somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাবি রণক্ষেত্র

০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি সেদিন লিখেছিলাম: "ইউনিভার্সিটি মানেই কি সন্ত্রাসী তৈরির কারখানা?""" অনেক বুদ্দিমানেরা অনেক মন্তব্য করেছেন, ভাল লেগেছে তাদের মন্তব্য, আজ দেখুন ০০ইত্তেফাক রিপোর্ট০০।

আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই, তবে আমরা গাড়ি ভাংচুর করে এ ঘটনাকে রাজনীতির রুপ কেন দিব???????

ভাংচুরের আদর্শ আমরা কেন বর্জন করতে পারবনা????





০০ইত্তেফাক রিপোর্টঃ

ঢাবি রণক্ষেত্র
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, শতাধিক গাড়ি ভাংচুর, শিক্ষাথর্ী নিহতের জের




((বাস-শ্রমিকদের হামলা ও ট্রাক চাপায় আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. রেজোয়ানের মৃতু্যতে গতকাল রবিবার ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো ক্যাম্পাস। শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা দফায় দফায় গাড়ি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ করেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ৫ পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। পরে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাধারণ শিক্ষাথর্ীদের মিছিল-সমোবেশে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। এদিকে বাস-শ্রমিকদের হামলায় গুরুতর আহত অপর ছাত্র মো. জহিরুল হক জিসানকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎকরা।

গত শনিবার রাতে মতিঝিলে বাস-শ্রমিকদের হামলায় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মো. রেজোয়ান, দ্বিতীয় বর্ষের জিসানসহ ৪ জন। এর মধ্যে শনিবার রাত ২টা ১০ মিনিটে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতু্য হয় রেজোয়ানের। এ ঘটনার জের ধরেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্ররা।

প্রত্যক্ষদশর্ীরা জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের ছাত্ররা কলাভবনে রেজোয়ানের মৃতু্যর প্রতিবাদে মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলাভবনের মূল ফটকে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়। এরপর পৌনে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে আসে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন হয়ে হাইকোর্টের সামনে পর্যন্ত সড়কের চারিদিকে থাকা শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করে তারা। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা শিশুপার্কের সামনে মিরপুর থেকে গুলিস্তানগামী ইটিসি পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-১৬৩২) অগি্নসংযোগ করে। পুলিশ ছাত্রদের থামানোর চেষ্টা করলে তারা আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। এ সময়ে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পরে ছাত্ররা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেলের মুখে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ফার্মগেইট-শাহবাগ-প্রেসক্লাব, এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৫ পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ আটক করে ১০ ছাত্রকে।

পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষাথর্ীরা নীলক্ষেতের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে সেখানেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। নীলক্ষেতে প্রায় এক ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। ছাত্ররা ইট ছুঁড়লে পুলিশও টিয়ারসেল ছোঁড়ে। স্যার এফ রহমান হলের সামনে ছাত্ররা পরিত্যক্ত টায়ার, টেবিলে অগি্নসংযোগ করে। পুলিশের বেপরোয়া টিয়ারসেল নিক্ষেপে ছাত্ররা ছত্রভঙ্গ হয়ে মলচত্বরের দিকে চলে আসে। সেখানে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় বাস, দু'টি মিনিবাস ও একটি মাইক্রোস বাস ভাংচুর করে তারা।

প্রক্টর অফিস ভাংচুর

বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে রেজোয়ানের জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরে সাড়ে ১১টার দিকে বারডেম হাসপাতাল থেকে তার লাশ গ্রামের বাড়ী বরিশালের কোতয়ালীতে পাঠানো হয়। ক্যাম্পাসে লাশ না আনার সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্ররা। পরে পৌনে ১টার দিকে ক্ষুব্ধ ছাত্ররা ক্যাম্পাসের কলা ভবনে অবস্থিত প্রক্টরের কার্যালয়ে ভাংচুর করে। ছাত্ররা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে।

প্রো-ভিসির সঙ্গে ছাত্রদের সাক্ষাৎ

প্রক্টর কার্যালয় ভাংচুর করার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা অবস্থান গ্রহণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ছাত্ররা কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করে। ছাত্রদের দাবিগুলো হচ্ছে-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কেএম সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ, রেজোয়ানের মৃতু্যর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নীলক্ষেত এলাকায় ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার বিচারের পদক্ষেপ নেয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা। প্রো-ভিসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন

আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে ছাত্রলীগ

এদিকে ছাত্র নিহতের ঘটনায় ক্যাম্পাসের আন্দোলনে একটি অংশ পক্ষে থাকলেও অন্যরা বিপক্ষে ছিল। ছাত্রলীগের অংশটি নিহত ছাত্র রেজোয়ানের বিরুদ্ধে শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উপস্থাপন করে। এ অজুহাতে ছাত্রদের আন্দোলন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতারা ও হল শাখার অনেক নেতা নীলক্ষেতে আন্দোলনকারীদের কৌশলে ভয় দেখিয়ে আন্দোলন না করার হুমকি দেয় বলে তারা অভিযোগ করে। এ ঘটনার পর নীলক্ষেত এলাকা থেকে ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। তবে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন নেতারা। তারা বলেন, ছাত্রলীগও এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছে। বিচারের দাবিতে আমরাও মাঠে রয়েছি।

বাম ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদ মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল, মানববন্ধন করেছে। গতকাল সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কলাভবনের মূল গেইটে সমাবেশ করে। এছাড়াও ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত

গত শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের আরবী বিভাগের ছাত্ররা নারায়ণগঞ্জের সোনারাগাঁও বনভোজনে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈসা খাঁ বাসে সন্ধ্যায় হলে ফেরার পথে মদনপুর এলাকায় বনভোজন অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা যানজটে আটকা পড়ে। এসময়ে ছাত্রদের বাসের সঙ্গে যাত্রী উঠানো নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় হিমালয় পরিবহনের। এ নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি হয় পরিবহন শ্রমিকদেরও। বাসে থাকা ১৫ জন ছাত্রকে মারধর করে তারা। এর জের ধরে রাতে মতিঝিল আলিকোর সামনে ২০/২৫ জন ছাত্র হিমালয় গাড়ি আটক করে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের মাঠে নিয়ে আসে। এসময় মতিঝিলে রেজোয়ান, জিসানসহ ৪ জন ছাত্র থেকে যায়। পেছন থেকে আসা আরেকটি হিমালয় পরিবহনের শ্রমিকরা ৪ ছাত্রকে আটকিয়ে বেধড়ক পিটায়। এক পর্যায়ে রেজোয়ানকে সড়কে ফেলে দেয়। এ সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক রেজোয়ানকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রেজোয়ান ও জিসানকে উদ্ধার করে। পুলিশ রেজোয়ানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। জিসানকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ১২টায় রেজোয়ানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ২টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে রেজোয়ানকে। পরে ৩টা ৩০ মিনিটে রেজোয়ানের লাশ বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আহত জিসানের অবস্থাও আশংকাজনক

একই ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জিসানের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জিসানের অবস্থা আশংকাজনক।

বাকরুদ্ধ ছাত্র-শিক্ষকরা

ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় বাকরুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকরা। রেজোয়ানের সহপাঠী মমিনুর রহমান জানান, তার মৃতু্য অস্বাভাবিক। কোনভাবেই এটা মেনে নেয়া যায় না। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

আরবী বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন জানান, রেজোয়ান ছিল পরিশ্রমী ছাত্র। তার মৃতু্যতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার লাশ জানাযার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনা উচিত ছিল। এটা না হওয়ায় তারা মমর্াহত বলে জানান তিনি।

পুলিশের বক্তব্য

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ছাত্রের মৃতু্যর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে তা দুঃখজনক। এ ঘটনায় বেশকিছু গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

মতিঝিল থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মারামারির এক পর্যায়ে একটি ছেলে (রেজোয়ান) দৌড় দিলে রাস্তায় একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, রেজোয়ানের মৃতু্যতে তারা মর্মাহত। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, যেকোন দুর্ঘটনার মৃতু্য আমাদের পীড়া দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘটনায় দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করতে চেষ্টা করা হবে। রেজোয়ানের পরিবারকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

উলেস্নখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র রেজোয়ান (২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলের ৩০৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে।

৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদকে প্রধান করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠকে এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস ও অধ্যাপক শফিক নুরুজ্জামান। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত বৈঠক শেষে ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এদিকে নিহত রেজোয়ানের পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পৃথক দু'টি মামলা

রেজোয়ান নিহতের জের ধরে শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকায় গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় পৃথক দু'টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দু'টি মামলায় দুই থেকে তিনশ' জনকে আসামি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের আটক ছাত্র রহমতুলস্নাহকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের রমনা জোনের এডিসি সৈয়দ নূরুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, 'ভাংচুর এবং অগি্নসংযোগের অপরাধে পুলিশ বাদি হয়ে দু'টি মামলা করেছে। গ্রেফতারকৃত ছাত্র রহমতুলস্নাহকে শাহবাগ থানার মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে চিহ্নিত করা হবে।))
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×