somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অস্থিরতার চরমে মধ্যপ্রাচ্য :একে একে কাঁপছে আরব শাসকদের মসনদ

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নতুন বছরের শুরুতে হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠে আরব ভূখন্ডগুলোর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। ইতিমধ্যে সাধারন জনগনের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিউনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আরব জাহানের অতি পরিচিত শাসক মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক । এরই ধারাবাহিকতায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বাহরাইন, ইরান, জর্ডান এবং সর্বশেষ সংযুক্তি লিবিয়া । এমনকি চরম রাজতান্ত্রিক শাসনের সৌদি আরবেও গঠিত হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটে আরব শাসকদের ভাবিয়ে তুলছে ভয়ানকভাবে। কেউ কেউ মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য ইতিমধ্যে নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করছে পশ্চিমা দেশগুলোর বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রহস্যজনক পক্ষালবম্বন।

বছরের শুরুতে বিক্ষোভের সূচনা হয় তিউনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলীর বিরুদ্ধে । বিক্ষোব্ধ জনতাকে সামাল দিতে না পেরে টানা ২৩ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক আস্রয় নেন সৌদি আরবে। অস্থিরতার এই কারন খুজে বের করার প্রক্রয়ার মাঝেই শুরু হয় মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম পরাশক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সমর্থনপুষ্ট বলে ক্ষ্যাত মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে। ঘোলাটে হতে থাকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট । মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে আন্দোলনের চরম মুহুর্তে ইসরাইল এবং পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠির অবস্থান নিয়ে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। ইসরাইল বরাবরই চাইছিল মোবারক ক্ষমতায় থাকুক, তবে আমেরিকার অবস্থান স্পষ্ট ছিল না কোন সময়ই, উইকিলিকস সাময়িকিতে প্রকাশিত তথ্য মতে বিক্ষোভকারীদের অর্থের যোগান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; আর বাইর থেকে যুক্তরাষ্ট্র দেখাচ্ছিল তারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করছে । অবশেষে টানা ১৮ দিনের বিক্ষোভের মাথায় ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন মোবারক। শেষ হয় তার ৩০ বছরের দীর্ঘ শাসনামল। বেরিয়ে আসে মোবারকের দুর্নিতীর অনেক অজানা তথ্য। সুইস ব্যাংকে আটকা পড়ে তার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার । মোবারক মিশরের রাজধানী কায়রো ছেড়ে সপরিবারে দেশটির পর্যটন নগরী শার্ম আল শেখ-এ অবস্থান করছেন। এর সব কিছুই এখন ইতিহাস, সদ্য ঘটে যাওয়া হলেও। কারন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে আরও চমকপ্রদ ঘটনার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ।

ইতিমধ্যে বাহরাইন ও জর্ডানে সংক্ষিপ্ত আকারে বিক্ষোভ হয়েছে দেশ দুটির বাদশাহ’র বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিচ্ছে যেকোন ধরনের পরিস্থিতির জন্য। এরই মধ্যে চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণকেন্দ্র সৌদি আরবে ।দেশটিতে কোন প্রকার রাজনৈতির কর্মকান্ড নিষিদ্ধ থাকলেও এরই মধ্যে সেখানে গঠন করা হয়েছে বাদশাহী শাসন উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দল। আর তাতে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর মদদ স্পষ্ট পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, ইতিমধ্যে বিক্ষোভ চরম আকার ধারন করেছে ইরান ও লিবিয়ায়।

