‘ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল কেন নয়’

দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ বুধবার এই রুল জারি করে।

স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অপর তিন নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও অর্থ সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মো. আলমগীর হোসেন ও মো. মোস্তফা আহমেদ নামের দুই আইনজীবী গত ২৮ জুলাই এই রিট আবেদন দুটি করেন। আলমগীর আবেদন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের জন্য। আর মোস্তফা আহমেদের আবেদন দক্ষিণের জন্য।

এর আগে গত ১১ জুলাই আইনজীবী মো. আলমগীর হোসেন ও মো. গোলাম নবী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই সিটি কর্পোরেশনের তফসিল চেয়ে স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নোটিস দেন।

আদালতে বুধবার  আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।

২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে উত্তর ও দক্ষিণে দুই ভাগ করা হয়। পরের বছরের মে মাসে তফসিল ঘোষণা করা হলেও আইনি জটিলতায় তা স্থগিত হয়ে যায়।

চলতি বছরের মে মাসে নির্বাচনের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলে নতুন করে তফসিল ঘোষণার উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে একটি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় সীমানা জটিলতায় নির্বাচন আবারো ঝুলে যায়।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সীমানা নিয়ে জটিলতা নিরসনে তারা স্থানীয় সরকারের পরামর্শ চেয়েছে। এ বিষয়ে নির্দেশনা পেলেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।