আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ আত্মহনন কিংবা স্বপ্নপোড়ানো আখ্যান। এটি প্রকাশ করেছে ভাষাচিত্র। প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। অমর একুশে বইমেলায় ৯৩-৯৪ নম্বর ভাষাচিত্র স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। এই গ্রন্থে বিন্যস্ত রয়েছে সাতটি গল্প।
একটি গল্পের অংশ বিশেষ পাঠকের উদ্দেশে উন্মোচিত হলো।
অন্ধকার, সময় এবং ব্রহ্মাণ্ডের বিস্তৃতি সমান, এক এবং অভেদ। পরমাণুর ফিউশন প্রক্রিয়া শেষ হলে সূর্য নিভে যাবে। কোনো একদিন সব নক্ষত্র একে একে হারাবে তার জ্যোতি। তখন! শুধুই হু হু করা অন্ধকার। আমাদের এই মায়াময় পৃথিবীর সব অংশে একই সময় আলো পৌঁছোয় না। এতো পরাক্রমশালী সূর্যের সেই সামর্থ্য নেই যে একই সঙ্গে আলোকিত করবে এই ছোট্ট চরাচর। তাকেও নিয়মমাফিক অখণ্ড সময়ের দাসত্ব মেনে আলো দিতে হয় এক অংশের পর অন্যকোনো অংশে। কিংবা অন্য কথায় বলা যেতে পারে... এই অন্তহীন ব্রহ্মাণ্ডের সমস্তকিছুই আলোকিত হয়না কখনো। যতোটুকু আলোর সংস্পর্শে আসে তারচে’ অনেক বেশি অংশ অনালোকিত। সেই অনেক বেশি অংশ এতো বিস্তৃত যে, মানবীয় বিবেচনায় তা ধারণ করা সম্ভব নয়। এই অসম্ভব আজ কিংবা ভবিষ্যতের জন্যও সমান সত্য।
অথচ আমরা নিত্য পূজো দিয়ে যাই আলোর উৎসমুখে। ঘৃণা করি অন্ধকার। কিন্তু অন্ধকার শক্তিমান চিরকাল। অন্ধকারে ভয় জাগে, জাগে শঙ্কা, সম্ভ্রম আর থেকে যায় অপার রহস্য।
একদিন খেয়ালে কি বেখেয়ালে মাতৃগর্ভ অন্ধকারে প্রকৃত জন্ম আমার। ক্ষণকাল পর এসে দেখি আলোর পৃথিবী। বেড়ে উঠি আলো-অন্ধকারে। বরাদ্দ কিংবা যাপিত সময় অন্তে পাড়ি দেই অনন্তলোকে। এই মির্যাকল শুধুমাত্র একবারের তরেই সম্ভব আর কখনো কোনো কালেই দেখা যাবে না পুনরাবৃত্তির চমক। অনন্তলোক সেও অন্ধকারময় অনুভূতিহীন অচৈতন্যে বিলীন হওয়ামাত্র। তার কোনো অগ্র পশ্চাৎ নাই। কোনো কালে ছিল না, কোনো কালে থাকবে না। অন্ধকার তবে কি? ইন্দ্রিয় আর মনন দিয়ে তার এক ভাসা ভাসা রূপ আমার জানা। আলোর মহল আমার দেখা। আলোহীনতায় টের পাই অন্ধকার, আলোর জগতে চোখ বুঁজে গেলে টের পাই দৈর্ঘ্য-প্রস্থহীন অন্ধকার। তবে কি অনন্তযাত্রা আর অন্ধকারের অনুভূতি সমার্থক? না তা নয়। চোখ বুঁজলে আমার সক্রিয় ইন্দ্রিয় অন্ধকারের ঘ্রাণ নিতে পারে। জানিনা অনন্তযাত্রা চিরপ্রশান্তির অভিজ্ঞতাবাহী কিনা। যদি তাই হবে তবে বেঁচে থাকাতেই এতো আনন্দ খুঁজে পাই কেন? নাকি যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়নি এখনো তার স্বাদ বুঝতে অপারগ এই মন!
সব রহস্য শেষ হলে আদিতে যেমন সমান ছিল অন্ধকার, সময় এবং ব্রহ্মাণ্ডের বিস্তৃতি, ঠিক সেই একই সমান্তরালে এসে এই তিন মিলে অভেদ হবে পুনর্বার।
আলোচিত ব্লগ
আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'
আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন