কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় এর দপ্তরী সবার প্রিয় বুদা দা এখন তার একমাত্র ছেলে প্রদীপ কুমার দাস (২৮) এর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তার ছেলের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। ডাক্তারদের মতে, অন্তত একটি কিডনি জরুরী ভিত্তিতে প্রতিস্থাপন করতে না পারলে সে তার সন্তানকে আর বাঁচাতে পারবে না। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উলিপুর প্রেসক্লাব ভবনে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বুদা দা তার অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার জন্য দেশের সহৃদয় ব্যক্তিদের নিকট আকুল আবেদন জানান।
বেসরকারী ঐ বিদ্যালয়টিতে ৪৯ বছর দপ্তরী পদে চাকুরী করে সহায় সম্বলহীন এই মানুষটি এখন ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তার একমাত্র ভরসাস্থল ছেলে প্রদীপের কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এখন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার দরকার। বুদা দা যে বিদ্যালয়ে (উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়) দপ্তরী পদে কর্মরত ছিলেন, সেই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অনেক ছাত্র দেশে ও দেশের বাইরে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশ এবং দশের সেবায় নিজেদেরকে বিলিয়ে দিচ্ছেন এমন অনেক উদাহরন তার সামনে রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার এ দুঃসময়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও অধ্যয়নরত ছাত্র এবং দেশের সকল স্তরের সহৃদয় মানুষকে তার ছেলের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বুদা দা জানান, তার ছেলে প্রদীপ বর্তমানে ঢাকাস্থ ধানমন্ডি কিডনি ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. হারুন-অর-রশিদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানকার কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ প্রদীপকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অতিসত্তর একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। কিন্তু প্রদীপের কিডনী প্রতিস্থাপনে তার পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি নাই। এ অবস্থায় প্রদীপের পিতা সবার পরিচিত বুদা দা ছেলের জীবন বাঁচাতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রদীপকে সহযোগিতা পাঠাতে চাইলে, প্রভাত চন্দ্র দাস, সোনালী ব্যাংক উলিপুর শাখার সঞ্চয়ী হিসাব ৯৫৬৬/৪৭ অর্থ সাহায্য অথবা সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯১৭৫১৯৭৭২।