somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সহজবোধ্য অনুবাদে মুসলিম

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

######################
সহজবোধ্য অনুবাদে মুসলিম
*****
তীব্র অজ্ঞতার বশেই বিশৃঙ্খলাকামীদের অনুকরণে ভিন্নধর্মীকে যারা ‘অ-মুসলিম’ বলছেন, স্বয়ম্ভূ বিধাতা তাদেরকে যেন ক্ষমা করে দেয়, অনেক শুভকামনার মতো এটাও কাম্য।
আরব্য ভাষায় পবিত্র ধর্মগন্থে ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে সংবাদবাহক (রসুল) রূপে আগত নোহা, ইব্রাহীম, ইয়াকুব, সোয়ায়েব, মুসা, দাউদ, সুলাইমান, ইশা কিম্বা পৃথিবীর অন্যান্য জনগোষ্ঠীতে আগত ধর্মপ্রচারকদেরকে এবং তাদের অনুসারীদেরকে কোথাও ‘অ-মুসলিম’(অ-শান্তিকামী) বলা হয়নি।
সন্ত্রাসীদেরকে সকল ধর্মেই বিশৃঙ্খলাকামী (আরবিতে ‘মুফুছিদুন’) বলা হয়। প্রত্যেক সম্প্রদায়ে সর্বকালেই যেমন অধিকাংশ মানবসন্তান আছে যারা অশান্তিকামী (অ-মুসলিম), তেমনি কিছুসংখ্যক আছে শান্তিকামী (মুসলিম) যারা শান্তির লক্ষ্যেই তাদের নিজেদের সম্প্রদায়ের ধর্মাদেশ অনুসরণ করে এবং অশান্তির চর্চাকারীদেরকে ঘৃণা করা উচিত জেনেই ঘৃণা করে।
বিশৃঙ্খলাকামীরা কোনো ধর্মেই ধার্মিক হিসেবে গণ্য নয়। সকল সম্প্রদায়ের ধার্মিকেরাই শান্তিকামী (মুসলিম) এবং সকল সম্প্রদায়ের অধার্মিকেরাই ফ্যাসাদি বা বিশৃঙ্খাকারী বা অশান্তিকামী (অ-মুসলিম)। তারাই বিশৃঙ্খলাকারী (মুফছিদুন) হতে পারে এবং হয়ে থাকে, যারা নিজেদের সম্প্রদায়ের ধর্মে এবং ধর্মাচারে বিশ্বাসী (মুমিন বা Faithful) নয় এবং যারা ভিন্নধর্মীকে অধার্মিক বা অশান্তিধর্মী বলে কলহের উদ্দেশ্যে এবং যারা ভিন্নধর্মীকে অশ্রদ্ধা করে এবং অধার্মিককে যারা ধার্মিক বলে।
তারাই ধর্মে বিশ্বাসী, যারা কর্মে এবং আচরণে নিজেদের সাম্প্রদায়িক ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করেন। দৃঢ়বিশ্বাসীরা কখনোই ধর্মান্তরিত হন না কিম্বা ধর্মত্যাগ করেন না। ধার্মিকেরা ভিন্নধর্মীদের ধর্মাচারকেও সমান মর্যাদা দেন। সকল ধার্মিকের লক্ষ্যই সার্বিক শান্তি।
আরব্য ধর্মগন্থেও এভাবেই দেওয়া আছে যে, পৃথিবীর সকল শান্তিকামী (মুসলিম) একে আপরের ভাই সমতুল্য।
সকল সম্প্রদায়ের রসুলগণ (সংবাদবাহক # বার্তাবাহক # পায়গাম্বার # messenger ) শান্তির বাণী বহনকারী ছিলেন, তেনারা কেহই কখনো বিশৃঙ্খলাকামী (মুফছিদুন) ছিলেন না। সকল সম্প্রদায়ে, রসুলদের অনুসারীগণ শান্তিকামী (মুসলিম) হিসেবেই সম্মানিত। বিশ্বাসীরাই বিশ্বাস করে এবং শান্তির চর্চা করে।
ফ্যাসাদিরা কখনোই ধার্মিক নয়। মুফছিদুনরা (বিশৃঙ্খলাকামী) ধর্মিকের বেশ ধারণ করে নিয়ে নিজেদেরকে ধার্মিক সাজিয়ে কোথাও অশান্তির চর্চা করার সুযোগ পেলে, সেখানে ফ্যাসাদিদেরকে দোষী বলা যায় না, বরং দোষী সেখানকার সুযোগদাতা জ্ঞানীগণ, যারা জেনে-বুঝেও স্বঘোষিত ধার্মিকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকেও ধর্মাচার বলেন, এবং নিজেদের সন্তানদেরকে সযত্নে ধর্মজ্ঞান না-দিয়ে বিশৃঙ্খলাকারীদের অনুসারীর সংখ্যা বাড়ানোতে সহযোগিতা করেন।
নিশ্চয়ই আরবীয় ‘মুসলিম’ শব্দটি কোনো বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের ধর্মের নয় যেখানে সকল বার্তাবাহকের ধর্মের নাম বাংলায় ‘শান্তি’।

