somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণিতের কৌতুক!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১। "আপনারা বেশি বেশি করে নিজ নিজ জন্মদিন উৎযাপন করুন, কারণ এটি প্রমাণিত যে জন্মদিন উৎযাপনের সাথে দীর্ঘ জীবনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যে সব মানুষ সবচেয়ে বেশি জন্মদিন পালন করেন, তারাই সবচেয়ে বেশি বছর বেঁচে থাকেন।"
পরিসংখ্যান বিষয়ে জনৈক ছাত্রের পিএইচডি গবেষণার ফল।

২। "পৃথিবীতে যত গাড়ি চোর আছে, তাদের ১০ শতাংশ বামহাতি। আবার পৃথিবীর সব মেরু ভল্লুকই বামহাতি। সুতরাং আপনার গাড়ি চুরি হলে, শতকরা ১০ ভাগ সম্ভাবনা এটি কোনো মেরু ভল্লুকের কাজ।"
পরিসংখ্যানের আরেকটি গবেষণার ফল।

৩। "পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর কাজের!"
"কীভাবে জানো?"
"আচ্ছা, শোন তাহলে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতি বছর কুমিররা ৪ কোটি ২০ লাখ ডিম পাড়ে। এদের মধ্যে কেবল ২ ভাগের ১ ভাগ ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এসব বাচ্চার ৪ ভাগের ৩ ভাগই আবার জন্মের প্রথম ৩৬ দিনে শিকারী প্রাণীর হাতে মারা পড়ে। বাকিগুলির মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ কেবল এক বছর বেঁচে থাকে। এবার নিশ্চয়ই স্বীকার করবে, পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর।"
"আরে! এখানে বিস্ময়ের কী আছে?"
"ধুর, তুমি এখনও ব্যাপারটা ধরতে পারনি? পরিসংখ্যান না থাকলে বুঝতে কী হতো? তোমার পশ্চাৎদেশটা এখন কুমিরের উপরই রাখতে হতো।"

৪। মাটিতে পোঁতা পতাকাদণ্ডের উচ্চতা নির্ধারণ করতে বসেছে একদল শ্রমিক। তাদের কাছে রয়েছে শুধু মাত্র গজ ফিতা, কিন্তু দণ্ডের আগায় কীভাবে ফিতাটি পৌঁছানো যেতে পারে, তারা বুঝতে পারছে না।

গণিতবিদ আসলেন তাদের সাহায্যে, বললেন, "জ্যামিতির সূত্র প্রয়োগ করে সহজেই এর উচ্চতা নির্ণয় করা যাবে।" দণ্ডের ছায়া দেখে গণিতবিদ যখন সদৃশকোণী ত্রিভুজ গঠন করার চেষ্টা করছিলেন, আসলেন ইংরেজির শিক্ষক। সব শুনে মুচকি হেসে দণ্ডটি মাটি থেকে তুলে ভূমির উপর শুইয়ে দিলেন শিক্ষক। তারপর গজ ফিতা দিয়ে মেপে বললেন, "পুরোপুরি ১৫ গজ।"

ভাব নিয়ে চলে যাচ্ছেন ইংরেজির শিক্ষক, পেছন থেকে উষ্মাভরে গণিতবিদ বললেন, "ইংরেজির শিক্ষক, হু! আমরা বের করতে চাচ্ছি উচ্চতা, আর উনি বের করলেন দৈর্ঘ্য।"

৫। জীববিজ্ঞানী, পদার্থবিদ এবং গণিতবিদ আফ্রিকা গেলেন বেড়াতে। কেনিয়ার তৃণভূমিতে হাঁটতে হাঁটতে মাঠের মধ্যে সাদা এক ছাগল দেখতে পেলেন তারা।
জীববিজ্ঞানী বলে উঠলেন, "আরে, কেনিয়ার ছাগলগুলি দেখি সাদা হয়।"
পদার্থবিদ বাধা দিয়ে বললেন, "আসলে তুমি বোধ হয় বলতে চাচ্ছ, কেনিয়ার কিছু কিছু ছাগল সাদা।"
গণিতবিদ বললেন, "আসলে ছাগলটি দেখে আমার যা বুঝতে পারি তা হলো, কেনিয়াতে ন্যূনতম একটি ছাগল রয়েছে, এবং সেই ছাগলটির ন্যূনতম একটি পার্শ্ব সাদা।"

৬। এক দল বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করা হলো, "৪x৪ এর মান কতো?"
প্রকৌশলী তার প্রাচীন গণনাকারী যন্ত্র 'স্লাইড রুল'কে ঝেড়ে মুছে কয়েকবার ডানে বামে টানলেন, এবং এক সময় জানান, "উত্তরটি ১৫.৯৯।"
পদার্থবিদ তার টেকনিক্যাল রেফারেন্স বইয়ের পাতা উল্টিয়ে পেছনটা দেখে বলেন, "এর মান ১৫.৯৮ এবং ১৬.০২ এর মধ্যে অবস্থিত।"
গণিতবিদ কিছুক্ষণ মাথা চুলকিয়ে বলেন, "আমি ঠিক এ মুহূর্তে জানাতে পারছি না উত্তরটি কত, তবে আমি সবাইকে আস্বস্ত করছি, এর একটি সুনির্দিষ্ট মান রয়েছে।"
দার্শনিক স্মিত হেসে বলেন, "৪x৪ বলতে আসলে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?"
যুক্তিবাদী বলেন, "৪x৪ ব্যাপারটি আরো সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন।"
সমাজবিজ্ঞানী বলেন, "আমি আসলে উত্তরটি জানি না, তবে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করা সমাজের জন্য একটি চমৎকার ব্যাপার।"
মেডিক্যালের ছাত্র হঠাৎ বলে উঠে, "গুণফলটি ঠিক ১৬।"
সবাই অবাক হয়ে তার কাছে জানতে চায়, এতটা নিশ্চিতভাবে ব্যাপারটি কীভাবে জানল!
ছাত্র উত্তর দেয়, "গুণফলটি আমার মুখস্ত ছিল।"

(সংগ্রহ করা হয়েছে)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×