ নেই। এগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। গোলাম আজম যদি এরকম খুনী হতো তাহলে তাকে কিছুতেই এদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হতো না। ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীরা চিরকালই এরকম করে আসছে। হযরত মুহম্মদ (সা:)-এর ক্ষেত্রেও এটা ঘটেছে। তাই বলে তিনি ইসলাম প্রচারে পিছপা হননি।
যা বলা হয় না: মোহাম্মদ (সা:) আর গো. আর মিল খালি দাঁড়িতেই।

তারপরও যদি প্রশ্ন আসে তাহলে তারা বলবে যে জামায়াতে ইসলাম তখনকার রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করেছে। চীনপন্থী কম্যুনিস্টরাও পাকিস্তানের সাপোর্ট করেছিল। রাজাকারদের বিরুদ্ধে খুন ধর্ষন ইত্যাদি অভিযোগগুলো কেবলই ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এর সাথে আমাদের সাধারণ ছাত্রদের ধর্মের প্রতি সংবেদনশীলতা কাজে লাগায় তারা। তারা কোরানের কিছু আয়াত দিয়ে খুব অল্পতেই সাধারণ ছাত্রদের ধরাশায়ী করে ফেলে। ফলাফল আরেকজন ছাত্র ছাত্রশিবিরের পতাকাতলে চলে আসে। এভাবেই এগুতে থাকে ছাত্রশিবির। বর্তমানে শিবির পরিচালিত পত্রিকা ‘কিশোর কণ্ঠ’, ছোটদের সংগঠন ‘ফুঁলকুড়ি আসর’ কোচিং সেন্টারসহ নানাবিধ সংগঠন। ফেসবুক, ব্লগসহ বিভিন্ন ফোরামেও তারা বেশ সক্রিয়।

এবারে আসুন একটু ভাবতে বসি। বই পড়ার প্রতি আমরা একেবারেই বিমুখ। তাই আমরা যা কিছু শিখি পাঠ্যপুস্তক থেকেই। সেই পাঠ্যপুস্তক আমাদের কখনোই সঠিক ইতিহাস শিখায়নি, এখনো শিখাচ্ছে না। আমরা শিখছি না যে একাত্তরের ঘাতক দালালরাই রাজাকার নামে পরিচিত। তাদের নৃশংসতার ছিটেফোঁটাও পাঠ্যপূস্তকে নেই, নেই রাজাকার-আলবদর শব্দগুলোই। নিচের লাইন ক’টি যদি আমাদের পাঠ্যপুস্তকে যোগ করা যেত তাহলে কেমন হতো ভাবুন তো:

‘স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানীদের সরাসরি সহযোগীতা করেছে এদেশের কিছু মানুষ। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে মিলে তারা এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের নৃশংস নির্যাতন করেছে। সাধারণ মানুষদের খুন করেছে, আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে; তাদেরকে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। তারা এদেশের সাধারণ মানুষের ঘর পুড়িয়েছে, কোথাও কোথাও জীবিত মানুষকে ঘরের মধ্যে রেখে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এদেশের তরুণরা যাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে না পারে তাই তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তরুণদেরকে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরেছে। এই বর্বর মানুষগুলিই রাজাকার, এরাই আলবদর, এরাই আলশামস। এরাই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামের রাজনৈতিক সংগঠনের হোতা। এদের ছাত্র সংগঠনই ছাত্রশিবির যাদের পূর্ব সংগঠন ছাত্রসংঘ এদেশের রাজাকার-আলবদর-আল শাসসের মূল ভিত্তি ছিল।'

আমাদের দেশের ছাত্র সম্প্রদায়কে শিবিরের করাল গ্রাস হতে বাঁচাতে এরকম একটি অধ্যায় সকল পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার আবশ্যকতা বোধ করছি। সঠিক ইতিহাস জানলে আমাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিবিরের প্রতি এরকম আসক্ত হতো না এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩২
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×