somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেয়ার বাজার নিয়ে বহুল প্রচলিত কৌতুক ;)ও আমার ভবিষ্যত ভাবনা :D। একটু মিলিয়ে দেখবেন কি ভবিষ্যত মিলে কিনা?/:)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে বহুল প্রচলিত কৌতুকটি

একদিন এক গ্রামে একজন লোক এল। সে গ্রামবাসিকে জানাল সে বানরের ব্যাবসা করে। তাই সে গ্রামের বানর কিনতে চায়। প্রত্যেক বানরের দাম ১০ টাকা।একথা যারা শুনলো তারা যে যতটুকু পারল বানর যোগার করে বেশ কিছু টাকা কামাল।

এরপর সেই লোকটা ঘোষনা করল তার আরো বানর চাই এবং সে সেগুলো ১৫ টাকা করে কিনবে। এতে উৎসাহিত হয়ে যারা আগে ছিল তাদের সাথে আরো কিছু লোক একহয়ে বানর যোগার করতে লাগল।এবার অবশ্য একটু সমস্যাই হলো বানর যোগার করতে।সেই বানরগুলোও সব কিনে নিয়ে বলল তার আরো লাগবে। গ্রামবাসী বলল আর কই পাই এত বানর। লোকটা বলল যাও এবার বিশ টাকা দিব। তৎখনাত সব লোক ছুটে গেল বানর যোগার করতে। এবার বন বাদার উজার করে আর একটাও বানর নেই এমন নিশ্চিত হয়ে সবাই বানর যোগার করে ফিরে আসল আর বিক্রি করল বিশ টাকা করে।

খবর শুনে যারা বানর বিক্রির সাথে জরিত ছিল না তারা আফসোস করতে লাগল আর অপেক্ষা করতে লাগল লোকটা আরো বানর কিনে কিনা? হ্যা, লোকটা আরো বানর কিনতে চায়, এবার পচিশ টাকা করে। গ্রামের মোড়ল দাবী করল না এবার কিনতে হবে ত্রিশ টাকায়, না হলে বানর যোগার করব না। তো লোকটা রাজী হল। এবার গ্রামবাসী আশপাশের সমস্ত গ্রাম তন্ন তন্ন করে খুজে বেরাল, যারা যোগার করতে পারল না তারা নিজেদের জমানো পয়সা দিয়ে বানর কিনে এনে লোকটার কাছে বানর বিক্রি করল।

যাই হোক লোকটা বেশ অনেক বানর যোগার করল। এবার তার বানর নিয়ে গ্রাম ত্যাগ করার পালা। গ্রাম ত্যাগের আগে সে বেরাতে গেল শহরে, আর বলে গেল কেউ যদি আরো বানর যোগার করতে পারে তবে সে বানর প্রতি পঞ্চাশ টাকা দিয়ে তা কিনে নিবে।

গ্রামবাসী এটাই আশা করছিল, কিন্তু হায় বানর কোথায় আর পায়। এমনি সময়ে হাজির হল বানর ব্যাবসায়ির সহকারি। সে সবাইকে বলল, দেখ লোকটা আমার কাছে সব বানর রেখে গেছে, এখন তোমরা যদি আমার কাছ থেকে সব বানর চল্লিশ টাকা করে কিনতে চাও তবে আমি তোমাদের কাছে এ বানরগুলো বেচব। আর লোকটি এলে সব বানর হারিয়ে গেছে এই বলে তোমাদের সব বানর পঞ্চাশ টাকা করে কেনার ব্যাবস্থা করব। এই কথা শুনে গ্রামবাসি সবাই পাগলের মত লাফালাফি, মারামারি করে কিনে নিল ঐ বানরগুলো, আর অপেক্ষা করে রইল ওই ব্যবসায়ী কবে আসবে। এ সবই ঘটল গ্রামের মোড়োলের সামনে।

কিন্তু হায়, দিন যায়।ব্যাবসায়ী কিংবা তার সহকারি কারো দেখা মিলে না। হাতে তাদের তখন অসংখ্য বানর যা কিনা পঞ্চাশ টাকা করে কেনা। এখন তারা বিক্ষোভ করে, দোষীর বিচার চায়।গায়ের মোড়োল বিশৃঙ্খলার দায়ে তাদের পেটায়, আবার আশ্বাসও দেয় ব্যাবসায়িটির বিচারের। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয় না।

এবার ভবিষ্যত ভাবনা

লোকটি বানর বিক্রি করে আয় করে হাজার টাকা। একদিন সে সেই গ্রামে ফিরে আসে।গায়ের মোড়োল তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমান করতে পারে না।সে ছারা পেয়ে যায়। ঠিক সেই সময়ে চলছিল গায়ের প্রতিনিধি নির্বাচন। লোকটির টাকা পয়সা আছে দেখে গায়ের প্রভাবশালি লোক তাকে প্রতিনিধি নির্বাচনে দার করায়। লোকটি তার লাবের পয়সা থেকে খুব সামান্য টাকা খরচ করে। ফলাফল স্বরুপ সে গায়ের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়।

কিন্তু গায়ের উন্নয়ের জন্য, গ্রামকে সঠিকভাবে শাসনের জন্য চাই পয়সা। তাই সে নিয়ম করে গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে টাকা যোগার করে। গ্রামবাসি স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে তার ভান্ডারে হাজার হাজার টাকা দিয়ে যায়। আর সে এই সুযোগে উন্নয়ন ব্যায়ের কথা বলে বেশিরভাগ টাকাই তার পকেটে পুরে নেয়। গ্রামবাসীর জন্য ব্যয় করে মাত্র কয়েকটা টাকা।এবার তার লাভের পরিমান আগের চেয়েও বেশি।

তাই দেখে আরেকজনের মাথায় বুদ্ধি আসে।সে নিয়ে আসে নয়া তরিকা। মানুষকে বুদ্ধু বানানোর নতুন উপায়। নতুন এই লোকটিকে দেখে আগের লোকটি মুচকি হাসে আর বলে চালিয়ে যাও বাছাধন চালিয়ে যাও। আর সময়মত আমার ভাগের টাকাটা দিয়ে যেও। তাতে তোমার কুছ পরোয়া না করলেও চলবে, যেমনটা আগে আমার ক্ষেত্রেও হয়েছিল।

আর এভাবেই সব ঠিকমত চলতে থাকে, গ্রাম এগিয়ে যায় উন্নয়নের পথে।
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×