somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফাগুনের ভোর

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাত তলা ভবনের চার তলায় নিজ কক্ষের দক্ষিণ দিকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছিল ফাগুন। ছাই ফেলতে যাওয়ার সময় দমকা বাতাসের ঝটকায় একটা স্ফুলিংগ এসে পড়ল তার শখ করে রাখা গোঁফের উপর। কেন আজকাল এমন হচ্ছে? ঠোটে থাকা অবস্থায় অনেক নিরাপদ ছিল এই আগুনটা। দুই আঙ্গুলের মাঝখানে থেকেও কেন এরকম বিগড়ে গেল হঠাৎ করে। এটা কি তার শখের ব্যাপারে বিধাতার দেয়া কোন ইঙ্গিত?

আর্ট কলেজের ছাত্র ফাগুন তার অনার্স জীবনের পুরোটাই কাটিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের হয়ে কাজ করে। একটা থিয়েটার গ্রুপের সাথে ছিল তার বেশ সখ্য। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছে অভিনয় করার। কিন্তু সাধ আর দক্ষতার ফারাকের কারণে কখনই সে মঞ্চে উঠা হয়ে উঠেনি তার।

আজকে একটা বিশেষ করণে ফাগুন বারান্দায় দাঁড়িয়ে পরপর দুইটা সিগারেট টানছে। কারণটা অতি সাধারণ। ফাগুন যে বাসায় পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকে সে বাসায় কর্তৃ তার কাছে আজ এ মাসের ভাড়ার টাকা চেয়েছেন। ফাগুন এখনো বেতন পায়নি, আজকে কালকের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করা সম্ভব না। তাই সে অপেক্ষা করছে কুটকুটে মহিলাটা নামাজে দাড়ালে সে চুপিচুপি বেরিয়ে যাবে বাইরে। রাতে শুধু একটু দেরি করে ফিরলেই হবে, মহিলা ঘুমানোর পরে। এভাবে করে কয়েকটা দিন কাটাতে হবে তার।

ফাগুন এখন একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করে। আর্ট কলেজ থেকে পাশ করে বের হওয়ার পর পেটের তাগিদ সামলাতে গিয়ে ফাগুন চাকরী নিয়েছিল একটা এনজিওতে। এনজিওতে চাকরী করার পাশাপাশি ফাগুন তার বাবার পেনশনের টাকা দিয়ে এমবিএ করে। এমবিএ করেছে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে। পরিকল্পনা ছিল কোন এক কোম্পানীর বড় কর্মকর্তা হয়ে বৃদ্ধ বাবাকে একটু সান্তনা দিবে।

কিন্তু এমন কর্মকর্তা হওয়ার তাগিদ সে খুব একটা অনুভব করত না। এমবিএ করার সময় অনেক গুলো রিপোর্ট আর প্রেজেন্টেশন করতে হয়েছে ফাগুনকে। রিপোর্টের কাজগুলো করার সময়ই মূলত, ফাগুনের মনের ভিতর তথ্য গবেষণার একটা আগ্রহ জন্মায়। তাছাড়া এনজিও অফিসের তার কলিগদের মধ্যে যারা তথ্য গবেষণার কাজ করত তাদের চাল-চলন, ভাব-সাব দেখে ফাগুনের খুব ঈর্ষা হত। এমবিএ শেষ করে ফাগুন নতুন কোন চাকরীর সন্ধাঁন না করে তথ্য গবেষণার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে শুরু করল। এক বন্ধুর কাছ থেকে ইমেইল এড্রেস জোগাড় করে সে সিঙ্গাপুরের এক প্রফেসরের কাছে তার আগ্রহের কথা জানায়। মাস চারেক পরে একদিন প্রফেসরের কাছ থেকে সাড়া আসে। প্রফেসর ফাগুনের জীবন বৃত্যান্ত, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর তথ্য গবেষণা নিয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পণা সম্পর্কে জানতে চান।

