কত্ত আর বয়স হইলো এই একশত বা দেড়শত একটু বেশি হলে হাজারখানেক ! তার বেশি তো না হাহ...
এখন এইচ এস সি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি (বয়স আন্দাজ করুন।উপরের লিখা আমলে নিয়েন না বোকাভালোরা কত্ত কিছু কয়)
এই স্বল্প! সময়ে কত্ত কিছু দেখলামরে পাগলা।(এত্ত কিছু দেখছি যে এখন চোখে -১৫০ পাওয়ারের একখান ঠুসি সাইজের চশমা পড়তে অয়!)
ক্যামতে একজন প্রচন্ড পছন্দের ব্যক্তিত্ব ধীরে ধীরে অপছন্দের হয়ে যায় (শেখ মুজিব,নজরুল,রবি কবি,বিবেকানন্দ,হু আহমেদ,আহমেদ শরীফ সহ আশেপাশের বহু বিখ্যাত বা কম খ্যাত মানুষ,প্রিয় অনেক ব্লগার বা ইমরান এইচ সরকার )
কত মানুষকে বুদ্ধিজীবী থেকে বুদ্ধিবেশ্যা,মুক্তিযোদ্ধা থেকে রাজাকার,তিব্র নাস্তিককে ধার্মিক,কত ভালো মানুষ হুক্কু পার্টি হয়ে গেল।আমি নাস্তিক হওয়ার জন্য কাছের বন্ধু দূরে সরে গেল কারন তার মত ভালো চোখে আন্ধার দেখি না......
যখন সজীব ওয়াজেদ জয় মুজিব কোট পড়ে পেঙ্গুইনের মত তর্জনী উচিয়ে অসত্যের বুলি আওড়ায় বা আ অ ট্রাইব্যুনাল গো আজমের রায়ের পর শাহবাগকে সংযত হতে বলে কিন্তু জামাতের তান্ডবে চুপ করে থাকে বা গো আজমের রায়ের পর মুন্তাসীর মামুন বলেন রায় হয়েছে এতেই আমরা খুশি(কস কি মমিন!)বা কাদের সিদ্দিকী মাগির দালালের মত গলায় গামছা পেচিয়ে ইসলামিক টিভিতে এসে হাস্যমুখে রাজাকারি করেন বা আল্লাম শফী যখন বলে নারীজাতি তেতুলের মত এবং সংসদে এক সংসদ তার পক্ষেই বলে তিনি নিজে মেয়ে হয়েও বা চার ব্লগার যখন গ্রেফতার হোন বা থাবাবাবা খুন হন তখন আমি সদা হাস্যমুখে খবর দেখি শুনি কিছুক্ষন চিতকার করি এবং পরে নিজেই চুপ করে যাই।হেসে উঠি নিজের নির্বুদ্ধিতার জন্য।
আমি কার জন্য ভাবছি......
যে দেশে মুক্তিকামীরা নির্যাতিত হয়,রাজাকার পড়ে বরমাল্য,হুমায়য়ন আজাদকে চাপাতি দিয়ে রক্তাক্ত করা হয় সে দেশের কেউ কি মানষ আছে ।মৌলবাদ ধর্মান্ধতার আড়ালে সবাই এক একজন পিশাচ...
দোষটা রক্তে মিশে আছে। যাই করা হউক এক দোষ কাটাবার নয়।
#আলবাল অনেক চিল্লাইলাম।চিল্লাবো সারাজীবন।কে কি বলল ''তাতে আমার ছেড়া গেল''
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৮