রোজায় সেহরি-ইফতার ও নামাজের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়া হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 04 Aug 2013, 03:26 PM
রোববার কুড়িল ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, রমজান মাসে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ সমস্যারও সমাধান করেছে।
“কোনো কোনো এলাকায় কিছু কিছু লোক একটু দুষ্টুমি করে নামাজ ও ইফতারের সময় হঠাৎ লোডশেডিং দেয়। আমরা সব সময় মনিটর করি।”
সবার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো এলাকায় কখনো নামাজ, ইফতার বা সেহেরির সময় বিদ্যুৎ চেলে গেলে তা যেন সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়।
“শত শত কোরআন শরীফ ইসলামের ইতিহাসে কেউ পুড়িয়েছে বলে আমার জানা নেই। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক মর্মান্তিক। এ ঘটনাও আমাদের দেখতে হয়েছে।”
মসজিদে বসে যারা অপবাদ দেয় বা মিথ্যা কথা বলে- তারা আদৌ ধর্মে বিশ্বাস করে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
“এ প্রশ্নটাও আমি জাতির কাছে রেখে যাচ্ছি। তাদের কথায় কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে।”
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, স্থানীয় সাংসদ এ কে এম রহমত উল্লাহ ও রাজউক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বক্তব্য দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।