ফাগুন অতি সাধারণ ভাষায় একটা বিবরনী তৈরী করে প্রফেসরকে ইমেইল করে। কিছুদিনের মধ্যে প্রফেসরের কাছ থেকে উত্তর আসে। প্রফেসর জানান তিনি এক ডোনারের কাছে ফাগুনের বৃত্যান্ত দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করায় ডোনার রাজি হয়েছে। ফাগুনের জন্য একচুরিয়েল সাইন্স-এ এমএসসি করার একটা সুযোগ আছে এবং এমএসসি তে সাফল্য পেলে, এমফিল করার সুযোগ হতে পারে। বর্তমান বিশ্বে একচুরিয়েল সাইন্স এর কাটতি অনেক বেশি। বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানী একচুয়েরীদেরকে অনেক বড় অংকের বিনিময়ে চাকরী দিয়ে থাকে এবং এই যোগ্যতা দিয়ে অনেক বড় বড় গবেষণার কাজ করা সম্ভব। অগত্যা রাজী হয়ে গেল ফাগুন, যদিও এই অফারে শুধুমাত্র থাকা-খাওয়া আর টিউশন ছাড়া অন্য কোন অর্থনৈতিক সুবিধা ছিল না।

সিঙ্গাপুর থেকে পড়াশুনা শেষ করে ফাগুন দেশে ফিরেছে সাত মাস আগে। অনেক চেষ্টা করেও ফাগুন আপন দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের সাথে তার জীবনের কোন মিল খুঁজে পাচ্ছে না। প্রথমত সিঙ্গাপুর সরকারের ভিনজাতি নীতি পরিবর্তনের কারণে ফাগুনের স্বপ্নে কিছুটা ভাটা পড়ে। ওয়ার্ক এন্ড রেজিডেন্স পারমিট চেয়ে ফাগুনের আবেদনে অনুমোদন আসেনি। ফাগুনকে তার নিজের দেশে ফিরে আসতে পরামর্শ দিয়েছে সিঙ্গাপুর বর্ডার এজেন্সী। দেশে ফিরে এসে ফাগুন পড়েছে আরেক বিপাকে। ফাগুনের যোগ্যতা দিয়ে সুনির্দিষ্ট চাকুরী কেউ তাকে দিতে চায় না। এখানে যারা তথ্য গবেষণার কাজ করেন তাদেরকে আসলে নির্দিষ্ট কোন বিদেশি বা উচুঁ মানের ডিগ্রিধারী হতে হয় না। এ কাজ যেকোন কেউ করতে পারেন, কারণ হচ্ছে এখানে গবেষণার কাজ শুধুমাত্র করার জন্য করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনের মান নিয়ে এখানে কেউ খুব একটা ভাবে না; মান কোন বিবেচ্য বিষয় নয়।

বিদেশি সাহায্যপুষ্ট কয়েকটা রিসার্চ ফার্মের যেকোন যোগ্যতার যেকোন চাকুরীজীবি নিজেকে একজন গবেষক হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন এবং যেকোন ধরণের গবেষণা কাজের দায়িত্ব নিতে পারেন। বস্তুতঃ যদি উচ্চমাধ্যমিক পাশ একজনকে দিয়ে কম খরচে গবেষণা নামক প্ররোচনার কাজ চালিয়ে নেয়া যায় তাহলে ফাগুনের মত লোকের কি দরকার; অযথাই বাড়তি ঝামেলা কে নিতে চায়!

আরেকটা সমস্যাও আছে ফাগুনের। কয়েকটা চাকুরীর বিজ্ঞাপন পত্রিকায় দেখে ফাগুন আবেদন করেছিল। বেশ কয়েকটা ইন্টারভিউ এর ডাকও পেল। যখন কোন একটা বড় (সিনিওর) পজিশনের জন্য ইন্টারভিউ দিতে যায় সে, তখন নিয়োগকর্তারা উপসংহারে বলেন, "আপনার অনেক যোগ্যতা আছে বটে, তবে একাডেমিক গবেষণা কাজ ছাড়া আপনার আর অন্য কোন অভিজ্ঞতা নাই। আমরা চাই হ্যান্ডস-অন এক্সপেরিয়েন্স। আমরা তো আপনাকে এই চাকরী দিতে পারছি না। তবে আপনি যদি ৩/৪ হাজার টাকা বেতনে রাজী থাকেন তবে আমরা ভেবে দেখতে পারি।"

যখন কোন জুনিওর পজিশনের জন্য ইন্টারভিউ দিতে যায়, নিয়োগকর্তারা বলেন, "আপনি তো অনেক বেশি কোয়ালিফাইড, এই জুনিওর পজিশনের চাকুরীতে তো আপনি থাকবেন না। এতে করে আমাদের কোম্পানীর ক্ষতি হবে। তবে আপনি যদি ৫/৭ বছরের ফিক্সড টার্ম (স্বল্প বেতনের) বন্ড সাইন করেন তাহলে আমরা ভেবে দেখতে পারি।"

