এতদিন নোবেল পুরষ্কার দেয়া হতো বিদেশে, বিভিন্ন গুনী জ্ঞানী ব্যাক্তিরা অক্টোবর মাস আসলেই উতলা হয়ে ছোটাছুতি করতেন তদবির করে ভাগ্যের শিকা ছেড়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত তাতে সর্বদা উপেক্ষিতই থেকে গেছে বাংলাদেশী গুনীজনদের নাম। সে কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশেও নোবেল প্রদানের কথা বিবেচনা করছে সরকার। উরাধুরা নিউজের গোপন অনুসন্ধানে জানা গেছে ভেতরে ভেতরে ইতোমধ্যেই কথা শুরু হয়ে গেছে এই বিষয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারী কর্মকর্তার মতে, খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করবে সরকার। আর পুরষ্কারের নামকরন নিয়েও সমানভাবে চলছে বিতর্ক। অনেকে এর নাম ‘বঙ্গবন্ধু নোবেল পুরষ্কার’ করার আগাম প্রস্তাব করে রেখেছেন আবার অনেকে একে শুধু ‘নোবেল’ হিসেবেই দেখত চাইছেন। তবে নাম যাই হোক, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই বাংলাদেশ সরকার কতৃক শান্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিকামী নেতা সন্তু লারমা নোবেল পুরষ্কার পেতে চলেছেন।
যদিও কতৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না এই পুরষ্কারের ব্যাপারে, তবে এর কমিটিতে ঢোকার জন্য তদবির শুরু হয়ে গেছে গতকাল থেকেই। চেয়ারম্যান হিসেবে এ্যটর্ণী জেনারেল মাহবুবে আলমের নাম শোনা গেলেও বাকীদের নাম নিশ্চিত করা যায়নি এখনো।
তদবির কারীদের একজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের কার্টুনিস্ট, নোবেল পদকের খসড়া নকশা করে নিয়ে এসেছেন অনুমোদন প্রাপ্তির আশায়।
“একজন বাংলাদেশী হিসেবে নোবেল পদকের নকশা করা আমার জন্য অত্যান্ত গর্ব আর সম্মানের একটি বিষয়…”
-বলেছেন সেই কার্টুনিস্ট। এছাড়া বেশ কিছু ফ্যাশান হাউসও আগ্রহ দেখিয়েছে এই অনুষ্ঠানে নোবেল বিজয়ী প্রধানমন্ত্রীর পোশাক তৈরীতে। আরও জানা গেছে জমকালো এই অনুষ্ঠানটি হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতই জমকালো আর আকর্ষনীয়।
এই পদকের রূপরেখা চুড়ান্ত হয়ে গেলে বহির্দেশীয় নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তি পথ বন্ধ হয়ে যাবে বাংলাদেশীদের জন্যে, আর পূর্বে যারা পেয়েছেন তাদেরকেও পদক ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে সব কিছু গুছিয়ে উঠতে দেশ বাসীকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলেই গোপন সূত্র জানিয়েছে।
সূ্ত্র: উরাধুরা নিউজ