আমার এ পোস্টে আমি একটা ব্যাপার নিয়ে কথা বলার একটু দুঃসাহস দেখাবো
তবে ধর্মান্ধদের পোস্ট পড়ে মুখস্ত করার অনুরোধ করছি
যারা সচেতন তাদের না পড়লেও চলবে -
~
~
~
~
~
~
~
একটা দারুন লাইন দিয়ে খবরের শুরুটা ছিলো, বক্তা ছিলেন কোন একটি ইসলামী দলের কর্মী, নেতা কিংবা সমর্থক যারা বলেন যে তারা আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করছেন -
কথা টা ছিলো 'হাতের শাঁখা ভেঙে ফেল, না হয় ধর্ষণ করব'
জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের এমন হুমকির মুখে বাঁশখালী পৌরসভার জলদী গ্রামের ধোপাপাড়ার এক গৃহবধূ তার হাতে থাকা শাঁখাও ভেঙে ফেললেন। তবু নিস্তার পাননি।
তার মতো আরো কয়েকজন গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ক্ষান্ত হয়নি ওরা। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একে একে সাতটি বসতঘর ও আশ্রম।
খবরের অনেক রেফারেন্স পাবেন, আমি পেয়েছি কালের কন্ঠে
যাই হোক, বাংলাদেশে একটা রাজনৈতিক ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, আমি জানিনা এর কারন কী। এর আগে যখন বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এলো, তখনো এভাবেই হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো, হিন্দু ছেলেদের মারধর ও হত্যা করা হয়েছিলো আর হিন্দু মেয়ে-বউদের সাথে কি করা হয়েছিলো তা আপনারা সবাই জানেন।
কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বেশ হৈ চৈ হয়েছিলো
তখন এক দল মানুষ বলেছিলেন ধর্ষনের জন্য ছেলে মেয়ে উভয়ই দায়ী
কারন মেয়েদের এমন কিছু আচরণ ও পোশাক পরিচ্ছদ থাকে যা তাদেরকে ধর্ষিত হবার নেপথ্যে কাজ করে (আমি নিজে ঐ দলে ছিলাম না)
তবে গত কয়েকদিনের জামায়াত-শিবিরের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ ও যৌন নিপীড়ন আমাকে কিছু প্রশ্ন রাখতে বাধ্য করে-
কিন্তু প্রশ্নগুলো করে লাভ কী?
এর উত্তর কে দেবে? যাদের দেবার কথা তারা হয়তো এই মুহুর্তে কোন না কোন হিন্দু বাড়িতে আগুন দিচ্ছে কিংবা কোন হিন্দু মেয়ের লজ্জার কান্না উপভোগ করছে
হিন্দু মেয়েগুলো নিশ্চই কোন খারাপ পোশাক পড়েছিলো, কিংবা এমন কোন আচরণ করেছিলো যা যৌন উদ্দীপনামূলক - সুতরাং দোষ অবশ্যই মেয়েগুলোর
আচ্ছা যেদিন বাংলাদেশের সব সংখ্যালঘু মেয়েগুলোকে ধর্ষণ করা হয়ে তখন ওরা কাদের কাছে যাবে?