নয়ত নয়ই ঠিক হয়ে গেল। হিংস্র পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় তার মাথায় তীব্র আঘাত করে বসল মুবারকের পুষা এক পুলিশ। আর তাতেই তার চটপটে প্রাণ নিভে গেলো চিরতরের জন্য।
সে মরেনি। সে বেঁচে আছে মিশরীয় মানুষের মুখে মুখে। আজ মিশরে তার ভাইয়ের অভাব নেই, নেই তাকে মন থেকে ভালবাসার মানুষেরও। শধু ভালবাসাই নয়, সে যে এখন সম্মান পাবার পাত্রিও। আর পাচ্ছেন ও। মিশরের রাস্তায় রাস্তায় তার ছবি। তাহরীর ময়দানে সবচেয়ে উচুতে ও বড় করে যার ছবি ঝুলছে সেটা যে সেই চটপটে তরুনি স্যালি মাগদি জাহরানেরই।
এবার তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সম্মান পেলেন। আজ আমেরিকার মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র 'নাসা' ঘোষনা দিয়েছে অতি সম্প্রতি তারা মাঙ্গল গ্রহের দিকে একটি নভোযান পাঠাবে আর তার নাম হবে, ঐ শহিদ তরুনির নামে, ''স্যালি মাগদি জাহরান''।
২) আর পারা গেল না হুসনি মোবারকের সাথে। শান্তি প্রিয় মানুষদের শান্ত থাকতে দিল না শাষক দল। কিন্তু কথায় আছেনা, পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন সামনের দিকে যাওয়া ছারা আর কোন উপায়ই থাকে না। ঠিক তেমনটাই হতে চলছে মিশরীয় বোক্ষোভকারিদের বেলায়।
তাই তারা আইন নিজের হাতেই উঠাতে পরিকল্পনা করেছে।
যদিও পথ অত শহজ নয়। আজ মোবারকের ভাষনে সেদিকেও ইংগিত ছিল। প্রয়োজনে কঠোর হতেও যে বাধবে না এই ক্ষমতাধর নেতার। তা জেনেও জানের মায়া ত্যাগ করে কাল জুম্মার নামাজের পর তাহরীর স্কোয়ার থেকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাবে স্বয়ং প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে।
তারপর কি হয় সেটা পরে দেখা যাবে, তবে আপাতত এই রকম প্লানেই রাতপার করতে হচ্ছে মিশরীয় তরুনদের।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:৪০