সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক সিগারেটও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সাধারণ সিগারেটের মতোই এর নিকোটিনও সরাসরি ফুসফুসে চলে যায়। খবর গিজম্যাগ-এর।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইডের গবেষকরা জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক সিগারেট তামাক পোড়ানো ছাড়াই নিকোটিন গ্রহণের সুযোগ দেয়। এটি তৈরি হয় একটি ব্যাটারি, একটি অ্যাটোমাইজার এবং প্রোপিলিন গ্লাইকলসহ নিকোটিনের একটি কার্টিজ ব্যবহার করে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যখন কেউ ই-সিগারেট পান করে, তখন একটি সেন্সর ব্যাটারিকে সক্রিয় করে এবং ডিভাইসটির মাথার দিকে লাল হয়ে ধোঁয়া তৈরি করে এবং অ্যাটোমাইজারকে গরম করে তোলে। এই পদ্ধতিটি প্রোপিলিন গ্লাইকলকে বাষ্প করে তোলে। এই সিগারেটে টান দিলে তখন নিকোটিন এর স্বাদ পাওয়া যায় এবং তা সাধারণ সিগারেটের মতোই ফুসফুসে চলে যায়। সাধারণ সিগারেটের পাশাপাশি এখন এরকম ইলেকট্রনিক সিগারেটেরও চল বাড়ছে।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইডের সেল বায়োলজি অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সের গবেষক প্রু ট্যালবট জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক এই সিগারেট বিষয়ে তেমন কোনো গবেষণা করা হয়নি এমনকি এর ক্ষতিকর দিক কতোটুকু সেটিও বের করা হয়নি। ই-সিগারেটে ব্যবহৃত রাসায়নিকের বিষাক্ততার বিষয়টিও জানানো হয়নি। এমনকি এই বিষয়ে ঠিকমতো তথ্যও জানানো হয়নি।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে টোব্যাকো কন্ট্রোল সাময়িকীতে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক সিগারেটও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং নিরাপত্তার বিষয়টির কথা বিবেচনায় ইলেকট্রনিক সিগারেট বাজার থেকে তুলে নেয়া উচিত।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/মিন্টু/এইচবি/এইচআর/ডিসেম্বর ০৯/১০