মানুষের শৈশবে কষ্টের গাছও শিশু থাকে। আস্তে আস্তে বিস্তৃত হয় শিকড়। দিন যায়, রাত যায় কষ্টের গাছ বড় হয়। সুখগুলো ঝরে পড়ে গাছের শুকনো পাতা হয়ে।
মাঝে মাঝে গাছে যেন ফলও দেখা দেয়। সেই ফলও অনন্ত যৌবনা, যেন গাছের যৌবন রক্ষা করার মুল মন্ত্র। মনে ক্ষত তৈরী করে নিজের স্থায়ী জায়গা করে নেয় সেই ফল। গাছে ফল যেন আরো বাড়ে.....
ছেলেমানুষি কষ্টের পাতাগুলো সুখের হাওয়া লেগে যেন কিছুদিন দোল খায়। তারপর একসময় বেদনায় দমকা হাওয়ার উড়ে যায়। নতুন জায়গা করে দেয় বেদনার পাতার জন্য।
সময় পার হয়, কষ্টের গাছ পরিপূর্নতা পায়। শিকড় আরো শক্ত করার সুযোগ খুঁজে নেয়। কষ্ট গাছের শেকড় চেপে ধরে মনকে। নতুন নতুন পাতা, ফলের ভারে নুয়ে পড়ে মন। ভার কমানোর আশায় যেন মন খোঁজে নতুন পথ, হাতড়ে মরে অন্ধকরে। অট্টহাসি হেসে আরো বিস্তৃত হয় গাছের শিকড়। উপহাস করে নুয়ে পড়া মনটাকে.....
কষ্ট গাছ কৈশর পার করে, যৌবন আসে কিন্তু বার্ধক্য তার আসে না। মনের বার্ধক্য আসে, মানুষটার বার্ধক্য আসে। অনন্ত যৌবনা থেকে যায় কষ্টের গাছ।
প্রকৃতিতে মিলিয়ে যায় মানুষটা, কষ্ট গাছ মুক্ত মেঘের মত ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতিতে। সে যে চির যৌবনা.....
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১১ রাত ২:২৫