নিজের ব্যক্তিত্বের সহজাত সন্ত্রাসীটাকে দমিয়ে শান্তিকামনা নিয়ে নিজের সহজবোধ্য ভাষায় পাঠ করে আমরা পাচ্ছি, >>>

সূরা ইব্রাহিম # ১৪/৪,৫ : আমরা পাঠাইনি কোনো রসুলকে এমন যে-নয় স্বজাতির ভাষাভাষী, যেন সে তাদের কাছে পরিস্কার বর্ণনা দিতে পারে; আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা অন্ধকারে রাখেন এবং যাকে ইচ্ছা পথ দেখান এবং তিনি তো পরাক্রমশালী বিচক্ষণতা। আমরা পাঠিয়েছি মুসাকে আমাদের নিদর্শনসমূহসহ; -‘তোমার সম্প্রদায়কে অন্ধকার থেকে আলোয় আনো এবং ওদেরকে অতীতের দশা স্মরণ করিয়ে দাও।’ –দৃঢ় ধৈর্যশীল এবং একান্ত কৃতজ্ঞদের জন্য নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে। >>>>

সূরা আল-ইমরান # ৩/৫২ : যখন ঈসা বুঝতে পারলো যে তারা অবিশ্বাস করছে, তখন সে বলল, ‘স্বয়ম্ভূর (আল্লাহর) পথে কে আমাকে সাহায্য করবে?’ ধোপারা বলল (ক্বা-লাল হাওয়ারিয়্যুনা), ‘আমরাই আল্লাহর পথে সাহায্যকারী; আমরা আল্লাহতে (স্বয়ম্ভূতে) বিশ্বাসী (আ-মান্না বিল্লাহি); তুমিই সাক্ষী, আমরা মুসলমান (ওয়াশহাদ বি আন্না মুসলিমুন) [শান্তিধর্মী]। >>>সূরা-মায়িদা, ১১১ নিদর্শন ( ৫ # ১১১) , >> ৭ #১২৫-১২৭ (সূরা আ’রাফ)

সূরা আহ্ক্বাফ # ৪৬/৯ : বলো,‘আমি তো রসুলদের মধ্যে নতুন কোনো মতবাদধারী নই, আমাকে এবং তোমাদেরকে নিয়ে কী করা হবে সেটাও জানি না; আমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় আমি কেবল তারই অনুসরণ করি; আমি তো স্পষ্ট এক সতর্ককারী মাত্র।’ ....>>>> ৪৬/১০ >>> >>>>

সূরা রুম # ৩০/৪৭-৫২ : আমি তোমার পূর্বে অন্যান্য রসুলদেরকে পাঠিয়েছিলাম তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছে। তারা তাদের জন্য সুস্পষ্ট নিদর্শন এনেছিল। তারপর আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দিয়েছিলাম। আর বিশ্বাসীদেরকে (মুমিনদেরকে) সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। >>>>

সূরা রুম # ৩০/৪৭-৫২ : আমি তোমার পূর্বে অন্যান্য রসুলদেরকে পাঠিয়েছিলাম তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছে। তারা তাদের জন্য সুস্পষ্ট নিদর্শন এনেছিল। তারপর আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দিয়েছিলাম। আর বিশ্বাসীদেরকে (মুমিনদেরকে) সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। >>>>

সূরা আনকাবুত # ২৯/ ৫-৭ : যে আল্লাহ্-র সাক্ষাৎ আশা করে সে জেনে রাখুক আল্লাহ্-র নির্ধারিত কাল সমাগত হবেই; তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।
যে-কেউ জেহাদ করে, সে তো নিজের স্বার্থেই করে; আল্লাহ্ অবশ্যই সৃষ্টিজগতের ওপর নির্ভরশীল নন।
আর যারা বিশ্বাস করে এবং ভালো কাজ করে আমি নিশ্চয়ই তাদের দোষত্রুটিগুলো তাড়িয়ে দেবো এবং তাদের কর্মের উত্তম ফল দেবো। >>>>

