"যখন ইসলামি ছাত্রী সংস্থার এফবি আইডি থেকে বলা হয়েছিল, নোয়াখালীতে ৫০০০ জনের উপরে ফেরেশতা সাইদীর মুক্তির জন্যে মিছিল করেছে তখন আপনাদের মতো সবাই এটা নিয়ে এফবিতে হাসাহাঁসি, মজা করছিল, বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। আসলে ওই স্ট্যাটাস থেকে মুসলিমদের মধ্যে এইটা প্রচার করতে বলা হয়েছিল যে ওদের সাথে ফেরেশতাও আছে! সাইদির ফাশির আদেশ হওয়ার পর ওই সেম আইডি থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। যা পরবর্তীতে পালন করা হয়েছে। এট লিস্ট, দেখলাম ওরা শনিবারই এফবিতে স্ট্যাটাস দিতে থাকলো, সাইদিকে চাঁদে দেখা গেছে, আসলে ওটাও একটা নির্দেশনা ছিল, যার পরিনাম রবিবার নোয়াখালী, সাতকানিয়া, উত্তর বঙ্গতে দেখলাম। আর আমাদের "নতুন মুক্তিযোদ্ধারা" কিছু না বুঝে এইসব নিয়ে মজা করতে লাগলো। প্লীজ, ওদের এই ধরনের স্ট্যাটাস হাল্কাভাবে না নিয়ে আসল অর্থ খুজার চেষ্টা করুন। জয় বাংলা!"
উপরের কথাগুলো ফেসবুক থেকে নেওয়া, খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে আমরা মনে হয় ভাবছিনা।
প্রথম কথা হচ্ছে, আমরা বাস্তবে একটি যুদ্ধে রয়েছি যা আমরা হালকাভাবে বা ঠাট্টাচ্ছলে নিচ্ছি। আমরা যারা মুলতঃ অনলাইনে সক্রিয় তাদের যুদ্ধটা আলাদা, আমাদের কাজ হচ্ছে সাইবার ওয়ার্ল্ড পরিষ্কার রাখা। আমরা সমানে সাইদির ছবি এডিট করছি। সানি লিওনের ছবিও জুড়ে দিচ্ছি মুহূর্তে। কিন্তু এটা কি ভেবে দেখছি? ওই ছবিটি সচেতনতার বদলে আসলে উস্কে দিচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা? ওই ছবি একজন সাধারণ মুসলিম এর ধর্ম অনুভুতিতে দিতে পারে আঘাত। আর এভাবেই একজন মুসলিম বা সাধারণ মুসলিমকে ওরা ওদের কল্পিত জিহাদে উদ্বুদ্ধ করছে। না বুঝে মোটিভেশন হয়ে দাঁড়াবেন না ছাগুদের জন্যে!
আমরা যে যেখানে রয়েছি, আমাদের যুদ্ধটা আলাদা। যারা মাঠে এই সব হায়েনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আহত হচ্ছেন বা মরে যাচ্ছেন, সে সব পুলিশ ভাইয়েরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আমাদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে, তাদের কথা একবার ভাবুন। কোনভাবেই তাদের কাজটি কঠিন করে দিবেন না আপনারা, অনুরোধ করছি।
যারা অনলাইনে সক্রিয় এবং সীমাবদ্ধতার কারনে জামায়াত শিবির এর বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ করতে পারছেন না, এখন সময় অনলাইনে দায়িত্বশীল হবার। নিয়মিত নজর রাখুন ওদের কার্যক্রমের উপর। মিথ্যাকে মিথ্যা প্রমান করে দিন। তা নিয়ে হাঁসি তামাশা করে রেজাল্ট পাওয়া যাবেনা। আমাদের এই "আমুদে" স্বভাবের আড়ালে জামাত শিবির তাদের ফায়দা ঠিকই লুটে নিয়ে যাবে। সাবধান!!!!