লিবয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক একনায়ক গাদ্দাফিকে গদি থেকে নামানোর জন্য শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দেশটির গণতন্ত্রকামীদের এ আন্দোলন সফল হলে মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪১ বছরের শাসনাবসান হবে। লিবিয়ার এই বিক্ষোভ অবশ্য এক পুরনো অধ্যায়েরই ফসল, ২০০৬ সালের এক বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ১৮ বিক্ষোভকারি নিহত হবার পর প্রতিবছর ১৭ ফেব্রুয়ারী দেশটিতে পালন করা হয় এই বিক্ষোভ। তবে সাম্প্রতিক আরব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা এবার নতুন মাত্রা পাচ্ছে । অন্যান্যবারের মত একে আর সাধারন বিক্ষোভ বলা যাচ্ছেনা, বরং এ থেকেই সৃষ্টি হতে পারে আরেকটি পতনের মঞ্চ। কারন পশ্চিমা বিরোধী এবং সমাজতান্ত্রিক মুয়াম্মার গাদ্দাফির রাজনৈতিক অবস্থান তথা মতাদর্শই হয়তো তার প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়াতে পাড়ে।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইরানের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান সম্পূর্ন ভিন্ন। প্রধানত শিয়া অধ্যুশিত এই আরব ভূখন্ড ইরানি বিপ্লবের মাধ্যমে শাহের পতনের পর থেকেই পশ্চিমাদের চক্ষুশূল হয়ে দাড়িয়েছে। স্বচ্ছ গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু থাকলেও ইরানি নেতাদেরকে দুই চোক্ষে সহ্য করতে পারে না পশ্চিমা নেতারা। বিশেষ করে ইরানের বর্তমান নেতা আহমাদিনেজাদ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরান পশ্চিমাদের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে আহমাদিনেজাদের পরমানু নীতিই তাকে বিপদে ফেলেছে বার বার। কিন্তু দেশে অর্থনীতির স্বার্থে, আবার কারো কারো মতে সামরিক কৌশলগত স্বার্থে নিজের অবস্থানের উপর অটল থেকেছেন তিনি। কোন ভাবেই পরাস্থ করতে না পেরে পশ্চিমারা সামরিক হামলার হুমকি সহ নানা প্রকারের অবরোধ দিয়ে চলছেন ইরানের বিপক্ষে। এতেও টলাতে না পেরে এবার হয়তো নতুন অস্র ব্যাবহার করছে বেনিয়া শাসকগোষ্ঠী। ইরাকের তেল সম্পদ কোক্ষিগত করার পর হয়তো ইরানের বিপুল তেল ভান্ডারের উপর তাদের শ্যান দৃষ্টি পড়েছে । আর পশ্চিমারা ভাল করেই জানে আহমাদিনেজাদ তথা ইরানের বর্তমান সরকারের কাছ থেকে তা কখনোই আদায় করা সম্ভব নয়। তার উপর ইরান যদি পারমানবিক শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে ইরান হয়তো ধরা ছোঁয়ার বাইরেও চলে যেতে পাড়ে। তাই মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নতুন কোন হিসাব নিকাষ শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শাসক শ্রেনী। এরই ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে হঠাৎ করে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ মিছিল বের হয় তেহরানের রাস্তায়, আর এতে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারি মারা গেলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকে। নিহত বিক্ষোভকারির জানাজায় আসা জনতা নতুন করে বিক্ষোভ করা শুরু করে ।আর এই বিক্ষোভের পক্ষে নগ্নভাবে সমর্থন জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, তিনি এক বক্তৃতায় বিক্ষোভকারীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন। আর এতেই বেড়িয়ে আসে থলের বেড়াল।

এভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চরম থেকে চরম আকার ধারন করছে। আগামী দিনগুলিতে তা কোন দিকে মোড় নেয় তাই এখন ভাবিয়ে তুলছে মধ্যপ্রাচ্যসহ নিকটপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্যের শাসকশ্রেনীকে। এবং চড়মভাবে হুমকির মুখে পড়ছে আরব ভূখন্ডগুলো স্থিতিশীলতা । আর এ ধারা অব্যাহত থাকলে আরবরাতো বটেই আমরাও তথা বাংলাদেশের ক্ষতিটাওযে কম হবে তা কিন্তু নয়, কারন শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেই রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ বাঙ্গালী শ্রমিক।নতুন বছরের শুরুতে হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠে আরব ভূখন্ডগুলোর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। ইতিমধ্যে সাধারন জনগনের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিউনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আরব জাহানের অতি পরিচিত শাসক মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক । এরই ধারাবাহিকতায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বাহরাইন, ইরান, জর্ডান এবং সর্বশেষ সংযুক্তি লিবিয়া । এমনকি চরম রাজতান্ত্রিক শাসনের সৌদি আরবেও গঠিত হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটে আরব শাসকদের ভাবিয়ে তুলছে ভয়ানকভাবে। কেউ কেউ মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য ইতিমধ্যে নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করছে পশ্চিমা দেশগুলোর বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রহস্যজনক পক্ষালবম্বন।

বছরের শুরুতে বিক্ষোভের সূচনা হয় তিউনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলীর বিরুদ্ধে । বিক্ষোব্ধ জনতাকে সামাল দিতে না পেরে টানা ২৩ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক আস্রয় নেন সৌদি আরবে। অস্থিরতার এই কারন খুজে বের করার প্রক্রয়ার মাঝেই শুরু হয় মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম পরাশক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সমর্থনপুষ্ট বলে ক্ষ্যাত মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে। ঘোলাটে হতে থাকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট । মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে আন্দোলনের চরম মুহুর্তে ইসরাইল এবং পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠির অবস্থান নিয়ে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। ইসরাইল বরাবরই চাইছিল মোবারক ক্ষমতায় থাকুক, তবে আমেরিকার অবস্থান স্পষ্ট ছিল না কোন সময়ই, উইকিলিকস সাময়িকিতে প্রকাশিত তথ্য মতে বিক্ষোভকারীদের অর্থের যোগান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; আর বাইর থেকে যুক্তরাষ্ট্র দেখাচ্ছিল তারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করছে । অবশেষে টানা ১৮ দিনের বিক্ষোভের মাথায় ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন মোবারক। শেষ হয় তার ৩০ বছরের দীর্ঘ শাসনামল। বেরিয়ে আসে মোবারকের দুর্নিতীর অনেক অজানা তথ্য। সুইস ব্যাংকে আটকা পড়ে তার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার । মোবারক মিশরের রাজধানী কায়রো ছেড়ে সপরিবারে দেশটির পর্যটন নগরী শার্ম আল শেখ-এ অবস্থান করছেন। এর সব কিছুই এখন ইতিহাস, সদ্য ঘটে যাওয়া হলেও। কারন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে আরও চমকপ্রদ ঘটনার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ।