সূরা আল-ইমরান # ৩/১০০ : ওহে যারা বিশ্বাস রাখো, তোমরা যদি গ্রন্থপ্রাপ্তদের যেকোনো বিশেষ একটি দলের আনুগত্য করো, তবে তারা তোমাদেরকে বিশ্বাসের পর আবার অবিশ্বাসকারীদের দলভুক্ত করবে।

সূরা হাজ্জ্ব # ২২/৩৪,৩৫ : আমি প্রত্যেক জাতির জন্য নিয়ম করে দিয়েছি যাতে আমি যে-সব চারপেয়ে জন্তু তাদের বরাদ্দ হিসেবে দিয়েছি, সে-সব বিসর্জনের সময় তারা সয়ম্ভূ-র নাম স্মরণ করে; তোমাদের উপাস্য তো একজন-ই; তোমরা বিনীত হও এবং সুসংবাদ দাও নম্রদেরকে;
যাদের অন্তর আল্লাহ্-র ভয়ে কাঁপে এবং যারা তাদের বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করে, যথাযথভাবে প্রার্থনা প্রতিষ্ঠা করে, এবং তাদেরকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা’ থেকে যারা ব্যয় করে। >>>>

সূরা বাকারা # ২/৬২ : যারা বিশ্বাস করে এবং যারা ইহুদি এবং যার নাছারা এবং যারা অগ্নিউপাসক, যারা আল্লাহ্ এবং শেষদিবসে বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য নিজস্ব প্রতিপালকের কাছে পুরষ্কার আছে; তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। ...>> >..৫/৬৭-৭১..

সূরা বাকারা # ২/১১৫ : পূর্ব এবং পশ্চিম সব দিকই আল্লাহ্র; আর তুমি যে-দিকেই মুখ ফেরাও সে-দিকই স্বয়ম্ভূ আল্লাহ্-র দিক; স্বয়ম্ভূতো সর্বব্যাপী উন্মুক্তজ্ঞান।

সূরা আল-ইমরান # ৩/৬৪ : বলো,‘হে গ্রন্থধারীরা, এসো সাধারণ শর্তাবলীতে যেগুলো আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে অভিন্ন; আমরা সার্বিক আল্লাহ্ ছাড়া কোনো উপাস্যের দাসত্ব করি না, তাঁর কোনো অংশীদার আনি না; আর আমাদের মধ্যে কেউ স্বয়ম্ভূ ছাড়া কাউকে প্রতিপালকরূপে গ্রহণ করে না।’ যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলো,‘তোমরা সাক্ষী থেকো শান্তিকামী আমরা।’

সূরা আনকাবুত # ২৯/৪৬ : তোমরা গ্রন্থধারীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করবে, কিন্তু সৌজন্যের সাথে, তবে ওদের মধ্যে যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের সাথে নয়; আর বলো,‘আমাদের ওপর এবং তোমাদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আমরা বিশ্বাস করি; আর আমাদের এবং তোমাদের উপাস্য তো একই, আর তাঁরই কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করি।’

সূরা আহ্ ক্বাফ # ৪৬/১২ : এরপূর্বে আদর্শ ও অনুগ্রহ হিসেবে ছিল মুসার গ্রন্থ। এ-কিতাব মুসার কিতাবেরই সমর্থক, আরবি ভাষায়। সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে এ সতর্ক করে আর যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে সুসংবাদ দেয়।
আল্লাহ্ তাদের অন্তঃকরণ ও কর্ণকে রুদ্ধ করে রেখেছেন, তাদের চোখের ওপর আবরণ আছে এবং তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি। >>>>

সূরা রুম # ৩০/২২ : আকাশ এবং পৃথিবীর সৃষ্টি আর তোমাদের ভাষার এবং বর্ণের বিভিন্নতা; এতে আছে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন।

সূরা হাজ্জ্ব # ২২/৭৭,৭৮ : ওহে যারা বিশ্বাসী, তোমরা রুকু করো, সেজদা করো এবং তোমাদের প্রতিপালকের (রব-এর) দাসত্ব (ইবাদত) করো, আর সৎকর্ম করো যেন তোমরা সফলকাম হতে পারো। তোমাদেরকে তিনি মনোনীত করেছেন। তিনি তোমাদের ধর্মে তোমাদের জন্যে কঠিন কোনো বিধান দেননি। এ-ধর্ম তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের ধর্মের মতো, তথা তোমাদের নামকরণ করেছিলেন ‘মুসলিম’(শান্তিকামী), আর এ-গ্রন্থেও অনুরূপ করেছেন, যাতে বার্তাবাহকগণ (রাসুলগণ) তোমাদের জন্যে সাক্ষী হন, এবং তোমরাও সাক্ষীস্বরূপ হও মানবজাতির জন্যে। সুতরাং তোমরা প্রার্থনা বাস্তবায়িত করো, জাকাত দাও এবং আল্লাহ্ তে নির্ভর করো। তিনিই তোমাদের সাহায্যকারী, এক মহানুভব সাহায্যকারী এবং সহায়ক তিনি। >>>>

