somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিমুর্ত শিল্প মালডা কি?

০২ রা মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি টুকটাক ছবি টবি আকি বাইচ্ছা কাইল থেইকা।
গাছপালা, নদি নালা এসব আরকি।
মাঝে সাঝে লোকজন জিগায় "আইচ্ছা ভাই আপনে বিমুর্ত ছবি (এবস্ট্রাক্ট আর্ট) করেন না?"
আমি কই যে - "না।"
লোকে কয়: "খুব ভালো। জিনিষটাযে আসলে কি সেইটাই কেউ মনে হয় জানে না। ইচ্ছামতো ইচা মাছ আইক্যা কয় যে আর্ট"
আমি কই: "সম্ভাবনা আছে কথা সত্যি হবার"।

তো সেদিন ও ওরাম করে আবার একজন জিগালো যে
"ভাই এত ছবি টবি আকেন একটু বলেন না বিমুর্ত শিল্প মাল্ডা কি? এট্টু বুঝান। আমগোরো তো জানবার মন চায়। "

তখন মনে হলো তাইতো আমার গিয়ানের এত বাহার আমি কেনো লোকজনের কাছ থেকে তা দুড়ে সরায় রাখবো ;)
তো সেই উদ্দেশ্য এই পুস্ট।

(*** যারা এই গিয়ান গিয়ানি তাদের কাছে আমার হাতজোড় করে খেমা পেরথনা। বেয়াদবি মাফ করবেন।)

তাইলে শুরু করি:
সহজ ভাষায় বিমুর্ত শিল্প হলো এমন এক কায়দায় ছবি আকা (বা ভাস্কর্য বানানো) যেটা কিনা নিজেই একটা ভাষা।
যেমন মনে করেন, আমরা অ, আ, ক, খ দিয়া আমাগো মনের ভাব প্রকাশ করি। আবার ইংলিশ দেশের লোকেরা A, B, C, D দিয়া মনের ভাব প্রকাশ করেন। তো ঠিক তেমনে একজন আর্টিশ্ট যদি মনে করেন যে একেকটা রং একেকটা অক্ষর আর সেরকম বিভিন্ন রং দিয়া তিনি একটা ভাব প্রকাশ করবেন তাহলে সেটাকে তখন বিমুর্ত শিল্প বলা যেতে পারে। যদিও সেটা দেখতে এলোমেলো লাগবে খালি চোখে। কিন্তু উনার চোখ দিয়া দেখলে ঐটার একটা অর্থ দাড়াবে, যে অর্থ সকল ভাষার সকল লোকের কাছে সমান ভাবে সহজ (অথবা কঠিন)।

আবার অনেক ভাষায় ( যেমন চাইনিজ ভাষায়) একেকটা অক্ষর হলো আসলে আস্ত একটা শব্দ। তো সেই ধারনার অনুসারে একজন শিল্পি যদি মনে করেন যে তিনি ভিবিন্ন আকৃতি আকবেন যেটা কিনা নতুন একটা শব্দ হবে, তাহলে সেটাও হবে বিমুর্ত শিল্প।

এই বিমুর্ত শিল্পের সুবিধা হলো এইটা দিয়া আইজকে আপনে এমন একটা ভাব প্রকাশ করতে চান যেইটা কিনা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না বা সম্ভব হলোও সেটা খুবি কঠিন একটা ভাব বা চিন্তা। সেই ভাবনা টাকে একজন শিল্পি সুন্দর করে বিমুর্ত ভাবে প্রকাশ করতে পারেন। যদিও ব্যাপক সম্ভাবনা আছে যে সেই আইডিয়াটা বোঝানোর জন্য তাকে হয়তো আপনের বাড়ি পর্যন্ত হেটে যেতে হতে পারে, কিন্তু তারপরেও ভাবনা টাকে আমাদের বালি মাটির দুনিয়ায় আনা সম্ভব চিন্তার জগত থেকে।

নৈসর্গিক দৃশ্য বা প্রাকৃতিক দৃশ্যের সুবিধা হলো সেখানে ভাবনা প্রকাশের যে বাহন গুলো (গাছ, নদি, আকাশ) ইত্যাদি এটা শিল্পি ও দর্শক উভয়ের কাছেই পরিচিত। তাই একটা সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য আকলে সেটাকে বুঝতে দর্শকদের বিশেষ বেগ পেতে হয় না। কিন্তু সমস্যা হলো প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে শিল্পির কল্পজগতের একটা জটিল ভাবনাকে প্রকাশ করা বেশ কঠিন একটা ব্যাপার। সেটা সম্ভবপর হলেও বেশির ভাগ সময় সেটা আবার প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে হারিয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে। তাই অনেকেই বিমুর্ত শিল্পকে একটা নতুন আকৃতি দেবার চেষ্টা করেন অথবা এমন একটা কিছু করেন যেটা দেখে দর্শকদের চোখে খটকা লাগে। আসলে শিল্পি চান যে খটকা লাগিয়ে ওখানে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষন করা। ওখানেই শিল্পি হয়তো তার ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। আবার অনেক শিল্পি আছেন যারা এই কায়দাকে ব্যাবাহার করে দর্শকদের কে ছবির আসল "ভাব" থেকে দুরে সরিয়ে দেন। দর্শকদের মধ্যে যারা আবার চালু মাল তারাই খালি আসল ভাবটা ধরতে পারবেন। এরকম আরো ভুহুত কায়দা কানুন শিল্পি গন করেন। মোটকথা হলো নতুন ভাবে চিন্তা করার কায়দা হলো বিমুর্ত শিল্পের মুল ।

তো যাইহোক, আমার খেমতা ও সময়ে এতটুকুই ব্যাখ্যা কুলালো।
কিরকম গুছিয়ে লিখলাম জানি না। ধরে নেন এইটা এড্ডাট্টা বিমুর্ত লেখা ;)
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×