ব্লাড ক্যান্সার একটি ঘাতক ব্যাধি। এটি হলে বেঁচে থাকার প্রদীপটি ধীরে ধীরে নিভে যেতে থাকে। বিজ্ঞানের চরম উত্কর্ষের এ যুগেও ব্লাড ক্যান্সার থেকে রেহাই পাওয়ার ফলপ্রসূ চিকিত্সা ব্যবস্থা উদ্ভাবিত হয়নি। গবেষকরা যে এ ব্যাপারে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন তা নয়। চেষ্টা চলছে। একদিন হয়তো
ঠিকই খুঁজে পাওয়া যাবে এ রোগের প্রতিষেধক।
সমপ্রতি কানাডার ওন্টারিও শহরের ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল স্টেম সেল গবেষকের দাবি, তারা আবিষ্কার করেছেন মানুষের ত্বককে রক্তে রূপান্তর করার উপায়, যা কিনা ক্যান্সারসহ নানা অসুখের চিকিত্সায় সহায়ক হবে। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী নেচারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা এক ব্যক্তির ত্বক থেকে নেয়া একগুচ্ছ কোষকে রক্তে রূপান্তর করেন, যা একই জিনগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। তবে এতে কোনো ভ্রূণ কোষ ব্যবহার করতে হয়নি।
বিজ্ঞানীরা জানান, আমরা নমুনা ত্বক ব্যবহার করেই এটা থেকে রক্তে রূপান্তরের উপায় উদ্ভাবন করেছি। তবে এই উদ্ভাবন এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেম সেল ও ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক পরিচালক মিক ভাটিয়া দুই বছর ধরে পরিচালিত এই কৌশল উন্নয়নে সহায়তা করেছেন।
এই উদ্ভাবনের পর ব্লাড ক্যান্সার বা অন্যান্য রক্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে—এতে অন্য কারও রক্ত বা অস্থিমজ্জা (বোন ম্যারো) দানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির নিজের ত্বক থেকে রক্ত তৈরির মাধ্যমে এই চিকিত্সা সম্ভব। ভাটিয়া বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে এই কৌশলের সঙ্গে জড়িত থাকার পর প্রথম রক্তকণিকা দেখতে পেয়ে আশ্চর্য হন। তিনি বলেন, আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। ভেবেছিলাম এটা অন্য ধরনের কোষ। কিন্তু সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এর জন্য কোনো ভ্রূণ কোষ ব্যবহার করতে হয়নি। রোগীর বিশেষ কোষই এতে ব্যবহার করা হয়। সে কারণে এতে নৈতিক কোনো ঝামেলা নেই।
link...
http://www.aajkalca.com
Vol. 07 Issue 07 : Friday, Feb 18, 2011