somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রিকেট রঙ্গ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিক্ষক ক্লাসের সবাইকে একটি ক্রিকেট ম্যাচের উপর রচনা লিখতে বললেন। একজন ছাত্র ছাড়া সবাই রচনা লিখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
আর সেই ছাত্র লিখলঃ “বৃষ্টির কারনে কোন ক্রিকেট ম্যাচ হয়নি!!”

নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে এলেন। নিজের গার্ডগুলো পরীক্ষা করে দেখলেন। একটু নড়েচড়ে শরীরটাকে চাঙা করে নিলেন। চারদিকে ফিল্ডারদের অবস্থানটাও একনজর ঘুরে দেখলেন। এরপর শূন্যে কয়েকবার ব্যাট হাঁকিয়ে আম্পায়ারকে জানালেন, সে তৈরি। আম্পায়ার বোলারকে বল করতে অনুমতি দিলেন। বোলার বলও করলেন এবং সোজা মিডল স্ট্যাম্প উড়ে গেল। তখন পেছন থেকে উইকেট কিপার বললেন, ‘কী লজ্জা! এত ভাব দেখানোর পর মাত্র এক বলেই স্ট্যাম্প উড়ে গেল।’ ব্যাটসম্যান তখন বললেন, ‘লজ্জা তোমাদেরই পাওয়া উচিত। একজন নতুন অতিথির সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় সেটা তোমাদের বোলার এখনো শেখেনি।’

তখন পাইলট ক্যাপ্টেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার সাথে ম্যাচ। এমন ইজি ম্যাচের আগে কিসের কি প্রস্তুতি, পাইলট সারারাত ডিসকোতে নাচ-পান-গান করে পরের দিন খেলতে নেমেছে। কানাডা ব্যাটিং করে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। কিন্তু বিলক্লিফ সেট হয়ে গেছে। রফিকের বলে তবুও সে স্কোর করতে পারছে না। এক ওভারের ৪টা বল সলিড ডিফেন্স করে ডট দেয়ায় ধৈর্য হারিয়ে পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে যায়। কিন্তু ফ্লাইট মিস করে। ওদিকে পাইলটও বল ধরতে না পারায় বাই রান চার। রফিকের রুদ্রমূর্তির সামনে পাইলটের মিনমিন অজুহাত,
"রফিক বাই, তুমি অগোরে দুয়েকটা রানটান দাও। উইকেটের পিছনে বল না আসায় আমি তো ঘুমায়া গেছিলাম।"

এবার বাশার-ডেভ জুটি, জিম্বাবুয়ের সাথে ৫ ম্যাচের সিরিজ চলছে। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ১০ ওভারের ম্যান্ডাটরি পাওয়ার প্লে শেষ, এরপর বাশার ১১-১৫ ওভারে বোলিং পাওয়ার প্লেও নিয়েছে। এরপর থেকে খেলা খুব স্মুথলি চলছে। প্রত্যেক ওভারের শেষে পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে বাশার ফিলডিং সাজাচ্ছে, বোলার চেইঞ্জ করছে। টাইবু আর মার্ক ভেরমিউলেন প্রতি ওভারে মাত্র ৬টা করে সিংগেলস নিচ্ছে। বাশার খুশি। হঠাৎ করে ৩১তম ওভারের শুরুতে সে আম্পায়ারের কাছে গিয়ে বলে,"আমরা বোলিং পাওয়ার প্লে নিবো।" আম্পায়ার ছিলো অশোকা। সে তার নিজের চোথা বের করে দেখে বলে, "না, তুমি বোলিং পাওয়ার প্লে ইতিমধ্যে নিয়েছো।" বাশার নাছোড়বান্দা। সে হাতের টিম প্ল্যানের কাগজ দেখিয়ে বলে, "এই দ্যাখো লেখা আছে - ৩১ থেকে ৩৫ ওভারে বোলিং পাওয়ার প্লে নিতে হবে।" অশোকা একটু বিভ্রান্ত হয়। অপর প্রান্তের আম্পায়ার বিলি বাওডেনকে ডেকে বলে, "বিলি সাহেব, একটু দ্যাখেন তো, ঘটনা তো প্যাচ খাইয়া গেছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য কি থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠাবো?" বিলি বাওডেন বাশারের হাত থেকে কাগজখানা নিয়ে বলে, "এটা তো সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের গেম প্লান, আজ তো দ্বিতীয় ম্যাচ খেলছো!" বাশার লজ্জায় লাল হয়ে তার বিখ্যাত নির্বোধের হাসিটা দেয় আর মুখে বলে, "সরি, একটু চিন্তা করতে গিয়ে ট্রাউজারের ডান পকেটের বদলে বাম পকেটে হাত ঢুকায়া ফেলেছি!"


