somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিটলারের শারীরিক অবস্থা

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিটলারের শারীরিক অবস্থা বেশ নাজুক ছিল। তার শরীরে ৮২ ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হতো। আর বান্ধবী ইভা ব্রাউনের সঙ্গে কাটানো দিনগুলোতে ভায়াগ্রার আদি ধরণ- টেস্টোস্টেরন নির্যাসও ব্যবহার করতেন তিনি। সম্প্রতি ইতিহাসবিদ হেনরিক এবারলে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের অধ্যাপক হ্যানস-জোয়াচিম নিউম্যান জানিয়েয়েছেন নতুন এই তথ্য।
এই দুই গবেষক সম্প্রতি যৌথভাবে লেখা ‘ওয়াজ হিটলার ইল?’ নামে বইতে বলেছেন, হিটলারের পৈশাচিক ব্যবহারের জন্য কমবেশি দায়ী ছিল নাজুক শারীরিক অবস্থা।

হিটলারের চিকিৎসাবিষয়ক কাগজপত্র এবং তৎকালীন সেনাবাহিনীর দলিলপত্র ঘেঁটে গবেষকদ্বয় এ দাবি হাজির করেছেন। হিটলারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. থেওদোর মোরেলের কাগজপত্রও খতিয়ে দেখেছেন লেখকদ্বয়। ডা. মোরেল উচ্চ শ্রেনীর নাৎসীদের অনেকের কাছে বিশেষ পাত্তা না পেলেও হিটলার তাঁকে বিশ্বাস করতেন। তিনি প্রায়ই মোরেলের শরণাপন্ন হতেন। বইতে বলা হয়েছে, ডা. মোরেলের দলিলপত্র সাক্ষ্য দিচ্ছে, বড়ি খেতে হিটলারের ভীতি ছিল। তাই বেশিরভাগ ওষুধই হিটলারকে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতেন ডা. মোরেল। গবেষকরা লেখেন, ১৯৪৪ সালে হিটলারকে ইনজেকশনের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন ও এক ধরনের মিশ্রণ দেওয়া শুরু করেন ডা. মোরেল। কয়েকটি ষাঁড়ের প্রোস্টেট গ্রন্থি ও বীর্য থেকে ওই মিশ্রণটি তৈরি করা হয়। হিটলার বিশ্বাস করতেন, এর মাধ্যমে তিনি সজীব থাকবেন এবং তাঁর চেয়ে অনেক কম বয়সী ইভাকে সঙ্গ দিতে পারবেন। তবে হিটলার এ বিশ্বাস নিয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকেননি। তার পরের বছরই বার্লিনে একটি বাঙ্কারের মধ্যে এক সঙ্গে আত্দহত্যা করেন হিটলার এবং ইভা।

গবেষকরা বলেছেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ভয় ছিল হিটলারের মনে। তিনি উচ্চ রক্তচাপসহ পেশী-সংকোচন ও মাথা ব্যাথায় ভুগতেন। তাঁর কণ্ঠনালী থেকে বেশ কয়েকবার পলিপস (অতিরিক্ত মাংসপেশী) কেঁটে ফেলা হয়। নতুন এ গবেষণা বলছে, হিটলার মারাত্দক পেটের গ্যাসেও ভুগতেন। এর জন্য তিনি ‘প্রচুর’ পরিমাণে অ্যান্টি-ফ্লাচুলেনস ওষুধ খেতেন। এর মধ্যে স্ট্রাইচনাইনের মতো প্রাণঘাতী উপাদানও থাকতো কিছু পরিমাণ। ডা. মোরেল অল্প পরিমান অ্যামফেটামাইম দিতেন হিটলারকে। অ্যামফেটামাইম হলো এক ধরনের মাদক এবং এটি মোহাবেশ তৈরি করে। এ ছাড়া গ্লুকোজ, ইনজেকশনের মাধ্যমে মেথামফেটামাইন, বারবিচুরেটস (স্নায়ুর প্রশান্তি বা ঘুমের সহায়ক), ওপিয়েটস (ব্যথা উপশমের জন্য) এবং নানারকম অন্যন্য ওষুধ দেওয়া হতো হিটলারকে। যুদ্ধের সময় এক পর্যায়ে দিনে ২৮ রকমের ওষুধও নিতেন হিটলার। ওষুধ ব্যবহার বাড়তে বাড়তে একসময় দাড়ায় মোট ৮২ রকমে। বার্লিনের চ্যারিটি ইউনিভার্সিটি হসপিটালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হ্যানস ও তার সঙ্গী লেখক উপসংহারে বলেছেন, হিটলার পারকিনসন’স অসুখে ভুগতেন। কিন্তু তাঁরা আবার এও বলেছেন, ‘কোনো সময়ই হিটলার বিভ্রমে ভোগেননি। সূত্র: স্কটসম্যান অনলাইন।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×