এমনও একবার হয়েছে, ফাগুন অনেক নামকরা একটা কোম্পানীতে সিনিওর ফাইন্যান্সিয়াল এনালিস্ট পজিশনের জন্য ইন্টারভিউ দিয়ে বের হয়ে আসার সময় তার এক পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেল। বন্ধুর সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে সে জানতে পারল যে, ওইদিনের ইন্টারভিউ আয়োজনটা ছিল নিতান্তই একটা ফরমালিটি। ওই পজিশনের জন্য একজনকে আগে থেকেই সিলেক্ট করা আছে। শুধুমাত্র লিগ্যাল রিক্যুয়ারমেন্ট ফুলফিল করার জন্যই এই আয়োজন।

একজন একচুয়েরী হিসেবে মূল্যায়ন না পেলেও চার মাস পার হয়ে গেলে ফাগুনের ভাগ্যে একটা চাকুরী জুটে যায় ফাগুনের।কী সৌভাগ্যবান ফাগুন!! একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কমিশন এজেন্টের কাজ নেয় ফাগুন। ফাগুনের বাবা-মা এখন তাদের গ্রামের বাড়ীতে থাকেন। মেজচাচার সাহায্যপুষ্ট হয়ে ফাগুনের বাবা মা তাদের দিনাতিপাত করছেন আর অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তাদের উচ্চশিক্ষিত ছেলের বিড়ম্বনার শেষ দেখার জন্য। বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাজটা নেয়া ছাড়া ফাগুনের হাতে আর অন্য কোন পছন্দও ছিল না। স্বল্প বেতনের এই কমিশনের চাকরীই এখন ফাগুনের জীবিকার একমাত্র উপায়।

বেশ কিছুদিন ধরে কিছু কিছু ব্যাপারে ফাগুনের খুব একটা তাগিদ অনুভব হয় না। একসময়কার নামকরা খাদক ফাগুনের এখন আর খুব একটা ক্ষিদা টিদা লাগে না, ঘুমেরও খুব একটা দরকার হয় না। শুধু সিগারেট আর চায়ের নেশাটা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে ফাগুন ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। একেকদিন একেক মহল্লার দিকে যায়। মহল্লার মোড়ে চায়ের দোকান কিংবা লেকের পাড়ে বসে বেশ আয়েশ করে চা-সিগারেট খায়। পরিচিত, অর্ধ-পরিচিত কিংবা অপরিচিত লোকজনের সাথে এটা সেটা নিয়ে গল্প করে সময় কাটায়। রাত বারোটার দিকে তার বাসার ওই বৃদ্ধ মহিলা ঘুমিয়ে পড়ার পর চুপিচুপি বাসায় এসে ঢুকে দরজা বন্ধ করে করে বিছানায় শুয়ে থাকে। বাসায় থাকাকালীন সময়ে ফাগুনের সর্বান্ত প্রচেষ্টা থাকে মহিলার সাথে সাক্ষাত এড়িয়ে চলার।

প্রতিদিন রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে, বালিশে মাথা রেখে ফাগুন আপন মনে একটা সান্তনার বুলি আওড়ায়। "নীল কল্পনার আচড় ভেঁঙ্গে আমি বারবার স্বপ্ন দেখে যাই একটা কাঙ্খিত ভোরের; লাল সবুজ আর হলুদের আলপনা আঁকা একটা শুভ্র সকাল বেলার; জানি না কবে আসবে সেই ভোর; তবুও স্বপ্ন দেখেই; আর ভাবি - একদিন নিশ্চয়ই হবে সেই সূর্যদয় . . ."

ফাগুনের এই রঙ্গীন ভোরের স্বপ্নটা কোনদিন সত্যি হবে কি না তা আমরা কেউই জানি না। স্বপ্নের ভোরের শুভ্র প্রচ্ছদে রঙ্গীন আলপনার বদলে একদিন হয়ত আঁকা হবে রক্তস্নাত এক লাশের প্রতিচ্ছবি। কাংখিত সূর্যদয় হয়তবা গড়িয়ে যাবে শ্বাসরূদ্ধ এক বিবর্ণ সঁন্ধায়। তবুও আগামীকাল দেখা হবে না ফাগুনের। চাঁদের আলোয় শেষকৃত্যের আয়োজনের দেখা হবে তোমাদের সাথে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×