somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধিক্কার!!!শত ধিক্কার!!!!!

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় ভাই ও বোনেরা
১৯৭১ সালে যারা গণহত্যা সহ অন্যান্য অপকর্ম করছে সকলের সাথে আমিও তাদের বিচার চাই। শুধু বিচারই নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সেই সাথে আরও বিচার চাই তাদের যারা এখনও গণহত্যা চালাচ্ছে এবং যারা এই গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে। কিন্তু একজন নিরপরাধ মানুষের গাঁয়ে অন্যায়ভাবে একটা ফুলের আঁচরকেও আমি সমর্থন করিনা। শুধু আমি নয়, সকল সচেতন মহলই আমাদের সাথে এ বিষয়ে একমত হবেন। আর যারা বিবেকহীন এবং একটা মহলের পদলেহনকারী তারাই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন।
প্রিয় বন্ধুরা, আসুন আমরা নিচের সংবাদটি পড়ি এবং নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করি বিচার সঠিক হয়েছে কিনা। যে দুটি মামলায় আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসি দেয়া হল সেখানে কতটা অসংগতি।
দৈনিক আমার দেশঃ আজঃঢাকা, শনিবার ২ মার্চ ২০১৩, ১৮ ফাল্গুন ১৪১৯, ১৯ রবিউস সানি ১৪৩৪ হিজরী আপডেট সময়ঃ রাত ১২টা

