শুধু বাংলাদেশ দলই নয়, উপমহাদেশেরই সেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিশ্বকাপের মাস দেড়েক আগে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আকস্মিকভাবে হাঁটুতে চোট পান মাশরাফি। সঙ্গে সঙ্গে তার বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু অদম্য এ পেসার দমে যাননি। ফিজিওর পরামর্শে খুব দ্রুতই নিজেকে খেলার উপযোগী তৈরি করে নেন। বিশ্বকাপ শুরুর দিন দশেক আগে ঘরোয়া লীগে পুরো ১০ ওভার বোলিং করে নিজের ফিটনেসের প্রমাণও রাখেন মাশরাফি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের কোচ মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় আর বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে মাশরাফির অনুপস্থিতিতে নখদন্তহীন নির্বিষ বাংলাদেশ বোলারদের তুলোধুনো করে ভারত ৩৭০ রানের পাহাড়সম ইনিংস খেলে। বাংলাদেশ জবাবে ভালো ব্যাট করলেও ম্যাচ হারে ৮৭ রানে। টেন্ডুলকারের রান আউট বাদ দিলে বাংলাদেশের বোলাররা বিশাল রানের বিনিময়ে ভারতের মাত্র তিনটি উইকেট দখল করে। অথচ ২০০৭ বিশ্বকাপে মাশরাফির ম্যান অব দ্য ম্যাচ বোলিং নৈপুণ্যের ওপর ভর দিয়েই ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরও ৫টি ম্যাচ বাকি আছে। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে হলে অন্তত ৩টি ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। মাশরাফিবিহীন দুর্বল বোলিং অ্যাটাক দিয়ে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয় তা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ দল ম্যানেজমেন্ট। তাই মাশরাফিকে বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনার নানারকম চেষ্টা চলছে। আর দলে ফিরতে, বিশ্বকাপ খেলতে সব সময়ই উন্মুখ মাশরাফি। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে না থাকলেও দলের প্রয়োজনে প্রশিক্ষণে নিয়মিত বোলিং করছেন মাশরাফি। গতকাল মিরপুরে বাংলাদেশ দলের বোলিং অনুশীলনে সহায়তা করেছেন জাতীয় দলের এ পেসার। বাংলাদেশ ২৫ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। দল চাইছে এ ম্যাচের আগেই মাশরাফি দলে ফিরুক। তাই এখন যে কোনো সময় বিসিবি থেকে ঘোষণা আসতে পারে মাশরাফি দলে ঢুকছেন। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই পেসার শফিউল-রুবেলের জঘন্য বোলিং মাশরাফির দলে ঢোকার বিষয়টিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে দিয়েছে। ওই ম্যাচে পেসার শফিউল ৬৯ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন। আর রুবেল ৭৪ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি। বাংলাদেশ দলের মূল বোলিংশক্তি ধরা হয় স্পিন অ্যাটাককে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্পিনাররাও সফল হননি। গতকাল মাশরাফি যখন দলের সঙ্গে মিরপুরে অনুশীলন করছিলেন তখন ঘুরেফিরে তার দলে ঢোকার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়। বিসিবির নিজস্ব ফিজিও দেবাশীষ রায়ও মাশরাফির ফিরে আসার ইঙ্গিত দিলেন, ‘আমি মনে করি মাশরাফি ফিট। সে লড়াকু ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে তাকে দলে না রাখায় ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ দলেরই।’ কোচ জেমি সিডন্স এক সময় মাশরাফির ব্যাপারে নেতিবাচক থাকলেও এখন পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী তিনি বেশ ইতিবাচক বলে জানা গেছে। ইনজুরির আগে মাশরাফি বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, নেতৃত্ব হারানোর ভয়েই বাংলাদেশ দলের একটা অংশ চাইছে না মাশরাফি দলে ঢুকুক। ইনজুরির কারণে বা অন্য সমস্যা দেখিয়ে গত ৩৬ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়া, হল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড আইসিসির কাছে রিপ্লেসমেন্ট চেয়েছে। গতকাল মিরপুরে বাংলাদেশের অনুশীলন সেশনে মাশরাফি টানা ৬ ওভার বোলিং করেছেন। অনুশীলন শেষে মাশরাফি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে আমি যে রিদমে বল করেছিলাম এখন তার চেয়েও ভালো রিদমে বল করছি। একজন বোলারই বলতে পারে সে কতখানি ফিট। দলের প্রয়োজনে আমি শতভাগ দিতে প্রস্তুত আছি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারিনি। এজন্য আর আক্ষেপ করে লাভ নেই। পরবর্তী ম্যাচ থেকে মাঠে নামতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি। রুবেল-শফিউল অনভিজ্ঞ। আশা করি আগামী ম্যাচগুলোতে তারা আরও ভালো বোলিং করবে।
ফিরতে পারেন মাশরাফি
শুধু বাংলাদেশ দলই নয়, উপমহাদেশেরই সেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিশ্বকাপের মাস দেড়েক আগে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আকস্মিকভাবে হাঁটুতে চোট পান মাশরাফি। সঙ্গে সঙ্গে তার বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু অদম্য এ পেসার দমে যাননি। ফিজিওর পরামর্শে খুব দ্রুতই নিজেকে খেলার উপযোগী তৈরি করে নেন। বিশ্বকাপ শুরুর দিন দশেক আগে ঘরোয়া লীগে পুরো ১০ ওভার বোলিং করে নিজের ফিটনেসের প্রমাণও রাখেন মাশরাফি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের কোচ মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় আর বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে মাশরাফির অনুপস্থিতিতে নখদন্তহীন নির্বিষ বাংলাদেশ বোলারদের তুলোধুনো করে ভারত ৩৭০ রানের পাহাড়সম ইনিংস খেলে। বাংলাদেশ জবাবে ভালো ব্যাট করলেও ম্যাচ হারে ৮৭ রানে। টেন্ডুলকারের রান আউট বাদ দিলে বাংলাদেশের বোলাররা বিশাল রানের বিনিময়ে ভারতের মাত্র তিনটি উইকেট দখল করে। অথচ ২০০৭ বিশ্বকাপে মাশরাফির ম্যান অব দ্য ম্যাচ বোলিং নৈপুণ্যের ওপর ভর দিয়েই ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরও ৫টি ম্যাচ বাকি আছে। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে হলে অন্তত ৩টি ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। মাশরাফিবিহীন দুর্বল বোলিং অ্যাটাক দিয়ে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয় তা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ দল ম্যানেজমেন্ট। তাই মাশরাফিকে বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনার নানারকম চেষ্টা চলছে। আর দলে ফিরতে, বিশ্বকাপ খেলতে সব সময়ই উন্মুখ মাশরাফি। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে না থাকলেও দলের প্রয়োজনে প্রশিক্ষণে নিয়মিত বোলিং করছেন মাশরাফি। গতকাল মিরপুরে বাংলাদেশ দলের বোলিং অনুশীলনে সহায়তা করেছেন জাতীয় দলের এ পেসার। বাংলাদেশ ২৫ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। দল চাইছে এ ম্যাচের আগেই মাশরাফি দলে ফিরুক। তাই এখন যে কোনো সময় বিসিবি থেকে ঘোষণা আসতে পারে মাশরাফি দলে ঢুকছেন। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই পেসার শফিউল-রুবেলের জঘন্য বোলিং মাশরাফির দলে ঢোকার বিষয়টিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে দিয়েছে। ওই ম্যাচে পেসার শফিউল ৬৯ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন। আর রুবেল ৭৪ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি। বাংলাদেশ দলের মূল বোলিংশক্তি ধরা হয় স্পিন অ্যাটাককে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্পিনাররাও সফল হননি। গতকাল মাশরাফি যখন দলের সঙ্গে মিরপুরে অনুশীলন করছিলেন তখন ঘুরেফিরে তার দলে ঢোকার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়। বিসিবির নিজস্ব ফিজিও দেবাশীষ রায়ও মাশরাফির ফিরে আসার ইঙ্গিত দিলেন, ‘আমি মনে করি মাশরাফি ফিট। সে লড়াকু ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে তাকে দলে না রাখায় ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ দলেরই।’ কোচ জেমি সিডন্স এক সময় মাশরাফির ব্যাপারে নেতিবাচক থাকলেও এখন পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী তিনি বেশ ইতিবাচক বলে জানা গেছে। ইনজুরির আগে মাশরাফি বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, নেতৃত্ব হারানোর ভয়েই বাংলাদেশ দলের একটা অংশ চাইছে না মাশরাফি দলে ঢুকুক। ইনজুরির কারণে বা অন্য সমস্যা দেখিয়ে গত ৩৬ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়া, হল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড আইসিসির কাছে রিপ্লেসমেন্ট চেয়েছে। গতকাল মিরপুরে বাংলাদেশের অনুশীলন সেশনে মাশরাফি টানা ৬ ওভার বোলিং করেছেন। অনুশীলন শেষে মাশরাফি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে আমি যে রিদমে বল করেছিলাম এখন তার চেয়েও ভালো রিদমে বল করছি। একজন বোলারই বলতে পারে সে কতখানি ফিট। দলের প্রয়োজনে আমি শতভাগ দিতে প্রস্তুত আছি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারিনি। এজন্য আর আক্ষেপ করে লাভ নেই। পরবর্তী ম্যাচ থেকে মাঠে নামতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি। রুবেল-শফিউল অনভিজ্ঞ। আশা করি আগামী ম্যাচগুলোতে তারা আরও ভালো বোলিং করবে।
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন