ভাবছি বসে একা-
কেমন করে বাক্সে রাখা জুতা চোরে ধরল?
এত লোকরে সামনে থেকে কমেনে সরে পড়ল?
আমি ছিলাম একই ধ্যানে ফরজ নামাজ পড়তে
আট মিনিট লগেছিল চার সেজদা করেত
জুতা ছিল আমার থেকে বাক্সে তিন হাত দূরে
কার জাদুতে জুতাজোড়া হাওয়ায় গলে উড়ে?
ফরজ নামাজ পড়া শেষে কোন লোকটা উঠল?
ভদ্র বেশে জুতা নিয়ে মসজদি থেখে ফুটলো।
নামাজ পড়ার মধ্যে কনে চোখটা জুতায় পড়লনা?
কনে লোকে হাতে নাতে জুতা চোরকে ধরলনা?
সবাই বলনে কষে
চুরি তোমার দোষে।
সামনে রাখা উচিত ছিল না হয় জায়গা থাকলনা!
জুতা চুরি হতে পারে কেন গায়ে তা মাখলনা ?
মসজিদেও চোর ডাকাত আসে নামাজ পড়তে
তারপরও সে অতদূরে রাখছলি কোন অর্থে?
চএরর কাজ চোরে করে যদিও সে জানলো
জুতা চুরি হবনো তা কেমন করে মানলো?
জুতা চুরি হয়না শুধু একটু বুদ্ধি থাকলে
একটি জুতা বাইরে আর একটি বাক্সে রাখলে
লাভ হবেনা এখন আর এমনি ভেঙ্গে পড়লে
জুতা ফেরত আসবেনা আর হাজার মানত করলে।
শক্ত করে মুষ্ঠি
বলি চোররে গোষ্ঠি
ধরতে পারলে পিঠের ওপর এমন আচ্ছা কষে-
এত বেশি ধোলাই দিতাম দাগ পড়ত বসে-
এমনতিইে আজ মেজাজ গরম অ্যালজাবরা কষে,
সম্পাদ্যটাও হয়নি আঁকা অনেক করে ঘষে।
স্যারের দেয়া শব্দগুলো পাইনি শব্দকোষে,
ঘরে নাকি যা হয়েছে সবই আমার দোষে।
কাপ ভঙ্গেছে বড় ভাইয়া দোষ দিয়েছে আামার,
আমি নাকি টাকা মারি বাবার সাদা জামার?
আলমীরাতে আচার ছিল সবই নাকি হাওয়া?
সবাই বলে আমার নাম, যাচ্ছে একি সওয়া?
অনেক চিন্তা করে
না থেকে আর ঘরে,
ভেবেছিলাম নামাজ পড়ে শান্তি পাবো আজ,
অবশেষে চোররে বেটায় করলো এ কোন কাজ?
বলি ব্যাটা জুতা চোর আমিও কম নই,
একটু ভুল যা হয়েছে করেছি হই চই।
পণ করছি খালি পায়ে আজ যাবনা ঘরে
আমার কাজ সারতে হবে সবার অগোচরে।
ক’জন আবার নফল পড়েন চেয়ে চেয়ে দেখি
তাদের কিছু জুতা আবার বাক্সে রাখা সে কী!
কায়দামতো জুতা নিয়ে কী করবো আর
পায়ে ঢুকিয়ে হাওয়ার বেগে আমি পগাড় পার।
বাবা ঘরে এসে,
বলনে, মাকে ক্লেশে-
হঠাৎ করে কি যে শুরু হয়ে গেল দেশে
চোরগুলো সব নামাজ পড়ে ঈমানদাররে বেশে।
এ জীবনে অনকে কিছুই দেখছি কালে কালে
এমনটাতো দেখিনি যা হয়ে যাচ্ছে হালে
আমি গিয়ে বীরের বেশে সামনে দাড়াই তার,
বলি, বাবা, “কি কারণে এমন হাহাকার ?”
আমার দিকে তাকিয়ে বাবা রাগতে থাকনে ফুসে,
বলনে তিনি “সাধে কি কেউ এমন গরু পুষে
খালি পায়ে আসতে গিয়ে লাগছে পায়ে কাদা,
আমার জুতা তোর পায়ে ক্যান হারে হারামজাদা।”