নৈঃশব্দের লুকোচুরি
আমার অজান্তেই এসেছিলে, ডাক ও দিয়েছিলে,ডাকতে ডাকতে চলে এলে আমার ভরা রোদ্দুর উঠোনে, তখনি বট বৃক্ষের মত ছায়া ছায়া বিষাদও পা রাখলো।আনন্দ ও বিষাদ গড়াগড়ি খেতে লাগলো চৈত্রের উত্তপ্ত দুপুরে।আনন্দের আছে কি কোন রং কিম্বা বিষাদের !!শুধু জানি আনন্দ-বিষাদের নৈঃশব্দ থেকে একটি কাক উড়ে গিয়েছিলো সেদিন।
অপার্থিব দৃশ্যও কখনো কখনো নৈ:শব্দের ভাষায় কথা বলে। শূন্যে বিনিসূতোয় মালা গাঁথে।আড়ম্ভর কিছু কোলাহলও থমকে যায়। বিহবলতা বা ভয়াবহতা নুঁয়ে পড়ে কখনো কখনো বিষন্ন সন্ধ্যার মত।মেঘের মৌন নিস্তরঙ্গ গতি হারিয়ে যায় অদৃশ্য কিম্বা বিমূর্ত কোন দেয়ালে।
তবুও গার্হস্থ্য যন্ত্রণার টানাপোড়েন থেকে মুক্তি পেতে প্রার্থনা করি। তীব্র জীবনজিজ্ঞাসায় বিষাদের জলছবি আকিঁ।জলছবির ক্যাম্পাসে ভাসে ধুসর ভবিতব্য। অনভ্যস্ত জীবনের অলিগলি পেরিয়ে পা রাখি ধূলিমাখা উঠোনে। যেখানে আনন্দ কোলাহল থম থম হয়ে উঠে মুঠো মুঠো বিষাদের আস্তরনে।আর চলে প্রায়ান্ধকার একটি কাকের তীব্র পাখসাটে আনন্দ বিষাদের নৈঃশব্দের লুকোচুরি !!!