সূরা ফাত্হ্ # ৪৮/২৮ : সকল ধর্মবিধানকে প্রকাশনায় সাহায্য করার জন্য পথের দিশা এবং সত্যবিধানসহ তিনি সংবাদবাহক পাঠিয়েছেন, -যথেষ্ট আল্লাহ্ই, সাক্ষী।

সূরা ক্বাফ # ৫০/৪৫ : আমি বেশ জানি ওরা যা-কিছু বলে; তুমি ওদের ওপর জবরদস্তিকারী নও; সুতরাং ক্বূরআনের সাহায্যে উপদেশ দাও তাকে, যে-জন আমার শাস্তিতে ভীত।

সূরা জুমার # ৩৯/২৭,২৮ : আমি এই ক্বূরআনে সব রকমের দৃষ্টান্ত রেখেছি যাতে ওরা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। আরবির ক্বূরআনে নেই কোনো ঘোরপ্যাঁচ যেন এ মন্দের বিপরীতে পাহারা দিতে পারে। >>>>>>

সূরা হজ্জ # ২২/৫১-৫৪ : এবং যারা প্রবল হওয়ার উদ্দেশ্যে আমার নিদর্শনকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করে তারাই দোযখের অধিবাসী।
আমি তোমার আগে যে-সকল নবি এবং রসুল পাঠিয়েছি তারা যখন কিছু পাঠ করেছে, তখনি শয়তান তাদের বাক্যে কিছু ছুড়ে দিত; কিন্তু শয়তান যা ছুড়ে দেয়, আল্লাহ্ তা সরিয়ে দেন; তারপর পোক্ত করে স্বয়ম্ভূ তাঁর নিদর্শনগুলো দাঁড় করান; এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
এ এজন্যে যে, শয়তান যা নিক্ষেপ করে তা দিয়ে তিনি তাদেরকেই পরীক্ষা করেন যাদের মনের ভিতরে রোগ, যারা কট্টরমনা পাষাণহৃদয়; অত্যাচারীরা আছে অশেষ মতভেদে।
এবং এ এজন্যেও যে, যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তারা যেন জানতে পারে, এ সত্য তোমার বিধাতার কাছ থেকে পাঠানো; যাতে তারা ওতে বিশ্বাসী হয় এবং তাদের চেতনা যেন ওতে অনুগত হয়; যারা বিশ্বাসী, সরল পথে তাদের জন্য আল্লাহ্ই পথপ্রদর্শক। >>>>

সূরা নিসা # ৪/১২৩-১২৬ : তোমাদের খেয়ালখুশি এবং গ্রন্থধারীদের খেয়ালখুশি অনুসারে কিছু হবে না; যে-কেউ মন্দ কাজ করবে সে তার প্রতিফল পাবে আর আল্লাহ্ ছাড়া সে তার জন্য কোনো আভিভাবক এবং সাহায্যকারী পাবে না। আর পুরুষ হোক বা নারী হোক, যারাই বিশ্বাসী হয়ে ভালো কাজ করবে তারাই বাগানে থাকবে এবং তাদের প্রতি বিন্দুপরিমাণেও অত্যাচার করা হবে না।
আর তার চেয়ে ধর্মে কে ভালো, যে-জন সৎকর্মপরায়ণ হয়ে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইব্রাহিমের সমাজ অনুসরণ করে? আর আল্লাহ্ তো ইব্রাহিমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। আর আকাশ এবং পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সব আল্লাহর-ই এবং স্বয়ম্ভূ সবকিছুকে ঘিরে অবস্থিত।

