এক ব্যাটসম্যানকে কোনো বোলারই আউট করতে পারছিল না। অধিনায়ক বল তুলে দিল এক তরুণ বোলারের হাতে—
বোলার: চিন্তা কোরো না। আমি এই ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা কোথায়, জানি।
তরুণ বোলারের প্রথম তিন বলেই ছক্কা হাঁকাল ব্যাটসম্যান।
অধিনায়ক: হুম্ম! ওর যে ‘ছক্কা’র প্রতি দুর্বলতা আছে, তুমি তাহলে আগেই জানতে!
ক্রিকেটারের ছেলে বলছে, ‘মা! মা! দেখে যাও! বাবা একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছে!’
ক্রিকেটারের স্ত্রী বলল, ‘গিয়ে ভালো করে দেখ্ গাধা! ওটা নিশ্চয় কোনো টিভির বিজ্ঞাপন!’
ব্যাটসম্যানের স্ত্রী ফোনে কথা বলছে দলের ম্যানেজারের সঙ্গে, ‘আমার স্বামীকে একটু দিন তো।’
ম্যানেজার: ‘উনি তো মাত্রই ব্যাট করতে মাঠে নামলেন। আপনি বরং পরে ফোন করুন।’
ব্যাটসম্যানের স্ত্রী: ‘সমস্যা নেই, আমি অপেক্ষা করছি। আমি জানি, ও এখনই ফিরবে!’
প্রবীণ ক্রিকেটার বলছে এক নবীন ক্রিকেটারকে, ‘জানো, আমি যখন খেলতাম, তখন প্রতি ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে আমার নামের পাশে ১০০ কিংবা তারও বেশি রান থাকত।’
নবীন ক্রিকেটার: জানি। এবং এ-ও জানি, আপনি ছিলেন একজন বোলার!
বোলারের একের পর এক আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর বোলার বলছে আম্পায়ারকে, ‘তুমি আমার জায়গায় থাকলে বুঝতে, কেমন লাগে।’
আম্পায়ার: আমি তোমার জায়গায় থাকলে তো বোলিংই করতে পারতাম না!
বোলার: কেন?
আম্পায়ার: আমার হাতে ব্যথা। দুই দিন ধরে হাত ওপরে তুলতে পারছি না!
আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছিল ব্যাটসম্যান। ক্ষুব্ধ দর্শক চিৎকার করে তাকে গালিগালাজ করছিল।
ব্যাটসম্যান দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ঠিক বলেছ, তোমাদের মতো আমিও ওই আম্পায়ার ব্যাটাকে দু চোখে দেখতে পারি না!’
ছক্কা মেরে ব্যাটসম্যান বলছে বোলারকে, ‘বাউন্ডারির বাইরে অনেক কচি ঘাস আছে। যাও, গিয়ে চরে খাও!’
‘বাহ্! তুমি তোমার ভাগেরটা খেয়ে শেষ করেছ দেখছি!’ পিচের দিকে ইঙ্গিত করে বলল বোলার।
স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডার একই বোলারের বলে বেশ কিছু ক্যাচ মিস করল। ম্যাচ শেষে সে বোলারকে বলছে, ‘যাই। আমাকে আবার ট্রেন ধরতে হবে।’
বোলার: আমার ধারণা, তুমি ওটাও মিস করবে!