প্রথমবার শ্বশুরের ভিটায় যাচ্ছেন ক্রিস্টিনা

ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার স্ত্রী এবং তাদের মেয়েও এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন।

এই সফর উপলক্ষে পীরগঞ্জের ফতেহপুরে প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুরবাড়ি মিয়া বাড়িকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। আশেপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

রংপুর-৩ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাক নাম অনুসারে বাড়ির আগের নাম ছিল সুধা সদন। তবে কিছুদিন আগে তার ছেলের নামে বাড়ির নতুন নাম দেয়া হয়েছে জয় সদন। রাস্তার দুই পাশ সাজানো হয়েছে রংবেরঙের তোরণে।

বাড়ির কাছেই নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানেই নামবেন প্রধানমন্ত্রী। 

হেলিপ্যাড থেকে মোটর শোভাযাত্রা করে তারা পৌঁছাবেন বাড়ির ফটকে। সেখানে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেয়া হবে অতিথিদের।

শ্বশুরবাড়িতে বিশ্রাম নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় সেরে ছেলেমেয়ে-নাতি নাতনিদের নিয়ে স্বামীর কবর জিয়ারত করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর বেলা ২টার পর পৌঁছাবেন পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়।

জনসভাস্থল থেকেই প্রধানমন্ত্রী কাঁচদহঘাটে করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত ওয়াজেদ মিয়া সেতু, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো এবং রংপুর নগরীতে নির্মিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস উদ্বোধন এবং কয়েকটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জেলা প্রশাসক জানান।

উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ অতিথি হিসাবে সজীব ওয়াজেদ জয়েরও বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ২০০৮ সালে রংপুর-৬ পীরগঞ্জ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমান মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পীরগঞ্জে এটি তার তৃতীয় সফর। সর্বশেষ ২০১২ সালে ২০ সেপ্টেম্বর তিনি রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা সেতুর উদ্বোধন করেন।

পীরগঞ্জ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, “এটা নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী) নিজস্ব ব্যাপার। তিনি আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে আবার নির্বাচন করবেন, নাকি সেখানে জয় বা অন্য কাউকে মনোনয়ন দেবেন, এটা একান্তই নেত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ২০১১ সালে ৮ জানুয়ারি রংপুরে প্রথম সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে চারটি পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে এবং দুটির কাজ চলছে।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বাকি প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবেন তারা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের সফর উপলক্ষে পীরগঞ্জ এলাকায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। আড়াই হাজার পুলিশ সদস্যসহ র‌্যাব ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান।