দেশের দুই পুঁজিবাজারে লেনদেন চাঙাভাবের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (এসইসি) সাধারণ সূচক বাড়ার পাশাপাশি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামও বেড়েছে।
আজ ডিএসইতে দিনের লেনদেন শেষে সাধারণ সূচক ৪৬৩ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬৩৮৯.৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মোট লেনদেন হওয়া ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫১টির এবং কমেছে মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ৫৭৭ কোটি টাকার।
আজ লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এনবিএল, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স, প্রাইম ব্যাংক, বেক্সিমকো, তিতাস গ্যাস, পিএলএফএসএল, স্কয়ার ফার্মা, সিএমসি কামাল ও আফতাব অটো।
দিনভর চাঙাভাবের বিষয়ে আজ ডিএসই প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের বেশ কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। এভাবে চলছে থাকলে একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুরোপুরি আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজার স্থিতিশীল হবে। তিনি বলেন, দেখে-শুনে ভালো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করলে অবশ্যই লাভবান হওয়া যাবে।
বাজারে ওঠা-নামা রয়েছে, তবে আতঙ্কিত হয়ে কোনো শেয়ার বিক্রি না করার এবং অতি মূল্যায়িত শেয়ার না কেনারও পরামর্শ দেন ডিএসইর প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বাজারে চাঙাভাবের কারণে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম সার্কিট ব্রেকারে পৌঁছানোয় ওই প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, কেউ সার্কিট ব্রেকারের নিচের দামে চাইলে বিক্রি করতে পারবেন।
এদিকে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যার কারণে লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে চাঙাভাব রয়েছে।
অন্যদিকে, সিএসইতে দিনের লেনদেন শেষে সূচক ১১১০.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৮৯৩.৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আজ মোট ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ১৮৪টির ও কমেছে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৩৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকার।
গত বুধবার সিএসইতে সূচক ৪৩৬১০ পয়েন্ট বেড়ে ১০৮৫৩.২৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়। মোট লেনদেন হওয়া ১৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বাড়ে ১৫৪টির, কমে ৩২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল তিনটির। মোট লেনদেন হয় ৯৮ কোটি ৫৭ লাখ ২৮ হাজার ৯০৭ টাকার।