বাংলাদেশ ক্রিকেট দল,
ইন্ডিয়ার একটা গাঁড়ল নভোজিৎ সিং সিধু কে বুঝানোই যাচ্ছেনা মানুষে ওর কথা শুনে হাসছে...ওর দিকে তীব্র গালি ছুড়ে দিচ্ছে...ওকে বিকিনি পরিয়ে পুরো বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা চরম উপহাস করছে। আমাদের প্রিয় ধারাভাষ্যকার শামিম আশরাফ চৌধুরী তার সহজ সরল ইংরেজিতে ধারাভাষ্য দিলে আমরা ১০০% না বুঝলেও ৬৫% বুঝে যাই কি বলতে চাইছেন আর সিধুরটা শুনে মনে হয় ভোকাবুলারি প্রাকটিস করছে। সেদিন দেখলাম হার্সা ভোগলে ম্যাচ এর আগে আলোচনার সময় প্যাট সিমকক্সকে একটা প্রশ্ন করলেন...তবে আগেই সিধুর কাছে বলে নিলেন এটা প্যাট এর প্রশ্ন...তো সে সবে মাত্র উত্তর দিবে আর অমনি সিধু কথা বলা শুরু করে দিলো...প্যাট তার বিরক্তি মুখে দেখিয়ে যে লজ্জা দিলো...তার থেকে বেশি লজ্জা দিলো সাথে সাথে পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ মুছে...তবে কি সিধুর মুখ দিয়ে কথা বলতে গেলে কিছু ছিটকে বের হয়?(ওয়াক থু!!!!!...মানুষ না জানোয়ার?)।
যাহোক আপাতত বাদ দেই সেই কচু শনাক্তকারী জীবটার কথা...পরে আসব।সাকিব...ঃ)ঃ)...আমি কিন্তু বাবাজি আগে ভাগেই একজন ভাল মানের অর্থোপেডিক্সের কাছে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছি।তুমি হয়ত অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারো কেন?...গত ম্যাচে দেখলাম ষাট বছরের বৃদ্ধা হাতে পুজার ঘন্টা নিয়ে বের হয়ে এসেছেন...সেকি নাচ তার।আমিতো এবার নাচবোই...আমার সাথে নাচবে সারা বাংলাদেশ।প্রচন্ড উন্মাদনা হবে কালকে...হবে খুব ঝগড়া...কেনই বা হবে না?...সেদিন দেখলাম এক মেয়ে তার প্রোফাইলে লিখে রাখছে "সাকিব...ভাল না খেল্লে আজকে তোমার একদিন কি আমার একদিন"...আরেকজন লিখেছে ম্যাচের পরে,"দেখেছ সাকিব, এখন ওদের কি করা উচিৎ"...আসলেই ওদের খুব করে বকে দেয়া উচিৎ।সাকিব আমার চিঠি তোমার চোখে পরবে কিনা জানিনা...আমার অভিব্যাক্তিটা হলো...দেখবা কোন কোন মানুষ কেন জানি বলে দিতে পারে...কে কেমন।আর আমি জানি ক্রিকেট এর সিলেবাস কার মাথায় কেমন...।ব্যালকনিতে দাঁড়ালে সমুদ্রের উত্তালতা বুঝতে পার?তবে বুঝে নাও তোমার জন্যে সারা বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসার উত্তালতা আছে...তোমার কান্না ছুঁয়ে গেছে আমাদেরও;তাদের হয়ে আমি্ বল্লাম..."আমার অপরাধ ছিল যতটুকু তোমার কাছে...তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়..."।আমরা যে তোমাকে ছাড়া অসহায়!!!!
আমাদের পাশের বাসার পিচ্চি মেয়েটা যে কিনা আমার নাতনী...ওকে সেদিন কোলে তুলে নিয়ে বল্লাম কিরে আমাকে বিয়ে করবিনা?...আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল "না" আরো বলল,"তুমি ওর মত ব্যাটিং করতে পারো?চার ছয় মারতে পারো?"...আমি বল্লাম,"নাতো"...তারপর জিজ্ঞেস করলাম কে সেই ব্যাটসম্যান?...ও আমার কোলে মাথা গুঁজে দিয়ে একেবারে লজ্জায় লাল টমেটো হয়ে বলল "থামিম"।তামিম আমি জানি জাপানের সুনামি যদি আমাদের দেশের দিকে ধেয়ে আসে কালকে...তবে তা পালাবে চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ষ্টেডিয়ামের কাছে এসে কারণ সেখানে আছে তামিম নামে আরেকটা বাঘ যার হুংকার সুনামির থেকেও ভয়ংকর।
রিয়াদ...যাকে মিস্ করা আর মধ্য রাতে তরুন-তরুনীর মোবাইলে ব্যালেন্স শেষ হবার মত ব্যাপার...প্রতিটি সেকেন্ডে রোমান্স আর ভালবাসা।কালকেও থাকবে সেই রোমান্স...আমি নিঃশ্চিত।দোয়া থাকল তোমাকেও।
ছয় মারতে বিশাল দেহি হওয়া লাগেনা...লাগে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস...তাই কালকেও ছিপছিপে সুহাস মাতাবে সারা বাংলাদেশ...নাচাবে সবাইকে।
পতাকা আছে...আছে উন্মাদনা...আছে ভালবাসা।তোমাদের মধ্যে সেই অমিত শক্তি আছে...যার বলে আমরা সবাই কালকে আবার গাইব...গাইবে সারা বাংলাদেশ...সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশি..."আমরা করব জয়...আমরা করব জয়...আমরা করব জয়...একদিন...।কে জানে সেটা মুম্বাইয়ের ওয়াংখেরেতেই আমাদের সাকিবের সাথে আমরা দেশে বসে গাইব।
ফিরে আসি সেই কচু শনাক্তকারী জীবটার কথা দিয়ে...।গতকাল আমার বাসার পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে কিছুক্ষণ দেখে কি একটা কাজে বাসার ভেতরে গেছি হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাইরে এসে দেখি এক ব্যাটসমান উর্দ্ধশ্বাসে দৌড়াচ্ছে...পেছন পেছন ষ্ট্যাম্প হাতে তাকে তাড়া করছে আরেকজন।তো ধরে আনা হলো দুইজন কেই আমার কাছে... আমি আক্রমণকারীকে জিজ্ঞেস করলাম,"কিরে কি হয়েছে?ওকে তাড়া করেছিস কেন?"উত্তেজিত আক্রমণকারী বলল..."আমাকে আজেবাজে গালি দিছে কিছু বলিনি...কিন্তু আমাকে "সিধু" বলল কেন?
ইতি তোমাদের,
গেদু চাচা,
১৩-০৩-২০১১ ইং।
"টেক ইট ইজি"......বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কে শুভ কামনা জানিয়ে গেদু চাচার খোলা চিঠি।