যে দুই অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো মাওলানা সাঈদীকে

যে দুটি হত্যার অভিযোগে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে, তার একটি হলো মুক্তিযুদ্ধের সময় সাঈদীর উপস্থিতিতে বিশা বালীকে হত্যা করা। আর একটি হলো ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করা। সেই নিহত বিশা বালীর ছোট ভাই সুখরঞ্জন বালী ৫ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে এসেছিলেন মাওলানা সাঈদী তার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়—এ সাক্ষ্য দিতে। সেদিন আদালতের গেট থেকে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। পরে তার স্ত্রী গণমাধ্যমের কাছে জানান, তার স্বামী মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম তার স্বামী ও ভাই সাহেব আলী হত্যার বিচার চেয়ে একটি মামলা করেন। সে মামলায় ১৩ জনকে আসামি করেছিলেন; তবে সে আসামির তালিকায় মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। ওই ঘটনা ঘটেছে ১ অক্টোবর। সরকারপক্ষ দেখিয়েছে, তাকে মে মাসে হত্যা করেছে। তার নিকটাত্মীয় বা তার স্ত্রীসহ কাউকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়নি। তার স্ত্রী এখনও বেঁচে আছেন। তাকেও সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ দেয়নি সরকার।
সুখরঞ্জন বালী যা বলতে চেয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালে : বিশা বালী হত্যার বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে পিরোজপুরের উমেদপুর গ্রামে বিশা বালী নামে এক ব্যক্তিকে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে মাওলানা সাঈদীর নির্দেশ এবং তার উপস্থিতিতে হত্যা করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত রায়ে বলা হয়েছে, এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং মাওলানা সাঈদীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, উমেদপুর গ্রামে বিশা বালী নামে একজন ধরা পড়ার পর তাকে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে সাঈদীর সহায়তায় অন্য রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে।
বিশা বালীর ছোট ভাই সুখরঞ্জন বালী ট্রাইব্যুনালে বলতে চেয়েছিলেন, তার ভাইকে মাওলানা সাঈদী হত্যা করেননি। পাকিস্তান আর্মি এবং স্থানীয় রাজাকাররা তার ভাইকে ধরে নিয়ে বলেশ্বর নদীর তীরে হত্যা করে। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যে ডকুমেন্ট জমা দেয়া হয়েছে, তাতেও এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে বিশা বালীকে বলেশ্বর নদীর তীরে হত্যা করা হয়।
৫ নভেম্বর অপহরণের আগে সুখরঞ্জন বালীর গ্রহণ করা সাক্ষাত্কার দৈনিক আমার দেশ-এ ছাপা হয়েছিল ৬ নভেম্বর। আমার দেশ পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাত্কারে সুখরঞ্জন বালী বলেছিলেন, ‘সাঈদী সাইব মোর ভাই বিশা বালীকে খুন করে নাই, এডা ডাহা মিথ্যা কতা। মুই মোর ভাইর মরণ লইয়া এই রহমের মিত্যা কতা কইতে পারমু না।’
তিনি আমার দেশকে বলেছিলেন, ‘মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার আমাকে বলতে বলে, সাঈদী সাহেব ছিল—এ কথা বলবা। আমাকে দিয়া তারা মিথ্যা কথা বলানোর চেষ্টা করছে। তাতে রাজি না হওয়ায় আমারে তারা আনে নাই। আমিও হেদিকে যাই নাই।’
সুখরঞ্জন বালী বলেন, পাকসেনারা আমার অসুস্থ ভাই বিশা বালীকে ঘর থেকে বের করে উঠানে এনে বেঁধে রেখে আমাদের ঘরসহ আরও ১৫-১৬টি হিন্দুবাড়িতে আগুন দেয়। পরে তারা আমার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরদিকে হিন্দুপাড়ায় যায়। আমরা কিছুক্ষণ পরে দেখি ধোঁয়া উড়ছে। বিকালে সংবাদ পাই হোগলাবুনিয়া হিন্দুপাড়ার পাঁচ-ছয়জন হিন্দু ও আমার বড় ভাই বিশা বালীকে পিরোজপুরে নিয়ে যায়। সেখানেও সাঈদী সাহেব ছিলেন—এ কথা কেউ বলেননি। তিনি বলেন, পরদিন সকালবেলা শুনি বলেশ্বর নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে তাদের হত্যা করে পাকসেনারা। সেখানেও সাঈদী সাহেবের কথা শুনিনি। আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে সাঈদী সাহেব কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। এত বছরে আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মাওলানা সাঈদী জড়িত ছিলেন বলে আমরা শুনতে পাইনি। তাকে আমরা চিনি। তিনি ওয়াজ মাহফিল করতেন। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হলেও তাকে পছন্দ করি। আমার ভাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত থাকলে আমরা আগ বাড়িয়ে এসেই সাক্ষী দিতাম।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির করা সম্ভব নয় বলে সরকারপক্ষ যে ৪৬ সাক্ষীর তালিকা জমা দিয়েছিল, তার মধ্যে সুখরঞ্জন বালীর নাম ছিল। যে ১৫ সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে তাদের জবানবন্দি ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে, তার তালিকায়ও সুখরঞ্জন বালীর নাম ছিল। সেই সুখরঞ্জন বালী এসেছিলেন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে। এসেই গুমের শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় হাইকোর্ট বিভাগে রিট পর্যন্ত হয়েছিল।
ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা মামলায় যা ছিল : বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম তার স্বামী ও ভাই সাহেব আলী হত্যার বিচার চেয়ে একটি মামলা করেন। সে মামলার এজাহারে মমতাজ বেগম উল্লেখ করেছিলেন, তার স্বামী ইব্রাহিম কুট্টি বাপের বাড়ি নলবুনিয়ায় থাকা অবস্থায় শান্তি কমিটির লোকজন এবং পাকিস্তান আর্মি তাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে ১৯৭১ সালের ১ অক্টোবর। ওই ঘটনার সময় তাদের বাড়ি থেকে তার ভাই সাহেব আলী ও মা সিতারা বেগমকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পিরোজপুরে। পরে মাকে ছেড়ে দেয়া হলেও ভাই সাহেব আলীকে ছাড়া হয়নি। তাকে পাকিস্তান আর্মি গুলি করে হত্যা করে। মমতাজ বেগম সে মামলায় ১৩ জনকে আসামি করেছেন; তবে সেসব আসামির তালিকায়ও মাওলানা সাঈদীর নাম নেই।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা মমতাজ বেগমের মামলার এজাহার ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে বলেন, ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করা হয় নলবুনিয়ায়, পাড়েরহাটে নয়। হত্যার তারিখও ভিন্ন। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, ৮ মে মাওলানা সাঈদী ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করেছেন। আর মমতাজ বেগমের এজাহারে উল্লেখ রয়েছে ১ অক্টোবর। মমতাজ বেগম এখনও জীবিত কিন্তু তাকে সরকারপক্ষে সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয়নি।
মমতাজ বেগম স্বামী হত্যা মামলায় যাদের আসামি করেছেন, তারা হলেন—দানেশ মোল্লা, আতাহার আলী, আশ্রাব আলী, আবদুল মান্নান, আইউব আলী, কালাম চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুল হাকিম মুন্সি, মমিন উদ্দিন, সেকেন্দার আলী শিকদার, শামসুর রহমান এসআই ও মোসলেম মাওলানা। আসামিদের তালিকায় মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। এছাড়া পাকিস্তান আর্মিকেও আসামি করা হয়েছিল মমতাজ বেগমের মামলায়


এর পর ও আমদের বিবেক কি নাড়া দিবেনা একজন মজলুম মানুষের জন্য, আমরা কি এর পর ও ধিক্কার জানাব না ওই সকল বিচারকদের যারা তাদের হীন স্বার্থের জন্য তাদের বিবেকের জলাঞ্জলি দিয়ে পা চাটা কুকুরের মত সরকারের পদলেহন করে মহান শপথের অবমাননা করে বিচার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে। আসুন আমরা সবাই ধিক্কার জানাই, ধিক্কার এবং শত ধিক্কার!!!!!
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×