বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ার রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আমির হোসেন এক অসাধারণ প্রতিভাবান ব্যক্তি। এর আগে তিনি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলেন। আবারও দেশে ঝড় তুলতে যাচ্ছেন। বলতে গেলে পরপর দু'বার ঝড় তুলে ফেলেছেন। আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী প্রতিদিন যে পরিমান বায়ু ত্যাগ করেন, সে পরিমান বায়ুর কম্পিউটারাইজড ব্যবহারের মাধ্যমে কোন প্রকার জ্বালানী ছাড়া চলবে- এমন একটি গাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মগবাজারসহ দেশের বিস্তৃত অঞ্চলে।

কিন্তু বাকশালী সরকার আমিরের এ আশ্চর্য সৃষ্টিকে নৌকার কোণা... থুক্কু ১ কিলোবাইট দামও দেয়নি। সরকারের এহেন আচরণে ক্ষুদ্ধ বিক্ষুদ্ধ হয়ে প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া এ প্রথম হরতালের ডাক না দিয়ে আরেক আশ্চর্যজনক কীর্তি স্থাপন করেছেন। সরকার যেখানে আমিরের দিকে একটু কুনজরেও তাকায়নি, সেখানে বেগম খালেদা জিয়া আমিরের তৈরি অবিশ্বাস্য এ গাড়ি কিনে নিয়েছেন।

বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার জানান, "আগামী নির্বাচনে দেশনেত্রী এ গাড়ি দিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন। আজ বিকেলেই দেশের গর্ব বগুড়ার আমির আমাদের নেত্রীর কাছে গাড়িটি হস্তান্তর করেন।" গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমান মানুষের সমাগম ঘটে। গাড়িতে আরোহন করে উপস্থিত বক্তৃতায় খালেদা জিয়া বলেন, "আজ এ বিশাল সমাবেশ থেকেই সরকার পতনের ঘোষনা দিলাম।"

আমারদেশ পত্রিকার কার্টুনিস্ট মহান হুদার তোলা ছবিতে বিপুল পরিমান সমর্থক বেষ্টিত বেগম খালেদা জিয়াসহ গাড়িটির ছবি নিচে দেয়া হলো।



জয় বাংলা।


সূত্র