somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কারা কারা কি কারনে আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর তৈরীর পক্ষে এবং বিপক্ষে?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/krisnonagor_1296489785_2-Fullscreen_capture_1022011_25243_AM_sydney.jpg





যেকোন দেশের সরকাররের আইনগত অধিকার রয়েছে মালিকানার ক্ষতিপূরণ শোধ করে জমি কোন জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করছেন হাজারো লোক নতুন বিমান বন্দর আমাদের দেশে দরকার নাই।অনেক বিমানবন্দর দেশে পড়ে আছে তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।শুধু টাকা অপচয় না করে রাস্তাঘাট,স্কুল কলেজ কারখানা করা যায়।কিন্তু কেউ আমাদের (সরকার এবং বিরোধী পক্ষ)তথ্য দিচ্ছেনা এই টাকা বাংলাদেশ সরকার নিজেরা ব্যবস্থা করবে না বিদেশী কোন ইনভেষ্টমেন্ট হবে।যদি বিদেশীরা বিনিয়োগ করে সে এক্ষেত্রে হাজারো লোকের দাবী অসরতাই প্রমান করে। যদি সরকার দেশের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে বানানীর চেষ্টা করে তবে আমার মূল্যায়ন এখনি বন্ধ করা হোক বিমানবন্দর তৈরীর রুপরেখা। এসব প্যাচাল আমার মুখে ভালো মানাবে না কারণ আমি কোন বিশেষজ্ঞ নই আমাদের পরবর্তী বছরগুলির বিমানপরিবহনের চাহিদার পরিমান কি হবে।আসুন মুল কথায় যাই

কেন আড়িয়াল বিলবাসী এই বিমানবন্দরের বিরোধীতা করছেন?

১,নিজস্ব বসতভিটা ফেলে কে যেতে চায়।
২,বাপ দাদার কবরস্থান যেটা স্পর্শ কাতর।
৩,অর্থনৈতিক কারণ- এটাই মূলত প্রধান।সরকার বিমানবন্দর তৈরীর ঘোষনা দেয়ার সাথে সাথে আড়িয়াল বিল এলাকার আশে পাশে ৩/৪গুন দাম বেশী দিয়ে নুরুল ইসলাম বাবুল-নূর আলী সহ অনেক ব্যবসায়ী বিঘা জমি বায়না করেছেন।অর্থাৎ দিন যত যাবে জমির দাম তত বাড়বে।কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থরা পাবে সরকারী দাম। ধরুন সরকারী দামে আড়য়াল বিল এলাকায় জমির দাম, আছে ৩ লাখ টাকা । সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ পেতে সময় লাগবে। ততক্ষনে আশে পাশের বসতভিটা তৈরীর জমির দাম হবে ৮০ লাখ বিঘা।এখন যার ১ বিঘা জমি আছে সে তার ক্ষতিপূরণ দিয়া ১ কাঠাও কিনতে পারবে না।যদি সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের আশে পাশে বসতবাড়ীর তৈরীর জমির ব্যবস্থা সাথে সাথে ক্ষতিপূরণ হিসাবে নগদ টাকা দিতে পারে তখনই তাদের শান্ত করা সম্ভব হত।

৪, কিছু লোক বিপক্ষে কারণ এই বিমানবন্দরের নাম বংঙ্গোবন্ধুর নামে হবে। এটা নিঝুম দ্বীপে হলেও বিপক্ষে যেত।
৫, কিছু লোক পরিবেশের কথা বলছেন।তারা আমাদের মত আড়িয়াল বিলের বাহিরের লোক জন।পরিবেশের কথা চিন্তা করলে অবশ্যই আড়িয়াল বিলে এত জায়গায় নিয়া বিমানবন্দর করার পক্ষে আমি নই।জলাশায় নষ্ট করার পক্ষে নই।বরং ভালো হয় বুড়িগঙ্গার পাড়ে অথবা পদ্মার পারে জ়েগে ওঠা চড়ে রানওয়ে করা।তাতে কৃষি জমি এবং জলাশয় রক্ষা পাবে।

পক্ষে কারা----
১, যারা বিমানবন্দরের জন্য জমি একোয়ারের বাহিরে পরেছেন তারা খুবেই খুশি।কারন তাদের জমির দাম মুহুর্তের মধ্যেই আকাশ সীমায় পৌছে যাবে।আমার ধারনা যত লোক শ্রীনগর,দোহার এবং নবাবগঞ্জে বিমানবন্দরের বিপক্ষে তার চেয় বেশী পক্ষে। এমন কি কেরানী গঞ্জের মানুষও।

যদি আঞ্চলিকতার পক্ষে বলা হয় তবে আড়িয়াল বিলে বিমান বন্দর তাদের জন্য বেশী লাভজনক হবে।কারণ এর ফলে তাদের কর্ম সংস্থান হবে।বাড়ী ভাড়া বেড়ে যাবে হোটেল হবে,অফিস হবে ইত্যাদি। এক্ষেত্রে সরকার থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরন নিশ্চিত করতে হবে। আড়িয়ালবাসীরা বিমানবন্দের বিপক্ষে না বুঝেই আন্দোলন করছে বলে আমার মনে হয়। তারা যদি তাদের স্বার্থ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারত তারা এই আন্দোলনে যেত না বলেই বিশ্বাস।কিন্তু আবার আমরা যদি সামগ্রীক দেশের চিন্তা করি আমাদের অবশ্যি উর্বর এবং জলাভূমিতে বিমানবন্দর করার বিপক্ষে আন্দোলন করা উচিত।

কিন্তু বিশেষজ্ঞ থেকে নিশ্চিত না হয়ে নতুন বিমানবন্দরের দরকার নাই বা আছে এই রকম লাফ ফাল দেয়া দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ পায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×