আজ আর কোন দেশের মানুষের ভাবনা নয়, একটা বিষয় ও তার ব্যপারে বাংলাদেশ বিষয়ক ভাবনা নিয়ে লিখতে চলছি।
শুরু করি ২০১১ এর একটি ঘটনা দিয়ে। সার্ক আয়োজিত ১৪ দিনের এক ট্রেনিংয়ে প্রথমবার বাইরে যাওয়া। ট্রেনিংয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্লাস নিতে গিয়ে বললেন বাংলাদেশ। আমি একটু কুকড়ে গেলাম। ভাবলাম এই বুঝি শুরু হল বন্যা, সিডর, ইত্যাদির করুণ বর্ননা। কিন্তু ইউএন-স্পাইডার থেকে আসা সেই কর্মকর্তা বললেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিখতে হলে, বুঝতে হলে বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে হবে। স্বল্প সম্পদ নিয়েই কিভাবে দূর্যোগ থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখা যায় বা দূর্যোগ আক্রান্ত মানুষকে উদ্ধার ও পুনর্বাসন করা যায় তার রোল মডেল বাংলাদেশ। বিশেষতত সাইক্লোন পূর্ববর্তী সতর্কতা ও পরবর্তী সাড়া প্রদানে বাংলাদেশের সাফল্য অভাবনীয়। আহা, মনে হল কেউ কানে মধু ঢালছে। খুব ভালো লেগেছিল সেদিন।
এবার আসি বিগত নয় মাসের কথায়। আমার কোর্স আর্থ সাইন্স রিলেটেড তাই হট কেক হিসাবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার নানা ফ্লেবারের কয়েকটি ক্লাস ছিল। ক্লাসে আমার মনযোগ নেই, অপেক্ষায় উদাহরনের। আর একসময় এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। নানা দেশ, নানা অর্গানাইজেশন, ইত্যাদি থেকে আসা সবারই একটাই উদাহরন-আমার বাংলাদেশ।
"শিখতে চাও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা তো বাংলাদেশকে দেখো"। এ যেনো দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল মন্ত্র এখন। যতবার বাংলাদেশের কথা এসেছে, ক্লাসে উপস্থিত আমরা দুই বাংলাদেশী বা কখোনো আমি একা গর্বিত.....না বোধহয় কিছুটা অহংকারী হয়েছি। নিজের দেশের ভালো শুনে এক-আধটু অহংকার দোষ বর্জিত।
২য় খন্ডের সমাপ্তি।
(একটা খবর দেই, সার্ক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নানা মেয়াদে ট্রেনিং দেয় যা হয় সার্ক দেশসমূহের সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশেও গেলো বছর দুটি হয়েছে আর এ বছর আরো ট্রেনিং হবে। তাছাড়া অন্য দেশের ট্রেনিংগুলোতো আছেই। যাওয়া-আসা আপনার। তাও সেই দেশের ররাজধানী পর্যন্ত। বাকি সব খরচ ও ট্রাভেল তাদের। শেখার পাশাপাশি ভ্রমন হবে তাও তাদের খরচে। বরাদ্দ থাকলে নগদ টাকাও পেতে পারেন। আর এই কোর্সে বাইরে যেতে ভিসা নয়, সার্ক স্টিকার লাগে যা একদিনেই পাওয়া যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের চিঠি নিয়ে পাসপোর্ট অফসের ৭ম বা ৮ম তলার অফিসে। আগ্রহীরা দেখুন এখানে- http://saarc-sdmc.nic.in/training.asp)
৩য় আসছে............