সূরা মায়িদাহ্ # ৫/ ৪,৫ : লোকে তোমাকে প্রশ্ন করে, কী তাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে? বলো, ‘সমস্ত ভালো জিনিস তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, আর শিকারি পশুপাখির যেগুলোকে তোমরা শিক্ষা দিয়েছো, যেভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন, তারা যা তোমাদের জন্য ধরে আনে তা খেতে পারবে।’ আর এতে তোমরা আল্লাহর নাম নেবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে; আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর।
আজ তোমাদের জন্য সব ভালো জিনিস হালাল করা হলো। যারা গ্রন্থপ্রাপ্ত তাদের খাদ্যদ্রব্য তোমাদের জন্য হালাল, আর তোমাদের খাদ্যদ্রব্য তাদের জন্য হালাল; আর বিশ্বাসী সচ্চরিত্রা নারী এবং তোমাদের আগেই যাদেরকে গ্রন্থ দেওয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারী তোমাদের জন্য হালাল করা হলো, যদি তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান করো বিবাহের জন্য, তবে প্রকাশ্য ব্যভিচার বা উপপত্নীরূপে গ্রহণের জন্য নয়; যে-কেউ বিশ্বাস করতে অস্বীকার করবে তার কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং সে হবে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাভুক্ত। >>>>

সূরা মায়িদাহ্ # ৫/১০৫ : ওহে, আমার বিশ্বাসীরা, তোমাদের আত্মরক্ষাই কর্তব্য। যদি তোমরা সৎপথে চলো, পথভ্রষ্টরা তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। স্বয়ম্ভূর দিকেই তোমাদের সকলের ফিরে যাওয়া, আর তখন তিনি তা’ তোমাদেরকে জানাবেন যা’ তোমরা করতে। >>>>>

সূরা নিসা # ৪/৪৩ : ওহে যারা বিশ্বাস এনেছো, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আরাধনার নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা কী বলছো তা’ বুঝতে পারো, এবং অপবিত্র অবস্থাতেও নয়, যদি পথচারী না-হও, যতক্ষণ না তোমরা পরিস্কার করো; (লা তাকরাবুছ ছালাতা ওয়া আনতুম ছুকারা হাত্তা তা’লামু মাতাকূ লুনা ওয়ালা জুনুবান ইল্লা অবিরী ছাবীলিন হাত্তা তাগতাছিলু; ওয়া ইন কুনতুম মারাদা আও আ-লা- সাফারিন;) আর যদি তোমরা রোগাক্রান্ত হও বা ভ্রমণে থাকো বা তোমাদের কেউ পায়খানা হতে আসো বা স্ত্রীর সাথে মিলেছো আর পানি না-পাও, তবে তায়াম্মুম করবে মাটির পবিত্রতার স্পর্শে এবং মুখে ও হাতে বুলিয়ে মুছে নেবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।

সূরা আল-ইমরান # ৩/১৯৯-২০০ : গ্রন্থধারীদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা তাদের আল্লাহ্-র প্রতি বিনয়াবনত হয়ে, তোমার কাছে যা’ অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাদের প্রতি যা’ অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহ্-র নিদর্শনকে অল্পমূল্যে বিক্রি করে না, এরাই সেই সব লোক যাদের জন্য আল্লাহ্-র কাছে পুরস্কার রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাৎক্ষণিক হিসাবরক্ষক।
ওহে যারা বিশ্বাস ধারণ করো, ধৈর্যশীলতার প্রতিযোগিতা করো এবং সদা-প্রস্তুত থেকো আর আল্লাহ্-কে ভয় করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। ...>>>>

সূরা আনআম # ৬/১৫৯,১৬০ : অবশ্য যারা ধর্ম সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোনো কাজের দায়িত্ব তোমার নয়, তাদের বিষয় আল্লাহ্র এখতিয়ারে; আল্লাহ্ তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে তাদেরকে জানিয়ে দেবেন। কেউ কোনো সৎকাজ করলে সে তার দশগুণ পাবে আর কেউ কোনো অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু তারই প্রতিফল দেওয়া হবে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না। ....>>>

সূরা আল-ইমরান # ৩/৭ : তিনিই অবতীর্ণ করেছেন তোমার উপরে এই গ্রন্থ; এতে আছে কিছু মৌলিক নিদর্শন, যেগুলো হচ্ছে গ্রন্থটির ভিত্তি আর অন্যগুলো রূপক; কিন্তু যাদের অন্তরে কুটিলতা তারা রূপকগুলোর গোপন অর্থগুলো খোঁজ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই; কিন্তু আল্লাহ্ ছাড়া কেউই এর গোপন অর্থগুলো জানে না; এবং যারা সুজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত তারা বলে, ‘আমরা এ গ্রন্থে বিশ্বাস করি, এর সমস্তটাই এসেছে আমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে,’ আর বোধশক্তিসম্পন্নরা ছাড়া কেউ-ই উপদেশ গ্রহণ করবে না।
> > >>
(অপরিশোধিত খসড়া)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নিছক স্বপ্ন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮



©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯



টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহক‍কেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×