মার্কিন দর্শক এবং ক্রিকেট

এক মার্কিন দর্শক ইংল্যান্ড গেছেন ক্রিকেট খেলা দেখতে। এটা তাঁর জীবনে প্রথম ক্রিকেট খেলা দেখা। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন। তাঁর খুব ভালো লাগল ব্যাট হাতে দুজন ব্যাটসম্যান মাঠে প্রবেশ করছেন। বিপক্ষ দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে তাঁরা খেলছেন। প্রথম ছয় বলে ব্যাটসম্যানরা চার রান করলেন। এসব কিছুই তাঁর ভালো লাগল। ছয় বল শেষে আম্পায়ার বললেন, ‘ওভার।’ মার্কিন দর্শক উঠে দাঁড়ালেন। পাশের দর্শকের উদ্দেশে বললেন, ‘খেলাটা খুবই মজার, আনন্দদায়ক; কিন্তু দ্রুত শেষ হয়ে গেল।’


আম্পায়ারগুলো সব আমাদের

একবার স্বর্গের দেবতারা আর নরকের শয়তানেরা মিলে ক্রিকেট খেলবে বলে ঠিক করল। স্বর্গের দেবতারা খেলায় জিত নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী, কারণ সব ভালো ভালো ক্রিকেটাররা স্বর্গে তাদের সঙ্গেই আছেন। কিন্তু শয়তানদের এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত দেখা গেল না। তাদের নিশ্চিন্ত ভাবভঙ্গি দেখে এক দেবতা এক শয়তানকে ডেকে বলল, কী ব্যাপার, ভালো ভালো ব্যাটসম্যান তো সব আমাদের এখানে, কিন্তু তোমাদেরকে বিশেষ চিন্তিত মনে হচ্ছে না! শয়তান সঙ্গে সঙ্গে দাঁত বের করে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, তোমাদের যতই ব্যাটসম্যান থাকুক, আম্পায়ারগুলো তো সব আমাদের এখানে!

আনকোরা আম্পায়ার

এক গ্রামের দাওয়াতে সেখানে বড় বড় দুই দল ক্রিকেট খেলতে গেল। দেখা গেল, সবই আছে, শুধু নেই একজন আম্পায়ার। সেই ভিড়ের গ্রাম্য লোকজনদের ভেতর থেকেই একজন আনকোরা আম্পায়ার খুঁজে বের করা হল। তাকে সাদা সার্ট-প্যান্ট, কোট পরানো হল। তারপর সে এক দলের ক্যাপ্টেনের কাছে এল, বলল, এবার আমাকে একটু খেলার নিয়মকানুন শিখিয়ে দিন!
ক্যাপ্টেন বলল, নিয়মকানুন! খুবই সহজ! এখন আমাদের দল বল করছে। আমাদের ফিল্ডাররা যখন সবাই একসঙ্গে ‘হাউজ দ্যাট’ বলে চেঁচিয়ে উঠবে, তখন তুমি তোমার এক আঙ্গুল উঁচিয়ে হাতটা তুলে ধরবে। আপাতত এটুকুই শিখে রাখ, আমরা যখন ব্যাটিং করতে নামব, তখন বাকিটুকু শিখিয়ে দেব!

ক্রিকেট জনকদের ক্রিকেট

প্রশ্ন: একজন ইংলিশ ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ আশাবাদী কাজ কী?
উত্তর: সানস্ক্রিন মাখা। কারণ, রোদ মুখে লাগার আগেই তাঁরা ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন।
প্রশ্ন: ম্যাকগ্রা ইংল্যান্ডে জন্মালে কী হতেন?
উত্তর: ব্যাটিং অলরাউন্ডার। মনে রাখবেন, ম্যাকগ্রার ব্যাটিং গড় টেস্টে ৭.৩৬ ও ওয়ানডেতে ৩.৮৩!
প্রশ্ন: ইংলিশ ক্রিকেটারের হ্যাটট্রিক মানে কী?
উত্তর: ইংলিশ বোলারদের ডিকশনারিতে এখন আর ‘হ্যাটট্রিক’ বলে কিছু নেই। ব্যাটসম্যানদের কেউ পর পর তিন বলে রান পেলে সেটাই হ্যাটট্রিক।
প্রশ্ন: কোনো ইংলিশ ক্রিকেটারের নামের পাশে ১০০ রান দেখলে কী বুঝবেন?
উত্তর: সে অবশ্যই একজন বোলার।
প্রশ্ন: নাসের হুসেন, মার্ক রামপ্রকাশ, গ্রায়েম হিক, অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, কেভিন পিটারসেনরা দলের বাকিদের চেয়ে কেন এগিয়ে থাকেন?
উত্তর: অন্তত এটুকু বলতে পারেন যে আমরা তো আসলে ইংলিশ নই।
প্রশ্ন: একজন ইংলিশ ক্রিকেটার কখন নিশ্চিত করে বলতে পারেন, এই ওভারে উইকেট পড়বেই?
উত্তর: যখন তাঁর হাতে ব্যাট থাকে।
প্রশ্ন: মাইকেল জ্যাকসন আর অ্যালেক স্টুয়ার্টের (সাবেক ইংলিশ উইকেটকিপার) মধ্যে মিলটা কী?
উত্তর: দুজনই হাতে দস্তানা পরতেন। যে দস্তানার কোনো ব্যবহার কেউ কখনো দেখেনি।

(সংগ্রীহিত)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:০৭
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×