নরকের দুয়ারে দান্তে ও পুরোনো রোমান কবি ভার্জিলের আত্মার কথপোকথন
-নক্ষত্রহীন আকাশের নিচে এখানে শুধু দীর্ঘশ্বাস,অভিযোগ ও বিলাপ,
তাদের যন্ত্রণায় আমার চোখে পানি এসে গেলো,
মরুচরের ঘুর্ণির মত এখানের বাতাসে
চিরন্তন যন্ত্রণার কান্না,কষ্টের শব্দ ঘুরপাক খায়,
ভয়ে আবিষ্ট আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
প্রভু, আমি কী শুনছি,এ কোন জাতি যারা এমন যন্ত্রণায় পর্যবসিত?
তিনি বললেন, ’সেই দুর্গতরা যারা জীবন কটিয়েছে কোন প্রশংসা ব্যতীত,এমন কী
কারো নিন্দা ছাড়া,
তারা বিদ্রোহী নয় এমনকী ¯স্রষ্টার প্রতিও আনুগত্য পোষন করে না,
স্বর্গ তার সৌন্দর্য বজায় রাখতে তাদের বর্জন করে,
গভীর নরকও তাদের গ্রহণ করে না,
একমাত্র শয়তান তার যশ তাদের উপর উদযাপন করে,
তারপর জিজ্ঞাসা,’ এমন কী যন্ত্রণা যার জন্য এমন গভীর আর্তনাদ করছে তারা???
’মৃত্যুর কোন আশা নেই,হীন অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনের কারণে আর সবার ভাগ্যের প্রতি তাদের শুধু ঈর্ষা,
পৃথিবী তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে,ক্ষমা ও করুণা তাদের ছেড়ে গেছে,
চলো আমরা ও তাদের কথা না বলে সামনে যাই,
আর আমি পেছনে ফিরে দেখি,
অবিশ্রাম অবজ্ঞার পতাকার পেছনে মানুষের দীর্ঘ সারি,
আমি কখনও বিশ্বাস করতাম না ,
মৃত্যু থেকেও ভয়ংকর কিছু হতে পারে,
***** আমি-দান্তে,
প্রভু-ভার্জিলের আত্মা*************