বাউল সাধনা সম্পর্কে রবি ঠাকুর বলেছেন,আমাদের দেশের ইতিহাস প্রয়োজনের মধ্যে নয়,মানুষের অন্তরতর গভীর সত্যের মধ্যে মিলনের সাধনাকে বহন করে এসেছে।বাউল সাহিত্যে বাউল সম্প্রাদায়ের সেই সাধনায় দেখি।এ জিনিস হিন্দু-মুসলমান সকলকেইএকত্র করেছে অথচ কেউ কাউকে আঘাত করেনাই।এ মিলনে সভা-সমিতির প্রতিষ্ঠা হয়নি,এ মিলনে গান জেগেছে, সেই গানের ভাষা ও সুর অশিক্ষিত মাধুর্যে সরস।এই গানের ভাষায় ও সুরে হিন্দু-মুসলমানদের কণ্ঠ মিলেছে,কোরাণ পুরাণে ঝগড়া বাধেঁনি।এ মিলনেই সভ্যতার সত্য পরিচয়,বিবাধে-বিরোধে বর্বরতা ।বাংলাদেশের গ্রামের গভির চিত্তে উচ্যসভ্যতার প্রেরণা ইস্কুল কলেজের অগোচরে আপনা-আপনি কি রকম কাজ করে এসেছে , হিন্দুমুসলমানদের জন্য এক আসন রচনার চেষ্টা করেছে,এই বাউল গানে তারই পরিচয় পাওয়া যায়।
এই বাউল গান বাংলার লোকসংগীতের অর্ন্তভূক্ত।আমাদের দেশের সমাজে বিভিন্ন ধর্মের প্রভাব পরিলক্ষিত হবার ফলে লোকসংগিতেও তার ধারা অব্যহত আছে।তবুও অনেকেই তা মানতে রাজি নয়।প্রকৃত পক্ষে দেহতত্বের গান বাংলার লোকসংগীতের এক বিশাল অংশ দখল করে আছে।এর মুল বিষয় বস্তু হল "পঞ্চইন্দ্রিয়যোক্ত দেহ সকল শক্তির আধাঁর এবং আধ্যাতিক সাধনার একমাত্র অবলম্বন। এর তুষ্টিতে সকল সাধনার সিদ্বি। সাধনা মানুষের জন্য এবং মানুষ নিজেই সমাজ।"