ইঁদুর গুলো ব্যবহৃত হবে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ বা ‘ফুল বডি স্ক্যানার’ মেশিনের মত দেখতে একটি যন্ত্রে। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে যন্ত্রটির এক কোনায় লুকান প্রকোষ্ঠে থাকবে প্রশিক্ষিত ইঁদুর বাহিনী। ওদের শোঁকানর জন্য বাতাস বাইরে থেকে ভেতরে পাম্প করে ঢোকান হবে। বোমা বা ড্রাগের ক্ষুদ্রতম কণারও গন্ধ পেলে ইঁদুর গুল তাদের জায়গা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বিশেষ প্রকোষ্ঠে রওনা দেবে। সাথে সাথে বেজে উঠবে অ্যালার্ম।
আবিষ্কর্তা ইরেন লাম্বব্রসো বলেন, ‘এটা অনেকটা যেন ইঁদুর গুল বেড়ালের গন্ধ পেয়ে পালাচ্ছে। আর আমাদের যন্ত্রটা এই দৌড়ে পালানটাই সূত্র হিসাবে ব্যাবহার করেছে।“
পরীক্ষামূলকভাবে একটি শপিং মলে ১,০০০ জন ক্রেতার উপর মেশিনটি ব্যাবহার করে মাঠ পর্যায়ে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। ইঁদুর গুল নির্ভুল ভাবে এদের ভিতর লুকিয়ে থাকা ২২ জন নকল সন্ত্রাসীকে পকেটে রাখা বিস্ফোরকের দরুন শনাক্ত করে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রুস শেনেইয়ার ‘নিউ সায়েন্টিস্ট’ পত্রিকাকে বলেন, ‘ পশুদের ঘ্রাণ ক্ষমতার ব্যাবহার সবসময়ই ভাল সমাধান, কারণ ইঁদুররাতো আর আমাদের ন্যাংটা হতে দেখেনা।‘ এখনকার প্রচলিত মেশিন দিয়ে পোশাক না খুলেই যে কাউকে সম্পূর্ণ উদম ভাবে দেখা সম্ভব।
সূত্রঃ দি কুরিয়ার মেইল, অস্ট্রেলিয়া Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