২৩ফেব্রুয়ারী হুমকির মুখে '১০ দলের বিশ্বকাপ' থিওরি লেখার পরে আসলেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।কেনিয়া যেভাবে নাস্তানাবুদ হল তাতে আমার মনে হল আই সি সি-র সিদ্ধান্তই ঠিক।শ্রীলংকা,ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমনকি দুর্বল জিম্বাবুয়েও ছোট দলগুলোর সাথে 'চুকরি-বুকরি' খেলল!!বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড,পাকিস্তান-শ্রীলংকা,ইন্ডিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচগুলো ছাড়াতো 'গা-গরম' করার মত কোন ম্যাচই পাচ্ছিনা।ধু...র,বিশ্বকাপটা আসলেই পানির মত হয়ে যাচ্ছে।ঠিক করলাম,না,এইসব 'ছোটো-খাটো' টিমের 'আলতু-ফালতু' খেলা দেখে টাইম নষ্ট করব না।গতকাল ইংল্যন্ডের ৩২৭ স্কোর দেখার পর সিদ্ধান্ত আমার আরো পোক্ত হল।আর আয়ারল্যান্ডের স্কোর যখন দেখলাম ১৫০ তুলতেই ৫টা নাই,তখন সিদ্ধান্ত একদম পাকাপোক্ত-'খেলা দেখার আর কোনো মানে নাই।'
পরে একসময় চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে স্কোর দেখি,১৫ ওভারে রান লাগবে ১০০-র মত, উইকেট এখনো সেই ৫টাই।আর K O'Brein-এর স্ট্রাইক রেট ২০০-র কাছাকাছি!!!!মানে ও যতক্ষন টিকে আছে,ততক্ষন ম্যাচ কোনোভাবেই ইংল্যান্ডের হাতে যাবে না!
'যাইবা কই বাবাজি,খেলা আবার দেখবা না ?!!' কি আর করা।আবার বসে গেলাম খেলা দেখতে।এরপর কি হল সেটা তো ইতিহাস.......।
পানি পানি বিশ্বকাপ এখন মনে হচ্ছে চিনির শরবত হওয়া শুরু করেছে,কিছুদিনের মধ্যেই রঙ্গে রঙ্গে রূহ-আফজা হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ আয়ারল্যান্ডকে,ধন্যবাদ K O'Brein-কে এরকম অসাধারন ১টা ম্যাচ উপহার দেবার জন্য,বিশ্বকাপের সমীকরন ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য আর বিশ্বকাপে রঙ ছড়ানোর জন্য....।
যাই হোক,জয়-পরাজয় ব্যাপার না,আজকে নেদারল্যান্ড আর কানাডাও আয়ারল্যান্ডের মত চরম 'গা-গরম' করা একটা ম্যাচ দেবে বলে আমার ধারনা।(না দিলে আমি নিজেই অনেক কষ্ট পাব)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৪১