somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বাজারে..

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাজারে পন্যের যোগান বেশি হলে, কদর ও দাম দুই'ই কমতে বাধ্য।

একটা সময় ছিল অবিশ্বাসী'র জোরালো যুক্তি আমাকে আরও বেশি বিশ্বাসী করে তুলত। অবিশ্বাসীকেই বিশ্বাস করতাম বেশি। তার স্ব-বোধ আমাকে, তাকে সম্মান করতে বাধ্য করত।

জানিনা কেন, হালে বিশ্বাস-অবিশ্বাস অনেকটা ফ্যাশন নির্ভর হয়ে গেছে বলেই মনে হয়; তার অনেক রঙ, আনেক রকম ছাপ, আধুনিক কারুকাজ, দেশীয় আবেগ...ইত্যাদি নানা আনুষাঙ্গিকতা-কেমন যেনো অস্বস্তিতে ফেলে দেয়!

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ব্যাপারটা আপেক্ষিক। দেখিনা, জানিনা- কিন্তু জানি বলে মনে হয়, এই মনে হওয়টাই বিশ্বাস। আর দেখা, জানা'র উপর ভিত্তি করে যা জানি বলে মনে হয় তাই অবিশ্বাস।

কিন্তু সবাই এমন করে জানে বলে মানে যে, স্পষ্ট ঘোষনাই করে দেয়, অমুক আছেন বা নাই। আজব!

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন, যারা স্বয়ং উনার সাথে স্বাক্ষাত করেছেন বলে মনে হয়, অনেকটাই এমন "আরে ভাই, উনিতো আমার বাসাই ভাড়া থাকতেন, একসাথে কতবার খেয়েছি, কথা; উঠতে-নামতে প্রতিবারই হতো..ইত্যাদি, ইত্যাদি। আপনার সাথেও পরিচয় করিয়ে দিতাম, কিন্তু হায়! গত মাসেই উনি নিরুদ্দেশ হয়েছেন!" এরুপ বিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে উনি নিজেই সবাইকে বিশ্বাস করাতে উঠে পড়েছেন বলে মনে হয়। এভাবে নয় তো সেভাবে, সে আপনাকে বিশ্বাস করাতেই চাবে। তা ছলা-কলা, ভয়-ভীতি অথবা যেপ্রকারেই হোক।

অবিশ্বাসীরাও আজ একিভাবে উঠে-পড়ে লেগেছেন বলে মনে হয়। তাদের অবিশ্বাসকে তারা এতই বিশ্বাস করেন যে আপনাকেও তারা তা বিশ্বাস করাতে চান।

কিন্তু আমার প্রশ্ন, কেন? কি দরকার? বিশ্বাস আর অবিশ্বাসই কি সকল সমস্যার কারন? মোটেই না (এ ব্যাপারে অন্যসময় বলব)। তবে কেন আমরা প্রতেকে অদেখা, অপার্থিব ব্যাপারকে নিয়ে এত মাথা ঘামাই?

আসলে আমরা সবাই আজ নবুয়্যাতের দাবি করি, আমরা সবাই নবী, সবাই রিসালতের দায়িত্বে নিয়োজিত, কেউ দেয় বিশ্বাসের দাওয়াত; তো কেউ...।।

যা বলছিলাম "বাজারে পন্যের যোগান বেশি হলে, কদর ও দাম দুই'ই কমতে বাধ্য।" আজ বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীর যোগান বেশি হওয়ায় উভয়ের কদরই কমেছে। আজ বোধ হয় সত্যিকার ধার্মিকের প্রয়োজন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শৈল্পিক চুরি

লিখেছেন শেরজা তপন, ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×