ইতিমধ্যে বাহরাইন ও জর্ডানে সংক্ষিপ্ত আকারে বিক্ষোভ হয়েছে দেশ দুটির বাদশাহ’র বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিচ্ছে যেকোন ধরনের পরিস্থিতির জন্য। এরই মধ্যে চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণকেন্দ্র সৌদি আরবে ।দেশটিতে কোন প্রকার রাজনৈতির কর্মকান্ড নিষিদ্ধ থাকলেও এরই মধ্যে সেখানে গঠন করা হয়েছে বাদশাহী শাসন উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দল। আর তাতে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর মদদ স্পষ্ট পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, ইতিমধ্যে বিক্ষোভ চরম আকার ধারন করেছে ইরান ও লিবিয়ায়।

লিবয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক একনায়ক গাদ্দাফিকে গদি থেকে নামানোর জন্য শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দেশটির গণতন্ত্রকামীদের এ আন্দোলন সফল হলে মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪১ বছরের শাসনাবসান হবে। লিবিয়ার এই বিক্ষোভ অবশ্য এক পুরনো অধ্যায়েরই ফসল, ২০০৬ সালের এক বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ১৮ বিক্ষোভকারি নিহত হবার পর প্রতিবছর ১৭ ফেব্রুয়ারী দেশটিতে পালন করা হয় এই বিক্ষোভ। তবে সাম্প্রতিক আরব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা এবার নতুন মাত্রা পাচ্ছে । অন্যান্যবারের মত একে আর সাধারন বিক্ষোভ বলা যাচ্ছেনা, বরং এ থেকেই সৃষ্টি হতে পারে আরেকটি পতনের মঞ্চ। কারন পশ্চিমা বিরোধী এবং সমাজতান্ত্রিক মুয়াম্মার গাদ্দাফির রাজনৈতিক অবস্থান তথা মতাদর্শই হয়তো তার প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়াতে পাড়ে।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইরানের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান সম্পূর্ন ভিন্ন। প্রধানত শিয়া অধ্যুশিত এই আরব ভূখন্ড ইরানি বিপ্লবের মাধ্যমে শাহের পতনের পর থেকেই পশ্চিমাদের চক্ষুশূল হয়ে দাড়িয়েছে। স্বচ্ছ গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু থাকলেও ইরানি নেতাদেরকে দুই চোক্ষে সহ্য করতে পারে না পশ্চিমা নেতারা। বিশেষ করে ইরানের বর্তমান নেতা আহমাদিনেজাদ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরান পশ্চিমাদের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে আহমাদিনেজাদের পরমানু নীতিই তাকে বিপদে ফেলেছে বার বার। কিন্তু দেশে অর্থনীতির স্বার্থে, আবার কারো কারো মতে সামরিক কৌশলগত স্বার্থে নিজের অবস্থানের উপর অটল থেকেছেন তিনি। কোন ভাবেই পরাস্থ করতে না পেরে পশ্চিমারা সামরিক হামলার হুমকি সহ নানা প্রকারের অবরোধ দিয়ে চলছেন ইরানের বিপক্ষে। এতেও টলাতে না পেরে এবার হয়তো নতুন অস্র ব্যাবহার করছে বেনিয়া শাসকগোষ্ঠী। ইরাকের তেল সম্পদ কোক্ষিগত করার পর হয়তো ইরানের বিপুল তেল ভান্ডারের উপর তাদের শ্যান দৃষ্টি পড়েছে । আর পশ্চিমারা ভাল করেই জানে আহমাদিনেজাদ তথা ইরানের বর্তমান সরকারের কাছ থেকে তা কখনোই আদায় করা সম্ভব নয়। তার উপর ইরান যদি পারমানবিক শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে ইরান হয়তো ধরা ছোঁয়ার বাইরেও চলে যেতে পাড়ে। তাই মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নতুন কোন হিসাব নিকাষ শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শাসক শ্রেনী। এরই ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে হঠাৎ করে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ মিছিল বের হয় তেহরানের রাস্তায়, আর এতে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারি মারা গেলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকে। নিহত বিক্ষোভকারির জানাজায় আসা জনতা নতুন করে বিক্ষোভ করা শুরু করে ।আর এই বিক্ষোভের পক্ষে নগ্নভাবে সমর্থন জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, তিনি এক বক্তৃতায় বিক্ষোভকারীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন। আর এতেই বেড়িয়ে আসে থলের বেড়াল।

এভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চরম থেকে চরম আকার ধারন করছে। আগামী দিনগুলিতে তা কোন দিকে মোড় নেয় তাই এখন ভাবিয়ে তুলছে মধ্যপ্রাচ্যসহ নিকটপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্যের শাসকশ্রেনীকে। এবং চড়মভাবে হুমকির মুখে পড়ছে আরব ভূখন্ডগুলো স্থিতিশীলতা । আর এ ধারা অব্যাহত থাকলে আরবরাতো বটেই আমরাও তথা বাংলাদেশের ক্ষতিটাওযে কম হবে তা কিন্তু নয়, কারন শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেই রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ বাঙ্গালী শ্রমিক।

সূত্র : View this link
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৬
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×