somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এতো লিখে কি হবে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান লিখে ছিলেন, কবিতায় আর কি লিখবো যখন বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম বাংলাদেশ।স্বাধীনতার জন্য মরিয়া বাঙ্গালী জাতি।পাকিস্তানীদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে দিনে দিনে।পত্র-পত্রিকায় লিখালিখি হচ্ছে প্রচুর।কিন্তু তাতেও তারা দমে যাচ্ছে না।এতো লিখেও যখন কাজ হচ্ছে না তখন একটা অসহায় বোধ থেকেই এমন কথা আসতে পারে, কবিতায় আর কি লিখবো।আজ আর পাকিস্তানী নেই।আছে তাদের আদোলে কিছু নেতা।
পরসভা নির্বাচন নিয়ে দেশের বাতাস ভারি।এই ভাড়ি বাতাস আরো উত্তাল হল প্রথম আলো পত্রিকার শিরোনামের ঠিক নিচে লক্ষিপুর বাসির মুর্তিমান বিভিশিখা তাহেরের ব্যঙ্গ কার্টুন দেখে।যার শিরোনাম ছিল এমন, তাহেরের আথিতিয়তায় ভিত এলাকা বাসি।প্রথম-আলো দেশের প্রধান সারির দৈনিক।জনপ্রিয়তা ব্যপক।যাতে তাহেরের নানা অন্যায় অত্যাচারের কথা অকট্য ভাষায় উঠে আসে।তবুও লীগ সরকার তাকেই মন-নয়ন দিয়েছে।এমন কি সেদিনের প্রথম আলো লক্ষিপুরে ঢুকতে দেয়াই হয় নি।তাহের বুক ফুলিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছে।প্রশ্ন হচ্ছে সে এলাকায় কি আওয়ামিলীগের কোন ভাল নেতা ছিলনা।না হয় একটি সিট হারাতোই।কিন্তু কেন একজন সন্ত্রাসীর কাছে লীগ মাথা নত করল?এতো বড় দৈনিকে একটা মানুষের বিরুদ্ধে লখার পর ও তাকে দমিয়ে রাখা যায় নি।
বলুন, লিখে আর কি হবে?
২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি।নেতা বেগম খালেদা জিয়।বরাবরের মত তিনিই আছেন এখনো।ক্ষময়তা আসার পর জঙ্গি উত্তান নিয়ে ছবি সহ ব্যাপক লিখা হয় পত্র পত্রিকায় ।জঙ্গি বাংলা বাইয়ের অত্যাচারের বিভিষীকাময় চিত্র উঠে আসে প্রতিকার পাতায় পাতায়।কিন্তু ততকালিন প্রধান মন্ত্রী এক ভাসনে বললেন, “বাংলা ভাই ইংলিশ ভাই বলে কিছু নেই”। অথচ তাদের সময়ই সেই জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই,সায়েক আবদুর রহমানকে ধরা হয়।দেশের একজন প্রধান মন্ত্রি কিভাবে বিভ্রান্ত মুলক তথ্য দেয়?অথচ জানা মতে যেকোন দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতার বিভ্রান্ত মুলক তথ্য শাস্তি জগ্য অপরাধ।কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্তা নেয়া যায় নি।আর ব্যবস্তা নিলে দেশের অবুজ মানুষেরা জেগে উঠবে কিছু না বুঝেই।কিন্তু যখন পত্র পত্রিয়া লিখা আসলো তখন তাদের কথা শোনা হয় নি।কেন? প্রচুর লিখার পরও নেয় নি কোন ব্যবস্থা।ধরা হয় শেষে যখন কোলঠাসা হয়ে পরে বিএনপি সরকার।
বলুন, লিখে আর কি হবে?
১৯৯৬-২০০১ ক্ষমতায় ছিল আওয়ামিলীগ।ফেনীতে সাংবাদিক টিপুর উপর হামলা চালায় জয়নাল হাজারির ক্যডাররা।মরে যেতে যেতে কোন মতে বেচে যায় টিপু।পত্রিকা থেকে শুরু করে ইলেট্রনিং মীডিয়াতে চলে আসে এসব তথ্য।কিন্তু কি হয়েছে সে জয়নাল হাজারির।বর্তমানে তিনি নিজের নামে পত্রিকা খুলেছে নিজেকে রক্ষা করার জন্য। আজ অব্দি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে ।
বলুন, লিখে আর কি হবে?
প্রকাশ্য দিবালকে ডাক্টার ইকবালের বিএনপি মিছিলের উপর পিস্তলের গুলি চালনার ছবি দেখে আতকে উঠতে হয়েছিল দেশ বাসি।তার কোন বিচার হয় নি আজও।তিনি এখন বেশ ভাল আছেন ব্যংক ব্যবসা করে।কি হয়েছিল পত্রিকায় তার গুলি বর্ষনের ছবি প্রকাশ করে?বরং কিছু দিন আগে সেই মামলার রায় গিয়েছে তাদের পক্ষেইচ।
লিখে আর কি হবে?
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালিন সময় নাইকো ততকালিন জালানি প্রতিমন্ত্রি মোসারফ হোসেনকে দামি গাড়ি উপহার দেন।ব্যাপার চলে আসে ইনেক্ট্রনিক্স মিডিয়া এবং পত্রিকায়।অভিযোক প্রমানিত হওয়ার পরও তিনি পদ ত্যগ করেন নি।এখনো বিএনপি একজন গুরত্ব পুর্ন নেতা বনে আছেন।
লিখে আর কি হবে?
বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোক।আছে বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোক।তারা বর্তমানে বন্দি আছেন।কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কি বন্দি থাকবে? অবশ্যই না।
আরো দুর্নীতির অভিযোক আছে তারেক জিয়ার নামে।কিন্তু ব্যপারটা আমাদের কাছে ভাসা ভাসা রয়ে গেছে।যদিও এটা কখনোওই নিরপেক্ষ ভাবে প্রমানিত করা সম্ভব হবে না।যদি আওয়ামীলীগ প্রমান করে তবে বিএনপি বলবে এটা দমন পিরনের রাজনীতি আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কোন দিনই তদন্ত করবে না।আর তদন্ত করলেও তাও হবে এক প্রকার প্রহশন।আজ অব্দি সামনের সারির কোন রাজ নৈতিক নেতার বিচার হতে দেখিনি যদি সে ক্ষমতায় থাকে।তবে হয়েছে যখন কেউ দলের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য প্রদন করে।আমরা সব সময় আর নীতিবিদের কাছে জিম্মি।
এতো লিখে আর কি হবে?
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ঘটা করে ভর্ষনের সেন্সুরি পালন করা হয় প্রসাসনের সামনে।প্রশাসন নির্বিকার।আজো তার বিচার হল না।যে যত বড় অন্যায় করতে পারে সে তত বড় নেতা!
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর বেপরোয়া হয় ছাত্র লীগ।অবস্থা অবনতি হতে হতে প্রধান মন্ত্রি তার ছাত্র লীগের প্রধানের পদ ছারতে বাধ্য হন।সরাস্ট মন্ত্রি সাহারা খাতুন নিয়মিত বলে আসছেন “অপরাধী যেই হোক কাউকে ছার দেয়া হবে না”।কিন্তু এখন পর্যন্ত আওয়ামীলিগের কয়জন অপরাধীকে ধরা হয়েছে? ইলেন্ট্রনিং মিডিয়া সচিত্র প্রতিবেদন আসার পরও অনেকে গ্রেফতার হয় নি।মাঝে মাঝে দেখি দলিও লোকের বেপরোয়ার বেগ বেশি হলে এবং পত্র পত্রিকায় লিখতে লখতে যখন অবস্থা খারাপ করলে তখন হয়তো দু একজন ধরা হয়।কিন্তু শাস্বি দেয়া হয়েছে এমন প্রমান আমাদের হাতে খুব একটা নেই।

২১শে আগষ্ট আওয়ামীলিগের জন সভায় গ্রেনেট হামলা।ততকালিন বিএনপি সরকার সেই হামলার সকল আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করে।দেশের বিরোধী দলিও প্রধানকে হত্যার চেষ্টা করার অর্থ কি দাড়ায়।এবং যারা এই কাজ করেছে তাদের স্বাস্থি না দিয়ে সাজিয়েছিল জর্জ মিয়া নাটক।বিচার করবে বা কি করে বিএনপি লোকজনই তো এর সাথে জরিত বলে বর্তমানে জানা যায়।
শনিরআখরায় সাধারন জনগনের হাতে লাঞ্চিত এমপি সালাউদ্দিন।তবু তিনি আছেন বিএনপিতে।কেন এদের দলে দরকার।ক্ষমতার রাজনীতির জন্য।পরিষ্কার করে বলে দিলেই হয় ।
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।ব্যয় হয়েছে দু-শ কোটি টাকা।যেখানে দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পায় না,গ্যাস পায় না,মানবেতর জীবন জাপন করে, জিনিপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে সেখানে শুধু একটি নাম পরিবর্তনের জন্য দুশ কোটি টাকা ব্যয় করার কোন যুক্তি যুক্ত কারন নেই।দেশে ইস্তিশীল পরিস্তিতি আসলে কি পরিবর্তন করা যেত না? দেশের প্রধান মন্ত্রির মানুষ পেটের জালার থেকে নামের জালা খুব বেশি? পত্র পত্রিকায় এ নিয়ে ব্যপক সমলাচনা হয়েছে।তবুও কি থেমে গেছেন তিনি?
মিডিয়া যেখানে এতো সজাগ।সারা দেশে পৌছে গেছে ক্যামেরার চোখ।মিডিয়া কতটা স্বাধীন সে দিকে নাই বা গেলাম।ছবি সহ প্রতিদিন আসে অংখ্য অনিয়ম সংবাদ।তাদের এসব সংবাদই যখন কোন কাজে আসেনা -সেখানে সামান্য ব্লগ!
লিখে কি হবে?
গলির ভিতর বলি হয়ে পরে থাকা বেওয়ারিশ লাশের মত আমাদের অবস্থা, সময়ের কাটা যেমন টিক টি্ক করে সামনের পথ এগিয়ে চলে, ধরে রাখা যায় না, ঠিক সময়ের ধারায় অপরাধী এবং গভির জলের নায়নেরা অপরাধ করে বুক ফুলিয়ে চলে।তাদের- ধরে- রাখা- যায়- না।প্রতিদিন নানা অনিয়ম নিয়ে লিখ হয়।কিন্তু কারই টনক নড়ে না।
লিখে কি হবে?
তবুও লিখতে হবে।তবেই একদিন দেশের মুক্তি হবে।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×