উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বের একক ক্ষমতাধর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা দুর্বল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেছেন, মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের চলমান বিক্ষোভ বৃহদাংশে মার্কিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যা সম্পূর্ণরূপে এ অঞ্চলে ওয়াশিংটনের দুর্বল অবস্থানকেই প্রমাণ করে। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, নব্বইয়ের দশকে ইরাকের কাছ থেকে কুয়েত মুক্ত করা এবং আরব ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ার উদ্যোক্তা হিসেবে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল বর্তমানে এর নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একনায়কতন্ত্র তিউনিসিয়া, মিসর, ইয়েমেন ও জর্ডানে শুরু হয়েছে গণবিক্ষোভ। সরকার পরিবর্তনের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এসব দেশের জনগণ। কিন্তু লক্ষ্য করার মতো বিষয় বিক্ষোভে উত্তাল সবগুলো দেশই যুক্তরাষ্ট্রের পরম মিত্র হিসেবে পরিচিত।
এদিকে সম্প্রতি ইরান ও সিরিয়া সমর্থিত হিজবুল্লাহর কারণে লেবাননে পশ্চিমাপন্থি সরকার ভেঙে গেছে। এছাড়া আরব-ইসরাইল দ্বন্দ্বে ওয়াশিংটন দশকের পর দশক ধরে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে এলেও কোনো সিদ্ধান্তে পেঁৗছতে পারেনি। বরং গত বছর শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের দিক থেকে মুখ ঘুরাতে শুরু করেছে। এ প্রেক্ষাপটে তুরস্ক, কাতার ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলো শূন্যস্থান পূরণে আঞ্চলিক কূটনীতিতে ভূমিকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ডের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী তেলহামি বলেন, গত এক দশকে এ অঞ্চলে যে মার্কিন প্রভাব কমেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর এই বিক্ষোভের রেশ ইউএইইতে গিয়ে পড়বে কীনা সেটাই দেখার বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:৫৫