somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপছন্দের চাকরি – মানিয়ে চলবেন কীভাবে ("Career Building: Your Total Handbook for Finding a Job and Making It Work" থেকে উদ্ধৃতির অনুবাদ)

০৫ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোন জায়গাটি খারাপ, তা বলা কঠিন। অথবা ধরুন আপনি তা বলতে চান না, তবে এটি ঠিক যে আপনি আপনার চাকরিটি সহ্যই করতে পারছেন না। কিন্তু, আমাদের ভিতর কয়জন আছেন যাঁরা আরেকটি চাকরি না পেয়ে বর্তমানটি ছেড়ে দিতে পারেন?
অপছন্দের চাকরি চালিয়ে যাওয়া কখনই সহজ নয়, কিন্তু যতদিন ভালো আরেকটি না পাচ্ছেন, রুটি-রুজির ধান্ধায় আপনাকে হাসিমুখে একাজটিই চালিয়ে যেতে হবে। এরকম পরিস্থিতিতে দিন-গুজরানের কিছু উপায় এখানে বলে দেওয়া হল:

নিজের জন্য সাপ্তাহিক লক্ষ্য ঠিক করুন।
অফিস সময়ের শেষে আপনার প্রাপ্তি হিসাব করুন। চাকরি যত খারাপই লাগুক, সবসময়ই কিছু না কিছু ভালো দিক থাকেই যা আপনাকে স্বস্তি দেয়। সেই সুবর্ণ সুযোগ খোঁজার সাপ্তাহিক লক্ষ্য ঠিক করুন। কোনো সপ্তাহে পাঁচটি রিজিউমি পাঠাতে পারেন বা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। এই ধরনের কিছু লক্ষ্য স্থির করলে আপনি করার মত কিছু পাবেন।
প্রতিদিন একটি কাজ করুন যা আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে।
তালিকায় থাকা সকল লক্ষ্যে একদিনেই পৌঁছতে হবে এমন নয়, কিন্তু আপনি প্রতিদিন একটু একটু করে এগোতে পারেন। প্রতিদিন সকালে আজকের লক্ষ্য ঠিক করুন আর তা যেন অর্জিত হয় তা নিশ্চিত করুন। এতে আপনি সাফল্যের স্বাদ পাবেন আর অগ্রগতির দিকেও নজর থাকবে।
কাজ শুরুর পূর্বে নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন।
অপছন্দের কাজটি ভয়াবহ হয় যখন আপনি তাড়াহুড়ো করে দেহ-মনে ক্লান্তি নিয়ে বিশৃংখল অবস্থায় অফিস পৌঁছান। অফিস সময়ের একটু আগেই অফিসে পৌঁছে নিজেকে একটু সময় দিন। চুল, পোষাক গুছিয়ে নিন। এতে আপনি আজকের সম্ভাব্য কর্তব্যগুলি মনে মনে বা কাগজে গুছিয়ে নিতে পারবেন।
আপনার সকালটি উৎসবে পরিণত করুন।
সকালে একটু আগে উঠুন যাতে পত্রিকা পড়তে পারেন, বা মন চাঙ্গা করে এমন গান শুনে ঘুম থেকে উঠুন। একটা ভালো সূচনা বাকি দিনের জন্য ম্যাজিকের মত কাজ করে।
অফিসে বৈচিত্র্য আনুন।
অফিসে এলে কি আপনার বাইরে যেতে ইচ্ছে করে? অবিরাম ফোন কলে কি আপনি পাগল? মনকে চাঙ্গা করতে কিছু করুন। স্ক্রিন সেভার হিসাবে সুন্দর একটি প্রাকৃতিক ছবি রাখুন। "জোক অফ দি ডে" ডেস্ক ক্যালেন্ডার কিনে অফিসে রাখুন। অবসরে হেড ফোন দিয়ে দু'একটি গান শুনুন। কোনো কোনো দুপুরে লাঞ্চ করতে বাইরে যান।
অবসর সময়ে দক্ষতা বাড়ান।
আপনার বর্তমান কাজ অপছন্দ বলে যে নতুন কিছু শিখতে পারবেন না এমন কোনো কথা তো নেই। চাকরির বাজারে নিজেকে উপযুক্ত করতে অবসরের মুহুর্তগুলি কাজে লাগান। কোম্পানীতে কোনো ট্রেইনিং এর সুযোগ এলে তার সদ্ব্যবহার করুন। কম্পিউটারে নতুন কিছু শিখুন। লাঞ্চ বিরতিতে ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্টের উপর কোনো বই পড়ুন। বর্তমান কাজটিকে আত্ম-উন্নয়নের সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করুন।
কিছু বাষ্প বের করে দিন।
বেশিরভাগ মানুষই টেনসন থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন রকম কর্মকাণ্ড করেন। কাজের শেষে দৌড়ান। সপ্তাহান্তে সাঁতার কাটুন বা গ্রামের রাস্তায় দীর্ঘ পথ হাঁটুন।
নিজের দিকে তাকান।
অফিসের দুর্দশা কাটাতে, নিজের দিকে মনযোগ দিন। পড়ার জন্য একটি ভালো বই কিনুন। একটি আইস ক্রিম খেতে বা কিছু ফুল কিনতে পারেন। নতুন ইন্টারভিউ এর জন্য পোষাক কিনুন। পরবর্তি ছুটিতে কী করবেন তার পরিকল্পনা করুন। বাইরে যা-ই ঘটুক, আপনার ভিতরটি তাজা রাখুন।
আপনার পার্ফরমেন্স ধরে রাখুন।
আপনার বর্তমান অবস্থান যা-ই হোক, কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং এতে ভালো করা জরুরি। ব্যক্তিগত পার্ফরমেন্স লক্ষ্য সেট করুন। পরবর্তি ইন্টারভিউ-এ এ কাজের সাফল্যগুলি তুলে ধরুন।
আপনার সম্পর্কগুলি ঠিক রাখুন।
পৃথিবীটা খুবই ছোট আর আপনি জানেন না বর্তমানের কোন সহকর্মীর সঙ্গে আপনাকে ভবিষ্যতে কাজ করতে হবে। কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট বলে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না। সকলের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রক্ষা করে চলুন। ভবিষ্যতে কোনো সহকর্মীর কাছ থেকে আপনার একটি সুপারিশের বা ভালো মন্তব্যের প্রয়োজন হতে পারে।
এ বিপদও কেটে যাবে।
ঠিক এ মুহুর্তে, আপনার মনে হতে পারে যে আপনি বুঝি এই কাজে চিরকালের জন্য আটকে গেছেন। মাথা উঁচু রাখুন আর মনে রাখুন যে আপনি নিজেই আপনার ভাগ্য নির্মাতা। অভ্যন্তরীন নতুন পদে পদায়ন পাওয়া যায় কিনা দেখুন। বাইরেও নতুন কাজের সন্ধান এখনই শুরু করুন।
(এম এস এন অবলম্বনে)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×