somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ময়না পাখী

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এক ফ্রেন্ড একবার আমাকে এক মেয়ের ফোন নাম্বার দিলো।
আমি ঐ নাম্বারে ফোন দিয়ে বললাম,"আচ্ছা,আমি তো প্রেম করতে চাই,তাই আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে এই নাম্বারটা দিলো।প্রেম করার জন্য আপনাকে ফোন দিলাম।"
ফোনের ঐদিক থেকে বলল,"অসভ্য কোথাকার!"
এই বলে ফোন রেখে দিলো।
পরে আবার কল দিলাম।
ও বলল,"আচ্ছা আপনি যা করছেন এইটা কি ভালো দেখা যায়?"
আমি বললাম,"কেন ভালো দেখা যাবে না?আমাকে একজন সাদাসিধা মানুষ হিসেবে চিন্তা করেন না...আমার মনে যা আসছে আমি তাই বলে ফেলছি,আমার এই অনেস্টি কে রেসপেক্ট করেন।"
তখন সে অনেক হাসছিল।
এভাবেই কথা বলা শুরু হইছিল।
রাত দিন সবসময় কথা বলতাম।
দিনে একটু পরপর আমি ফোন দিতাম,আর রাত ১২ টা বাজলেই ও ফোন দিত,ভোর পর্যন্ত কথা হত।
আমি ওকে ডাকতাম ময়না পাখী কলিজার টুকরা বলে।
পরে একদিন ঠিক করলাম দেখা করব।
যেদিন দেখা হবার কথা তার আগের দিন রাতে ও বারবার ফোন দিচ্ছিল আর বলতেছিল,"কেমন যেন লাগতেছে।কালকেই তোমাকে দেখবো।"
পরের দিন চন্দ্রিমা উদ্যানে দেখা করলাম।
আমার ১ম কথাটা ছিল,"গান শুনবা?"বলে ওর দিকে এমপিথ্রি এর হেডফোন বাড়ায় দিছিলাম।
পরে রাস্তা পার হবার সময় ওর হাত ধরলাম।
৪ বার ডেটিং হইছিল আমাদের।
লাস্টের টা সবচেয়ে রোমান্টিক।
বৃষ্টি হচ্ছিল জন্য আমরা ২ জন ১টা গাছের নীচে যেয়ে দাড়াইছিলাম,আশেপাশে আর কেউ ছিল না।
আমি ওকে জড়ায় ধরে ওর গালে একটা চুমু দিলাম।
পরে রিক্সায় করে ওকে বাসায় পৌছায় দেওয়ার সময় আমার হাত অনবরত চলতেছিল,খারাপ কিছু ভাইবেন না ভাই,আমার হাত ওর হাতের উপর চলছিল।:P
ও কিছুই বলে নাই।

ও ওর টিচার কে ভালিবাসতো।
আমি বললাম,"এভাবে তো চলা সম্ভব না।যেকোন একটা ডিসিশন নাও। আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব।এরমধ্যে তুমি আমাকে ফোন দিলে বুঝব তুমি আমার কাছে ফিরছ। আর ফোন না দিলে আর কোনদিন কথা হবে না।"
ও বলল,"আচ্ছা,আমার শেষ একটা অনুরোধ রাখবা?"
আমি বললাম,"কি?"
ও খুব মন খারাপ করে বলল,"শুধু একবার ময়না পাখী বলে ডাকো।":((








২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×