বাংলাদেশের মেতো উন্নয়শীল দেশে অপুষ্টি মানে, শারীরিক কার্যক্ষমতা রক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি অপযাপ্ত ও ভারসাম্যহীন মাত্রায় গ্রহন করা। পুষ্টি উপাদান হোল দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সেইসব পদার্থ, যা শরীরের টিসু্গুলোকে তৈরী ও পুনঃস্থাপন করে, দেহে উষ্নতা ও শক্তি যোগায় এবং শারীরিক প্রকিয়াকে নিয়ন্ত্রন করে। পুষ্টি উপাদান মুলত ৬ ধরনের: শর্করা, আিমিষ, স্নেহ, খিনিজ, ভিটামিন ও পানি। ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট হল সেইসব পুষিট উপাদান, যা সব ধরনের খাবার থেকে প্রচুর পিরিমানে গ্রহন করতে হয়। আর মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট (খনিজ ও ভিটামিন) হেলো সেইসব পুষ্টি উপাদান, যা স্বল্প পরিমানে ও চাহিদামত গ্রহন করা প্রয়োজন। ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট-এর অভাবজনিত অপুষ্টি রোধ করতে হেলে শিশুর বয়স ৬মাস র্পুন হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ান। ৬ মাস পূর্ন হবার পর (২বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়স পর্যন্ত)। মায়ের দুধের পাশাপাশি (প্রতিটি পূষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ) সুষম এবং অন্যান্য উপযুক্ত পিরিপূরক খাবার দিন। যদি প্রতিদিনের খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের কমতি থাকে,. সেক্ষেত্রে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট-এর সুষম গ্রহন নিশ্চিত করতে খাদে আলাদাভাবে পুষ্টি উপাদান সংযোজন করা একটি কার্যকর সমাধান। জন্ম থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের দৈহিক ও মানসিক র্বদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটা সময়; আর এ কারনে এই সময়ে শিশুদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। বিশ্বজুড়ে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট সংশ্লিষ্ট অপুষ্টির তিনটি প্রধান রুপ হলো আয়রন, ভিটামিন এ এবং আয়োডিনের স্বল্পতা। এই তিনটির মেধ্যে আবার আয়রন স্বল্পতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২৭