মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ দাবানল বা forest fire এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তিউনিসিয়া, মিশর, জর্দান; সৌদিআরবেও শুনলাম প্রথম কোন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণমানুষের এই জাগরণ খুব অনুপ্রাণিত করছে আমাকে।
আলজাজিরার পর্দায় তাহরির চত্বরে মানুষের উল্লাস আমার চোখেও আনন্দের অশ্রু এনে দিল। সেই সাথে একটা অজানা আশঙ্কাও। আমেরিকার ইঙ্গিত ছাড়া হোসনি মোবারক ক্ষমতা ছেড়ে দিবে এটা মনে হয়না। আর আমেরিকার ইঙ্গিত থেকে থাকলে, সেই ইঙ্গিতের ফলাফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী।
আমার মনে পড়ছে আলজেরিয়ায় কিভাবে জনগণের রায়কে পশ্চিমা বিশ্ব ছিনতাই করেছিল; ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হওয়ায়। এই হঠকারীতা, hypocrisy খুব ব্যথিত ও বিভ্রান্ত করে।
আবার মনে হয়, বাংলাদেশে যদি জনসাধারণ কোনদিন জামাতে ইসলামি কে নির্বাচিত করে, তখন প্রগতিশীল শক্তিগুলোর ভূমিকা কি হতে পারে; বা কি হওয়া উচিত? আমার মনে হয়, জনগণকে শিক্ষিত করে, মৌলিক অধিকার গুলো নিশ্চিত করে, চিন্তার নির্বিঘ্ন বিকাশের রাস্তা পরিষ্কার করে তবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব তাদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। আর সেই সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন তা মেনে নেয়াও উচিত।
আবার সাথে সাথেই মনে হয়, সমাজের বেশিরভাগ মানুষ যদি সতীদাহকে সমর্থন করে, তাহলে কি সেটাই প্রতিষ্ঠিত থাকবে? ফতোয়া যদি ধর্ষকের পরিবর্তে ধর্ষিতার শাস্তির বিধান দেয় এবং সেই বিধানকে সমাজের বেশিরভাগ মানুষ মেনেও নেয়; তাহলেই কি সেটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যাবে?
এসব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এসব প্রশ্ন আমাকে বিব্রত করে। কারো জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৬